কলকাতা কথকতা
কলকাতা কথকতা
উত্তরপাড়ায় জয়ী কাঞ্চন বললেন, তৃণমূল ভবনের সামনে সব কান ধরে দাঁড়াবে
জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা
৩ মে ২০২১, সোমবার, ১:৫৪ অপরাহ্ন
এবারের বিধানসভায় তাকে দেখেই কি হাসির হুল্লোড় উঠবে? উত্তরপাড়া বিধানসভা থেকে প্রায় ৩০ হাজার ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময়ের অনুগত সৈনিক, বর্তমানে বিজেপি নেতা প্রবীর ঘোষালকে হারিয়ে সদ্য বিধায়ক হওয়া কাঞ্চন মল্লিক জানালেন, হাসুক না! হাসলে লিভার ভালো থাকে। বাংলা ছবি আর টেলিভিশনের এক নম্বর কমেডিয়ান তৃণমূলের প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার পর একটি কথাই ফাটা রেকর্ডের মত আউড়ে গেছেন- দিদি দায়িত্ব দিয়েছেন। দিদির মর্যাদা রাখতে হবে। রেখেছেনও কাঞ্চন। উত্তরপাড়ার এক লক্ষ ছ হাজার ৫৫৩ জন ভোটারের আনুকূল্য পেয়েছেন। না পাওয়ার কারণও নেই। কোন্নগর পুরসভার অতিথিনিবাস-এর একটি ঘর আঁকড়ে পড়ে ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা কমেডিয়ান কাঞ্চন। খেটেছেন প্রচুর। বিশ্বাস করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেবাব্রতী কাজই তৃণমূলকে জেতাতে সাহায্য করেছে। বললেন, কোভিড ভাইরাস এখনও যায়নি, কিন্তু রাজনৈতিক ভাইরাস চলে গেছে। দেখবেন, ভোটের আগে যারা দিদির হাত ছেড়ে চলে গেছে তারা তৃণমূল ভবনের সামনে কান ধরে দাঁড়িয়ে আছে আবার দিদির হাত ধরার জন্যে। কাঞ্চনের জন্মদিন ছয় মে। আর দিন তিনেক বাদে। এই জয় কি নিজেকে নিজেরই দেয়া উপহার? কাঞ্চন বললেন, মানুষের দেয়া উপহার। বড় দামি। ভারও বেশি। মানুষকে এই উপহার ফেরত দেয়ার জন্য আগামী পাঁচ বছর কাজ করতে চান কাঞ্চন। ২০০২ সালে জনতা এক্সপ্রেস নামে টিভির একটা রিয়ালিটি নিউজ শোতে অংশ নিয়েছিলেন কাঞ্চন। জানালেন, তিনি জনতারই লোক। জনতা জনার্দনের জন্যে কাজ করে যাবেন। স্ত্রী পিঙ্কি এবং সাত বছরের ছেলে ওশোকে নিয়ে তার সংসার। প্লেন লিভিং-এ বিশ্বাসী বাংলা ছবির কমেডিয়ানের একটাই দুর্বলতা- ডালের বড়া নিয়ে।
বাংলাদেশেও কাঞ্চনের জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। বাংলাদেশের মানুষের উদ্দেশ্যে কাঞ্চনের বার্তা- এবার থেকে কাঞ্চনকে কমেডিতেও পাবেন আবার রাজনীতিতেও পাবেন। মানে ডাবল ইঞ্জিন আর কি!