বাংলারজমিন
ঠাঁই নেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
১ মে ২০২১, শনিবার, ৮:৫৮ অপরাহ্ন
ঠাঁই নেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে। ধারণ ক্ষমতার ৩ গুণ বেশি বন্দি অবস্থান করছে বর্তমানে কারাগারটিতে। এমনি অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার ও গতকাল ৭০ বন্দিকে কুমিল্লা ও ফেনী কারাগারে সরিয়ে নেয়া হয়। জেলা কারাগার সূত্র জানায়, কারাগারটির বন্দি ধারণ ক্ষমতা ৬০০। সেখানে বর্তমানে কারান্তরীণ সাড়ে ১৭শ’ জন। এরমধ্যে কারাগারের একটি দ্বিতল ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ চলমান থাকায় ওই ভবনে বন্দি রাখা বন্ধ রয়েছে। তিতাস নামের ওই ভবনটি ৬শ’ ধারণ ক্ষমতার হিসাবের মধ্যে। কারাগারে মহিলা ব্যারাকসহ মোট বন্দি ভবন রয়েছে ৫টি। প্রায় ৭ মাস আগে তিতাস ভবনটি ৪ তলা করার কাজ শুরু হলে কারাগারের ৬শ’ ধারণ ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই কমে আসে। এই ভবনের বন্দিদের অন্য বন্দি ভবনে সরিয়ে নেয়া হয়। এরমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া তাণ্ডবে জড়িতদের গ্রেপ্তারে কারাগারের পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে ওঠে। গতকাল পর্যন্ত তাণ্ডবের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া মোট ৩৯২ জন এই কারাগারে বন্দি রয়েছে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে গাদাগাদি অবস্থায় কারাগারের বিভিন্ন ভবনে অবস্থান করছেন সাড়ে ১৭শ’ বন্দি। যদিও কারা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে সব সময়ই ১৪-১৫শ’ বন্দি থাকে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত ইসলামের বিক্ষোভ ও হরতাল কর্মসূচিতে গত ২৬ থেকে ২৮শে মার্চ পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপক তাণ্ডব চলে। হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে বিভিন্ন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সরকার দলের নেতাদের বাড়িতে। এ সব ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি ও সরাইল থানায় ২টিসহ মোট ৫৫টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয়সহ ৩৯-৪০ হাজার লোককে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে গতকাল পর্যন্ত ৩৯২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেলা কারাগারের জেলর মো. মাসুদ হাসান অতিরিক্ত বন্দি থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ঈদের আগে বা পরে দ্বিতল ভবনটির ৪ তলায় সম্প্রসারণের কাজ শেষ হবে। এটি তাদের বুঝিয়ে দেয়া হলে বন্দি স্থান সংকুলানের সমস্যা কিছুটা দূর হবে। তাছাড়া সহিংসতার সন্দেহজনক বন্দিদের নিরাপত্তাজনিত কারণে এবং স্থান সংকুলানের সমস্যায় গত দু’দিনে ৭০ জন বন্দিকে কুমিল্লা ও ফেনী কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। এরমধ্যে গত বৃহস্পতিবার ৫০ জনকে কুমিল্লায় এবং গতকাল ২০ জনকে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে পরবর্তীকালে আরো বন্দি স্থানান্তর হতে পারে বলে জানান তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত ইসলামের বিক্ষোভ ও হরতাল কর্মসূচিতে গত ২৬ থেকে ২৮শে মার্চ পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপক তাণ্ডব চলে। হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে বিভিন্ন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সরকার দলের নেতাদের বাড়িতে। এ সব ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি ও সরাইল থানায় ২টিসহ মোট ৫৫টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয়সহ ৩৯-৪০ হাজার লোককে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে গতকাল পর্যন্ত ৩৯২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেলা কারাগারের জেলর মো. মাসুদ হাসান অতিরিক্ত বন্দি থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ঈদের আগে বা পরে দ্বিতল ভবনটির ৪ তলায় সম্প্রসারণের কাজ শেষ হবে। এটি তাদের বুঝিয়ে দেয়া হলে বন্দি স্থান সংকুলানের সমস্যা কিছুটা দূর হবে। তাছাড়া সহিংসতার সন্দেহজনক বন্দিদের নিরাপত্তাজনিত কারণে এবং স্থান সংকুলানের সমস্যায় গত দু’দিনে ৭০ জন বন্দিকে কুমিল্লা ও ফেনী কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। এরমধ্যে গত বৃহস্পতিবার ৫০ জনকে কুমিল্লায় এবং গতকাল ২০ জনকে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে পরবর্তীকালে আরো বন্দি স্থানান্তর হতে পারে বলে জানান তিনি।