বিশ্বজমিন
ভাইস-এর প্রতিবেদন
ভ্যাকসিন সংক্রান্ত ভুয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দম্ভ দেখাচ্ছে রাশিয়া
মানবজমিন ডেস্ক
৩০ এপ্রিল ২০২১, শুক্রবার, ৭:৫২ অপরাহ্ন
রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক-ভি এ সপ্তাহে একাধিক টুইট করে এই ভ্যাকসিনের কার্যকরিতা নিয়ে কিছু দাবি ও তথ্য প্রদান করেছে যা মিথ্যা এবং মানুষকে ভুল ধারণা প্রদান করে। এখন বৃহস্পতিবার কো¤পানিটির টুইটার থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে, ব্রাজিলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে যাচ্ছে তারা। পুরো বিষয়টি শুনতে কৌতুকের মতো মনে হতে পারে। কিন্তু ব্রাজিলের এখন কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ থামাতে জরুরি ভ্যাকসিন প্রয়োজন। তারপরেও রাশিয়ার ভ্যাকসিন আমদানি করবে না বলে জানিয়েছে দেশটি। কারণ হিসেবে দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আনভিসা জানিয়েছে, রাশিয়ার ভ্যাকসিনের কার্যকরিতা ও নিরাপত্তা নিয়ে তথ্যের কমতি থাকায় তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে এরপরই একাধিক ডাটা সম্বলিত টুইট করেছে স্পুটনিক-ভি। এতে দাবি করা হয়েছে, ভ্যাকসিনটি কার্যকর ও সম্পুর্ন নিরাপদ। এরপর গত মঙ্গলবার এটি ব্রাজিলকে অভিযুক্ত করে। দেশটি প্রথমে রাশিয়া থেকে ৪৭ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে পরে এই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসে ব্রাজিল। মস্কোর অভিযোগ, ওয়াশিংটনের চাপেই এমনটা করা হয়েছে।
স্পুটনিক-ভি এর টুইটার থেকে দাবি করা হয়, এটি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রদান করা ভ্যাকসিন। বিশ্বের ৬২ দেশের মানুষকে এই ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। তবে ফ্যাক্ট-চেক করে জানা গেছে, এই দাবির পক্ষে তেমন কোনো বিশ্বাসযোগ্য সূত্র যুক্ত করা হয়নি। এই টুইটটি ২ হাজার বারেরও বেশি শেয়ার হয়েছে। এরপর আরেক টুইটে তারা দাবি করে, স্পুটনিক-ভি এখন পর্যন্ত সবথেকে নিরাপদ ও কার্যকরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন। এতে তারা হাঙ্গেরি সরকারের একটি দাবি যুক্ত করে দেয়। এই টুইটও ১৫০০ বারের বেশি শেয়ার হয়েছে। কিন্তু হাঙ্গেরির মেডিক্যাল চেম্বারসহ অনেকেই এমন দাবি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তারা এমন দাবির পেছনে থাকা আসল তথ্য জানতে চেয়ে অনুরোধ জানিয়েছে। কারণ প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, যে সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে তা ভ্যাকসিনের কার্যকরিতা নির্ধারনের জন্য যথেষ্ট নয়। স্পুটনিকের একাউন্ট থেকে এখনো একের পর এক দাবি করে যাওয়া হচ্ছে। এসব দাবির কোনো স্পষ্ট ভিত্তি নেই। একইসঙ্গে ব্রাজিল যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তাকেও মিথ্যা দাবি করেছে কোম্পানিটি। এখন তারা বলছে, এমন উদ্বেগ প্রকাশের জন্য ব্রাজিলের ওষুধ নিয়ন্ত্রকদের বিরুদ্ধে মামলা করবে তারা।
ল্যানসেটের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়ার ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশেরও বেশি কার্যকরি। তবে অভিযোগ রয়েছে, ভ্যাকসিনের প্রাথমিক উৎপাদন আর এখন উৎপাদিত ভ্যাকসিনের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ব্রাজিলের দাবি, রাশিয়ার ভ্যাকসিন হয়ত বেশিরভাগের জন্যে নিরাপদ হবে। কিন্তু যারা 'ইমিউনোকম্প্রোমাইজড' তাদের জন্য এই ভ্যাকসিন ভয়াবহ অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে। যদিও এমন দাবি অস্বীকার করেছে স্পুটনিক-ভি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গামালেয়া ইনস্টিটিউট।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক্সটার্নাল একশন সার্ভিস থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে রাশিয়া ও চীন রাষ্ট্রীয়ভাবে পশ্চিমা দেশগুলোতে আবিষ্কৃত কোভিড ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে। একইসঙ্গে দেশ দুটি নিজেদের ভ্যাকসিনের প্রচারের জন্য মিথ্যা তথ্য প্রচার করে চলেছে।
তবে এরপরই একাধিক ডাটা সম্বলিত টুইট করেছে স্পুটনিক-ভি। এতে দাবি করা হয়েছে, ভ্যাকসিনটি কার্যকর ও সম্পুর্ন নিরাপদ। এরপর গত মঙ্গলবার এটি ব্রাজিলকে অভিযুক্ত করে। দেশটি প্রথমে রাশিয়া থেকে ৪৭ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে পরে এই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসে ব্রাজিল। মস্কোর অভিযোগ, ওয়াশিংটনের চাপেই এমনটা করা হয়েছে।
স্পুটনিক-ভি এর টুইটার থেকে দাবি করা হয়, এটি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রদান করা ভ্যাকসিন। বিশ্বের ৬২ দেশের মানুষকে এই ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। তবে ফ্যাক্ট-চেক করে জানা গেছে, এই দাবির পক্ষে তেমন কোনো বিশ্বাসযোগ্য সূত্র যুক্ত করা হয়নি। এই টুইটটি ২ হাজার বারেরও বেশি শেয়ার হয়েছে। এরপর আরেক টুইটে তারা দাবি করে, স্পুটনিক-ভি এখন পর্যন্ত সবথেকে নিরাপদ ও কার্যকরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন। এতে তারা হাঙ্গেরি সরকারের একটি দাবি যুক্ত করে দেয়। এই টুইটও ১৫০০ বারের বেশি শেয়ার হয়েছে। কিন্তু হাঙ্গেরির মেডিক্যাল চেম্বারসহ অনেকেই এমন দাবি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তারা এমন দাবির পেছনে থাকা আসল তথ্য জানতে চেয়ে অনুরোধ জানিয়েছে। কারণ প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, যে সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে তা ভ্যাকসিনের কার্যকরিতা নির্ধারনের জন্য যথেষ্ট নয়। স্পুটনিকের একাউন্ট থেকে এখনো একের পর এক দাবি করে যাওয়া হচ্ছে। এসব দাবির কোনো স্পষ্ট ভিত্তি নেই। একইসঙ্গে ব্রাজিল যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তাকেও মিথ্যা দাবি করেছে কোম্পানিটি। এখন তারা বলছে, এমন উদ্বেগ প্রকাশের জন্য ব্রাজিলের ওষুধ নিয়ন্ত্রকদের বিরুদ্ধে মামলা করবে তারা।
ল্যানসেটের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়ার ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশেরও বেশি কার্যকরি। তবে অভিযোগ রয়েছে, ভ্যাকসিনের প্রাথমিক উৎপাদন আর এখন উৎপাদিত ভ্যাকসিনের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ব্রাজিলের দাবি, রাশিয়ার ভ্যাকসিন হয়ত বেশিরভাগের জন্যে নিরাপদ হবে। কিন্তু যারা 'ইমিউনোকম্প্রোমাইজড' তাদের জন্য এই ভ্যাকসিন ভয়াবহ অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে। যদিও এমন দাবি অস্বীকার করেছে স্পুটনিক-ভি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গামালেয়া ইনস্টিটিউট।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক্সটার্নাল একশন সার্ভিস থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে রাশিয়া ও চীন রাষ্ট্রীয়ভাবে পশ্চিমা দেশগুলোতে আবিষ্কৃত কোভিড ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে। একইসঙ্গে দেশ দুটি নিজেদের ভ্যাকসিনের প্রচারের জন্য মিথ্যা তথ্য প্রচার করে চলেছে।