বাংলারজমিন

রমেকে রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতি অচল, ভোগান্তি

জাভেদ ইকবাল, রংপুর থেকে

৩ মে ২০২১, সোমবার, ৭:৫৬ অপরাহ্ন

একদিকে করোনা আতঙ্ক, অপরদিকে রোগ নির্ণয়ের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি অচল থাকায় রোগী কমছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসায় ভোগান্তিতে পড়েছে  নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষজনেরা। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগ নির্ণয়ের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি অচল হয়ে থাকায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বাইরে থেকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হচ্ছে। এতে করে তাদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বেড়ে যাচ্ছে বহুগুণে। রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এনজিওগ্রাম, ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন, সিটি স্ক্যান মেশিন, কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস মেশিন, অপারেশনের যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্তকরণ মেশিনসহ বিভিন্ন মেশিন নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। কবে নাগাদ এসব মেশিনপত্র ভালো হবে তা সঠিকভাবে কেউই বলতে পারছে না।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, হাসপাতালের অনেক যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকগুলোর মেয়াদ শেষ হয়েছে। জোড়াতালি দিয়ে কোনো রকমে চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন, সিটি স্ক্যান মেশিন হ্যান্ডওভার করা হয়েছে। ঢাকা থেকে প্রকৌশলীরা এসে কিডনি বিভাগের মেশিনগুলো পরীক্ষা করে দেখবেন। আশা করছি এই সংকট আর থাকবে না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডায়ালাইসিস বিভাগ ২০ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে কিডনি  রোগীরা ডায়ালাইসিস করতে পারছেন না। ডায়ালাইসিস করতে না পারায় ২০ দিনে ১৮ দরিদ্র রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিডনি ওয়ার্ডের এক সেবিকা জানান, ডায়ালাইসিসের পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্ট এবং বেশ কয়েকটি ডায়ালাইসিস মেশিন বিকল হওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ৭ লাখ টাকা খরচ করলে দুটি পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্ট বসানো সম্ভব। ডায়ালাইসিস বিভাগ থেকে প্রতি মাসে আয় প্রায় ৪ লাখ টাকারও বেশি। ৮ই এপ্রিল থেকে ডায়ালাইসিস মেশিনগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে ওয়ার্ডটি এখন রোগীশূন্য অবস্থায় পড়ে আছে। সেখানকার টেকনিশিয়ান মাসুদ মিয়া জানান, একজন কিডনি রোগীকে ৪ ঘণ্টাব্যাপী ডায়ালাইসিস করতে হয় অথচ গত একমাস ধরে ডায়ালাইসিস ইউনিটটি বন্ধ রয়েছে। পিউরিফাইড পানি শোধনের জন্য মেশিন দুটি বিকল থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করতে ৬ মাসের প্যাকেজে মাত্র ২০ হাজার টাকা লাগে। প্রতিবার ডায়ালাইসিস করতে খরচ পড়ে ৪শ’ টাকা। আর বাইরে করলে প্রতিবার ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা খরচ লাগে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি ওয়ার্ডের ইনচার্জ মোখলেসুর রহমান জানান, এই ওয়ার্ডে ডায়ালাইসিস মেশিন আগে ছিল ৩০টি, এখন ১৮টিতে দাঁড়িয়েছে। বাকিগুলো বিকল হয়ে পড়ে আছে। তারপরেও রোগীদের সেবা দেয়া চলছিল কিন্তু দুটো মেশিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ডায়ালাইসিস পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালের কিডনি বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আনিসুজ্জামান জানান, মেশিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ডায়ালাইসিস করা যাচ্ছে না। রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে না।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status