বাংলারজমিন
সিরাজগঞ্জে মৎস্য জলাশয় সংস্কারের নামে হরিলুট
গোলাম মোস্তফা রুবেল, সিরাজগঞ্জ থেকে
৩ মে ২০২১, সোমবার, ৮:১৪ অপরাহ্ন
সিরাজগঞ্জে জেলা মৎস্য কার্যালয়ের অধীনে সদর, তাড়াশ, রায়গঞ্জ ও উল্লাপাড়া উপজেলায় ‘জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কাগজে কলমে সুফলভোগীদের কথা বলা হলেও বাস্তব চিত্র পুরোটাই উল্টো। সুফলভোগীদের ফাঁকি দিয়ে খনন কাজ করছে মৎস্য অফিসের পছন্দের ঠিকাদার ও মৎস্য অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিজেই।
গত শনিবার ও গতকাল চারটি উপজেলায় সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, ব্যাপক অনিয়মের চিত্র। কাজের তুলনায় বিল দেয়া হয়েছে দ্বিগুণ। এদিকে প্রকল্পগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ যাদের সদস্য করা হয়েছে তারা এর বাস্তবায়ন সম্পর্কে কিছুই জানেন না। কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ তাদের কার্যক্রম। বিল করার ক্ষেত্রে কৌশলে নেয়া হয়েছে স্বাক্ষর। অনেক পুকুরের তলায় মাটি না কেটেই পানি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। মৎস্য কর্মকর্তাদের নির্দেশেই পানি ভরাট করা হচ্ছে জানান অনেক সদস্য। আর পুকুর পাড়ের চারপাশে যেভাবে কাজ করার কথা তা মানা হয়নি কোথাও। সুফলভোগীদের অভিযোগ সঠিক সময়ে কাজ না হলে এ বছরে মাছ চাষ না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অনেক সদস্যই জানে না এই প্রকল্পের কাজ সম্পর্কে। অনেক ঠিকাদার কাজ না করেই এখন বিল তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছে এমন অভিযোগ সুফলভোগীদের।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলার সদর, তাড়াশ, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ উপজেলায় এ প্রকল্পের অধীনে চলতি অর্থ বছরে প্রায় ৩৩ হেক্টর আয়তনের ৩৯টি পুকুর খননের জন্য ৩ কোটি ৯২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন মৎস্য অধিদপ্তর। চলতি বছরের ৩০শে জুন এরমধ্যে এই কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। আর চূড়ান্ত বিল প্রদান করতে হবে ৩০শে জুনের মধ্যে।
তাড়াশ চোরধরা পুকুর পুনঃখনন প্রকল্পের সুফলভোগী জহুরুল, মানিক চান, আজগর আলী মানবজমিনকে বলেন, এই পুকুর খনন হচ্ছে শুনেছি তবে বাস্তবের চিত্রটা উল্টো। এই কাজ করার সময় আমাদের থাকার কথা এবং খনন কাজ আমাদের দিয়েই ঠিকাদার করবে। কিন্তু আমরা এর কিছুই জানি না। তারা যেভাবে করে দেবে আমাদের তাই মেনে নিতে হবে। এখানে মৎস্য অফিসারদের কথার বাইরে আমাদের যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। রায়গঞ্জ বড়মনিহার পুকুর পুনঃখনন প্রকল্পের সুফলভোগী আমজাদ হোসেন, মরিয়ম বেগম জানান, পুকুর খনন হচ্ছে তা শুধু শুনেছি। হয়তো কাগজে কলমে অনেক কাজ দেখাচ্ছে বাস্তবে পাড়ের ঘাস কেটে পরিষ্কার করছে। এই পুকুর এখন ঠিকমতো খনন না করলে আগামী বর্ষা মৌসুমে মাছ চাষ করা সম্ভব হবে না আমাদের।
এ বিষয়ে জানতে সিরাজগঞ্জে জেলা মৎস্য অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য অফিসে একাধিকবার গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি, পরে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাহেদ আলী মানবজমিনকে জানান, সুফলভোগীদের মাধ্যমেই কাজ হচ্ছে এবং কাজের ওপর ভিত্তি করেই বিল প্রদান করা হচ্ছে। অনিয়মের সঠিক অভিযোগ পেলে তদন্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত শনিবার ও গতকাল চারটি উপজেলায় সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, ব্যাপক অনিয়মের চিত্র। কাজের তুলনায় বিল দেয়া হয়েছে দ্বিগুণ। এদিকে প্রকল্পগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ যাদের সদস্য করা হয়েছে তারা এর বাস্তবায়ন সম্পর্কে কিছুই জানেন না। কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ তাদের কার্যক্রম। বিল করার ক্ষেত্রে কৌশলে নেয়া হয়েছে স্বাক্ষর। অনেক পুকুরের তলায় মাটি না কেটেই পানি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। মৎস্য কর্মকর্তাদের নির্দেশেই পানি ভরাট করা হচ্ছে জানান অনেক সদস্য। আর পুকুর পাড়ের চারপাশে যেভাবে কাজ করার কথা তা মানা হয়নি কোথাও। সুফলভোগীদের অভিযোগ সঠিক সময়ে কাজ না হলে এ বছরে মাছ চাষ না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অনেক সদস্যই জানে না এই প্রকল্পের কাজ সম্পর্কে। অনেক ঠিকাদার কাজ না করেই এখন বিল তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছে এমন অভিযোগ সুফলভোগীদের।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলার সদর, তাড়াশ, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ উপজেলায় এ প্রকল্পের অধীনে চলতি অর্থ বছরে প্রায় ৩৩ হেক্টর আয়তনের ৩৯টি পুকুর খননের জন্য ৩ কোটি ৯২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন মৎস্য অধিদপ্তর। চলতি বছরের ৩০শে জুন এরমধ্যে এই কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। আর চূড়ান্ত বিল প্রদান করতে হবে ৩০শে জুনের মধ্যে।
তাড়াশ চোরধরা পুকুর পুনঃখনন প্রকল্পের সুফলভোগী জহুরুল, মানিক চান, আজগর আলী মানবজমিনকে বলেন, এই পুকুর খনন হচ্ছে শুনেছি তবে বাস্তবের চিত্রটা উল্টো। এই কাজ করার সময় আমাদের থাকার কথা এবং খনন কাজ আমাদের দিয়েই ঠিকাদার করবে। কিন্তু আমরা এর কিছুই জানি না। তারা যেভাবে করে দেবে আমাদের তাই মেনে নিতে হবে। এখানে মৎস্য অফিসারদের কথার বাইরে আমাদের যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। রায়গঞ্জ বড়মনিহার পুকুর পুনঃখনন প্রকল্পের সুফলভোগী আমজাদ হোসেন, মরিয়ম বেগম জানান, পুকুর খনন হচ্ছে তা শুধু শুনেছি। হয়তো কাগজে কলমে অনেক কাজ দেখাচ্ছে বাস্তবে পাড়ের ঘাস কেটে পরিষ্কার করছে। এই পুকুর এখন ঠিকমতো খনন না করলে আগামী বর্ষা মৌসুমে মাছ চাষ করা সম্ভব হবে না আমাদের।
এ বিষয়ে জানতে সিরাজগঞ্জে জেলা মৎস্য অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য অফিসে একাধিকবার গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি, পরে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাহেদ আলী মানবজমিনকে জানান, সুফলভোগীদের মাধ্যমেই কাজ হচ্ছে এবং কাজের ওপর ভিত্তি করেই বিল প্রদান করা হচ্ছে। অনিয়মের সঠিক অভিযোগ পেলে তদন্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।