বাংলারজমিন
লকডাউনে প্রাইভেটকার মাইক্রোবাসের দখলে মহাসড়ক
রিপন আনসারী, মানিকগঞ্জ থেকে
৩ মে ২০২১, সোমবার, ৮:১৩ অপরাহ্ন
ঢাকা-আরিচা ও পাটুরিয়া মহাসড়ক। করোনার সংক্রমণ রোধে বন্ধ গণপরিবহন। দূরপাল্লার বাসের দেখা নেই অনেকদিন ধরেই। তারপরও মানুষের চলাচলে নেই কোনো নিয়ন্ত্রণ। রোডঘাট পুরোটাই দখলে নিয়েছে প্রাইভেটকার আর মাইক্রোবাস। এই ছোট যানবাহন চলাচলে কার্যত কোনো বাধানিষেধ নেই বললেই চলে। এ ছাড়া পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে চলছে ফেরি। পার হচ্ছে ছোট ছোট ওইসব যানবাহন এবং অতিজরুরি পণ্যবাহী ট্রাক, এম্বুলেন্সসহ রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহৃত পরিবহন।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও পাটুরিয়া ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, রোডে গণপরিবহন নেই। তবে মানুষ যাতায়াতের জন্য ভাড়ায় চলছে প্রাইভেটকার আর মাইক্রোবাস। এসব গাড়িযোগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ব্যবহার করে যে যার গন্তব্যে যাওয়া-আসা করছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকার সুযোগে ছোট ওই সব গাড়ির মালিক-শ্রমিকরা ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছে নৈরাজ্য। ঢাকা থেকে পাটুরিয়া কিংবা মানিকগঞ্জ জেলা শহরে একটি প্রাইভেটকারের ভাড়া আগে যেখানে ছিল ২৫০০-২৭০০ টাকা সেখানে করোনার এই দুঃসময়ের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৫-৬ হাজার টাকা। ভাড়া নিয়ে এমন নৈরাজ্য চলছে করোনাভাইরাসের প্রথম ধাপ থেকেই। এ ছাড়া গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া নৌরুট দিয়ে প্রতিদিন হাজারো ছোট গাড়ি বিশেষ করে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস পারাপার হচ্ছে। ঘাট কর্তৃপক্ষের মতে লকডাউনের মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ৮০০-৯০০ ছোট গাড়ি ফেরিতে পারাপার হচ্ছে।
পাটুরিয়া ঘাটে কথা হয় ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও যশোরের কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে। এদের একজন অমূল্য বিশ্বাস। ছোট ছোট দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে যাচ্ছেন ফরিদপুর। ঢাকার মিরপুর থেকে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া নিয়ে আসেন পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত। তিনি বলেন, খুব জরুরি প্রয়োজনে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত প্রাইভেটকার ভাড়া দিয়েছি ৬ হাজার টাকা। ফেরি পার হয়ে আবার গোয়ালন্দ থেকে যেতে হবে আরেক প্রাইভেটকারে। আগে ঢাকা থেকে ৫-৬ হাজার টাকা হলে প্রাইভেটকার দিয়ে সোজা ফরিদপুর যেতে পারতাম। কিন্তু এখন পাটুরিয়া ঘাটে আসতেই দিতে হলো ৬ হাজার টাকা। মানুষের বিপদে ভাড়া নিয়ে এমন নৈরাজ্য চললেও দেখার কেউ নেই। মিরপুরের প্রাইভেটকার চালক রতন মিয়া বলেন, করোনাকালীন সময়ে আমরাও ভালো নেই। ঠিকমতো গাড়ি চালাতে পারি না। যাও চালাই এতে রোডে-ঘাটে নানান সমস্যায় পড়তে হয়। আর ভাড়া বেশি না নিলে পোষাবে না। আমরাও তো করোনার ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সেবা দিচ্ছি। এটা কেউ দেখে না, শুধু অভিযোগ আমরা ভাড়া বেশি নিচ্ছি। বিআইডব্লিউটিসি আরিচা অঞ্চলের ডিজিএম মো. জিল্লুর রহমান বলেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও সীমিত আকারে ফেরি সার্ভিস চালু রেখেছি। বর্তমানে ৪-৫ ফেরি দিয়ে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, এম্বুলেন্স এবং অতিজরুরি পণ্যবাহী ট্রাক ও রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহৃত পরিবহন পারাপার করা হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ৯শ’ ছোট গাড়ি অর্থাৎ প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস পারাপার হচ্ছে বলে তিনি জানান।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও পাটুরিয়া ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, রোডে গণপরিবহন নেই। তবে মানুষ যাতায়াতের জন্য ভাড়ায় চলছে প্রাইভেটকার আর মাইক্রোবাস। এসব গাড়িযোগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ব্যবহার করে যে যার গন্তব্যে যাওয়া-আসা করছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকার সুযোগে ছোট ওই সব গাড়ির মালিক-শ্রমিকরা ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছে নৈরাজ্য। ঢাকা থেকে পাটুরিয়া কিংবা মানিকগঞ্জ জেলা শহরে একটি প্রাইভেটকারের ভাড়া আগে যেখানে ছিল ২৫০০-২৭০০ টাকা সেখানে করোনার এই দুঃসময়ের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৫-৬ হাজার টাকা। ভাড়া নিয়ে এমন নৈরাজ্য চলছে করোনাভাইরাসের প্রথম ধাপ থেকেই। এ ছাড়া গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া নৌরুট দিয়ে প্রতিদিন হাজারো ছোট গাড়ি বিশেষ করে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস পারাপার হচ্ছে। ঘাট কর্তৃপক্ষের মতে লকডাউনের মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ৮০০-৯০০ ছোট গাড়ি ফেরিতে পারাপার হচ্ছে।
পাটুরিয়া ঘাটে কথা হয় ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও যশোরের কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে। এদের একজন অমূল্য বিশ্বাস। ছোট ছোট দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে যাচ্ছেন ফরিদপুর। ঢাকার মিরপুর থেকে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া নিয়ে আসেন পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত। তিনি বলেন, খুব জরুরি প্রয়োজনে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত প্রাইভেটকার ভাড়া দিয়েছি ৬ হাজার টাকা। ফেরি পার হয়ে আবার গোয়ালন্দ থেকে যেতে হবে আরেক প্রাইভেটকারে। আগে ঢাকা থেকে ৫-৬ হাজার টাকা হলে প্রাইভেটকার দিয়ে সোজা ফরিদপুর যেতে পারতাম। কিন্তু এখন পাটুরিয়া ঘাটে আসতেই দিতে হলো ৬ হাজার টাকা। মানুষের বিপদে ভাড়া নিয়ে এমন নৈরাজ্য চললেও দেখার কেউ নেই। মিরপুরের প্রাইভেটকার চালক রতন মিয়া বলেন, করোনাকালীন সময়ে আমরাও ভালো নেই। ঠিকমতো গাড়ি চালাতে পারি না। যাও চালাই এতে রোডে-ঘাটে নানান সমস্যায় পড়তে হয়। আর ভাড়া বেশি না নিলে পোষাবে না। আমরাও তো করোনার ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সেবা দিচ্ছি। এটা কেউ দেখে না, শুধু অভিযোগ আমরা ভাড়া বেশি নিচ্ছি। বিআইডব্লিউটিসি আরিচা অঞ্চলের ডিজিএম মো. জিল্লুর রহমান বলেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও সীমিত আকারে ফেরি সার্ভিস চালু রেখেছি। বর্তমানে ৪-৫ ফেরি দিয়ে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, এম্বুলেন্স এবং অতিজরুরি পণ্যবাহী ট্রাক ও রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহৃত পরিবহন পারাপার করা হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ৯শ’ ছোট গাড়ি অর্থাৎ প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস পারাপার হচ্ছে বলে তিনি জানান।