বিশ্বজমিন
দলত্যাগীদের ভরাডুবি, জিতলেন মাত্র ৩ জন
মানবজমিন ডেস্ক
৩ মে ২০২১, সোমবার, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
শুভেন্দু অধিকারীকে দিয়ে শুরু। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রথমে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি নেতা অমিত শাহের ডাকে সাড়া দেন তিনি। এরপর তৃণমূলে দলত্যাগীদের হিড়িক পড়ে যায়। দলের ভিতরে ভিতরে একরকম আতঙ্ক সৃষ্টি হতে থাকে। এতগুলো প্রথম সারির নেতা দলত্যাগ করায় তৃণমূল বুঝি এবার নির্বাচনে মসনদ টিকিয়ে রাখতে পারবে না। কিন্তু সেই আশঙ্কাকে মিথ্যে প্রমাণ করে দিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির দৃশ্যত এখন প্রধান বিরোধী পক্ষ হয়ে আত্মপ্রকাশ করছেন তিনি। তার দলকে ভাঙতে, নির্বাচনে পরাজিত করে পশ্চিমবঙ্গকে নিজেদের কব্জায় আনতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ শীর্ষ নেতারা উঠেপড়ে লেগেছিলেন। এ জন্য প্রথম টার্গেটে তারা সফল হন। তৃণমূল থেকে বের করে নেন শুভেন্দু অধিকারীসহ অনেক নেতাকে। বিশেষভাবে ভাড়া করা বিমানে তাদেরকে উড়িয়ে নেয়া হয় রাজধানী দিল্লি। কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে তারা গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তার মধ্যে মাত্র তিন’জন নির্বাচনে সফল হয়েছেন। প্রথমজন সেই শুভেন্দু। দ্বিতীয়জন পার্থসারথি। তৃতীয় জন মুকুল রায়। বাকিরা সবাই কুপোকাত হয়েছেন।
২৭ শে নভেম্বর তৃণমূল সরকারের মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। হাই ড্রামার নন্দীগ্রাম আসনে বিজেপির টিকিতে নির্বাচন করেন। কিন্তু তার প্রতিদ্বন্দ্বী সেখানে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি নিজের হাতে গড়ে তুলেছিলেন শুভেন্দুকে। তবে পারেননি মমতা। তাকে পরাজিত করে জিতেছেন শুভেন্দু।
ওদিকে, দিনক্ষণ পাকা ছিল আগে থেকেই। ঠিক ছিল ৩১ জানুয়ারি হাওড়ার ডুমুরজলায় বিজেপিতে যোগ দেবেন তৃণমূল ত্যাগী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়। দিল্লিতে বিস্ফোরণের জন্য অমিত শাহর পশ্চিমবঙ্গ সফর বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু তাতে যোগদান আটকে থাকেনি। রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, বৈশালী ডালমিয়া এবং রথীন চক্রবর্তীকে ‘চার্টার্ড বিমানে’ দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে শাহী দরবারে হাজির করে বিজেপি। সঙ্গে যান রানাঘাট পুরসভার পদত্যাগী প্রশাসক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ও। ওই চার্টার্ড বিমানে জায়গা না পেলেও ৩০ জানুয়ারি রাতেই অমিত শাহের বাসভবনে যান অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।
এবার নির্বাচনে তারা সবাই প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু রবিবারের ফল বলছে, চার্টার্ড বিমানে যারা সওয়ার হয়েছিলেন, তার মধ্যে রানাঘাট উত্তর-পশ্চিমের প্রার্থী পার্থসারথি ছাড়া সকলেই পরাজিত। রীতিমতো বড় ব্যবধানে ডোমজুড়ে পরাজিত রাজীব। একই অবস্থা বালি ও উত্তরপাড়ার বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী এবং প্রবীরের। হাওড়ার শিবপুরে এবং কলকাতার ভবানীপুরে পরাজিত রথীন ও রুদ্রনীল। সেদিনের চার্টার্ড বিমান ‘অভিভাবক’ হিসেবে রাজীবদের সঙ্গে ছিলেন মুকুল রায়। তিনি অবশ্য কৃষ্ণনগর উত্তরে জয় পেয়েছেন। বাকি দলত্যাগীরা সবাই ভোটের চাপে হারিয়ে গেছেন।
২৭ শে নভেম্বর তৃণমূল সরকারের মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। হাই ড্রামার নন্দীগ্রাম আসনে বিজেপির টিকিতে নির্বাচন করেন। কিন্তু তার প্রতিদ্বন্দ্বী সেখানে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি নিজের হাতে গড়ে তুলেছিলেন শুভেন্দুকে। তবে পারেননি মমতা। তাকে পরাজিত করে জিতেছেন শুভেন্দু।
ওদিকে, দিনক্ষণ পাকা ছিল আগে থেকেই। ঠিক ছিল ৩১ জানুয়ারি হাওড়ার ডুমুরজলায় বিজেপিতে যোগ দেবেন তৃণমূল ত্যাগী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়। দিল্লিতে বিস্ফোরণের জন্য অমিত শাহর পশ্চিমবঙ্গ সফর বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু তাতে যোগদান আটকে থাকেনি। রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, বৈশালী ডালমিয়া এবং রথীন চক্রবর্তীকে ‘চার্টার্ড বিমানে’ দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে শাহী দরবারে হাজির করে বিজেপি। সঙ্গে যান রানাঘাট পুরসভার পদত্যাগী প্রশাসক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ও। ওই চার্টার্ড বিমানে জায়গা না পেলেও ৩০ জানুয়ারি রাতেই অমিত শাহের বাসভবনে যান অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।
এবার নির্বাচনে তারা সবাই প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু রবিবারের ফল বলছে, চার্টার্ড বিমানে যারা সওয়ার হয়েছিলেন, তার মধ্যে রানাঘাট উত্তর-পশ্চিমের প্রার্থী পার্থসারথি ছাড়া সকলেই পরাজিত। রীতিমতো বড় ব্যবধানে ডোমজুড়ে পরাজিত রাজীব। একই অবস্থা বালি ও উত্তরপাড়ার বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী এবং প্রবীরের। হাওড়ার শিবপুরে এবং কলকাতার ভবানীপুরে পরাজিত রথীন ও রুদ্রনীল। সেদিনের চার্টার্ড বিমান ‘অভিভাবক’ হিসেবে রাজীবদের সঙ্গে ছিলেন মুকুল রায়। তিনি অবশ্য কৃষ্ণনগর উত্তরে জয় পেয়েছেন। বাকি দলত্যাগীরা সবাই ভোটের চাপে হারিয়ে গেছেন।