এক্সক্লুসিভ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেফাজতের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে মোকতাদিরের এজাহার
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
৩ মে ২০২১, সোমবার, ৮:২২ অপরাহ্ন
হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি মুবারক উল্লাহ’র বিরুদ্ধে থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তবে এজাহারটি এখনো মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়নি। গত শনিবার সন্ধ্যায় মোকতাদির চৌধুরীর পক্ষে শহর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আবদুল জব্বার মামুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা গ্রহণের জন্য থানায় এজাহারটি জমা দেন। সাজিদুর রহমান ও মুবারক উল্লাহসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড়শ’ জনকে আসামি করা হয় এতে। এজাহারে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে গত ২৬-২৮শে মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারকীয় তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। তারা সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আগ্নেয়াস্ত্র এবং গান পাউডারসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভয়াবহ ক্ষতিসাধন করে। সাজিদুর রহমান ও মুবারক উল্লাহসহ অন্যান্য আসামিদের নির্দেশে বিভিন্ন ফেসবুক পেজ, আইডি ও নিউজ পোর্টালে সাইবার সন্ত্রাস সংঘটিত করে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক, বিদ্বেষ ও ঘৃণামূলক স্ট্যাটাস দিয়ে জনসাধারণের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয়। এর মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান জানান, এজাহারের সঙ্গে ডকুমেন্ট হিসেবে ফেসবুকের যে লিংকগুলো দেয়া হয়েছে- সেগুলোতে রাষ্ট্রবিরোধী এবং উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরির জন্য দেয়া হয়েছিল কিনা- তা পরীক্ষা করে দেখতে ঢাকায় সিআইডির কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। সিআইডির রিপোর্টের পর এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত নেয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান জানান, এজাহারের সঙ্গে ডকুমেন্ট হিসেবে ফেসবুকের যে লিংকগুলো দেয়া হয়েছে- সেগুলোতে রাষ্ট্রবিরোধী এবং উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরির জন্য দেয়া হয়েছিল কিনা- তা পরীক্ষা করে দেখতে ঢাকায় সিআইডির কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। সিআইডির রিপোর্টের পর এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত নেয়া হবে।