বই থেকে নেয়া

মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩৬)

‘বিচারের পথ অবরুদ্ধ হলে জনগণ আইন নিজেদের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হয়’

স্টাফ রিপোর্টার

২৯ এপ্রিল ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন

বুধবার ১লা আগস্ট ২০০৭ দিন ১১১
বৃটিশ আমল থেকে কারাগারে রাজনৈতিক বন্দিদের প্রতি ভদ্রোচিত ও সম্মানজনক আচরণ করার ঐতিহ্য অনুসৃত হয়ে আসছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে সেই ধারা অব্যাহত ছিল। একদলীয় শাসন ও সামরিক শাসন উভয় ক্ষেত্রে কারাবরণের অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে। জেল কর্তৃপক্ষ সব সময়ই রাজনীতিবিদদের সঙ্গে একটি সাবলীল আন্তরিক সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। অতিথিদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ, আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা, বাসা থেকে খাবার ও জিনিসপত্র আনানো, পর্নোগ্রাফি বাদে যেকোনো রকমের বই ও পাঠযোগ্য জিনিসপত্র নিয়ে আসা ইত্যাদির ব্যাপারে কোনো কড়াকড়ি ছিল না। কিন্তু এখন অবস্থা সম্পূর্ণভাবে বিপরীতমুখী। ওদের আচরণ অনেকটাই মারমুখী। জেলগেটে আসা-যাওয়ার সময় দেহতল্লাশি এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। বিস্কুট, জুস, ফলমূল, মিষ্টি এমনকি মিনারেল ওয়াটারও জেলগেটে আটকে দেয়া হচ্ছে। জেলগেটে সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনীর নজরদারি পরিস্থিতি আরো জটিল ও ঘোলাটে করে তুলেছে।
এর আগে দেখেছি জেলার, জেল সুপার ও জেলের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল ঘন ঘন আমাদের সঙ্গে দেখা করে আমাদের ভালো-মন্দের খোঁজখবর নিয়েছেন। অথচ এখন এক মাসে তাদের একবারও আসতে দেখা যায় না। এমনকি আসার জন্য লিখিত আবেদন জানালেও তাদের দেখা মেলে না। ওদের মধ্যে স্বাভাবিক সৌজন্যবোধও এখন বিলীন হয়ে গেছে। ফলে কারাবাসের দিনগুলোকে আরো হতাশাব্যঞ্জক বলে মনে হয়। এমনকি বাইরে একটি চিঠি পাঠানো, একজন আইনজীবী নিয়োগ করে কোর্টে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ওকালতনামা স্বাক্ষর করানো কিংবা কোনো দলিলপত্র কপি করানোর মতো ছোট ছোট কাজের জন্যও তাদের অসহযোগিতা একরকম নিয়মিত সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার ২রা আগস্ট ২০০৭ দিন ১১২
ডাক্তারদের বেলায়ও এখানে একই কথা প্রযোজ্য। আগে তারা নিয়মিত আসতেন। এখন আর আসছেন না। প্রয়োজন মতো তাদের দেখা পাওয়া কঠিন। প্রায় ১০ হাজার বন্দির জন্য ডাক্তার রয়েছেন মাত্র তিনজন। আমার পা ফুলে যাবার পর ডাক্তারের সাহায্য চেয়েছি। কিন্তু কয়েকদিন ধরে কেউ দেখা দেননি। ওদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। ফলে যন্ত্রণা বাড়ছে আমার।
আমার স্টাফ শাহীন প্রায় দেড় মাস ধরে আমাকে দেখতে আসছে না। যৌথবাহিনীর ভয়ে সে ভীত, রাতে বাসায় থাকে না। সর্বক্ষণ ওরা তাকে তাড়া করে ফিরছে, হুমকি দিচ্ছে মেরে ফেলার। ওদের একমাত্র লক্ষ্য শহীদ যেন আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না রাখে। ওরা চেষ্টা করছে শহীদকে আমার বিরুদ্ধে সাক্ষী বানাতে।
আপিল বিভাগের কয়েকজন বিচারক মেরুদ-হীন, অযোগ্য, ভীতু ও অসৎ বলে মনে হয়। ওরা যদি যোগ্য ও সৎ হতেন তাহলে তারা আত্মবিশ্বাসী হয়ে সংবিধান ও জনগণের অধিকারকে সমুন্নত রাখতে পারতেন। কাউকে ভয় করে চলতে হতো না ওদের।
চাঁদাবাজির আর এক মামলায় হাসিনার জামিনের ব্যাপারে হাইকোর্টের নির্দেশের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে, একজন নাগরিকের অধিকার ও আদালতের এখতিয়ারের ব্যাপারে দেশের সর্বোচ্চ আদালত জরুরি আইনকে স্থান দিয়েছে। সংবিধানের ঊর্ধ্বে ও জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করার আগের নির্দেশ বহাল রেখেছেন।

শুক্রবার ৩রা আগস্ট ২০০৭ দিন ১১৩
জরুরি অবস্থা জারির অব্যবহিত পর থেকে জামিন ও আটকাদেশের ক্ষেত্রে আপিল বিভাগ একই ধরনের আচরণ করেছে। আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায় স্থগিত রাখার পর থেকে আজ পর্যন্ত সরকারের দায়ের করা কোনো আপিল আবেদনের ওপর পূর্ণ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। আজ পর্যন্ত আমরা লর্ড ডেনিং-এর তত্ত্ব থেকে জেনে আসছি যে, আদালত সব সময় নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষার স্বার্থে সরকারের ক্ষমতা ও প্রভাবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে ও শক্তিমানদের দম্ভ ও ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতাকে প্রতিহত করবে। অথচ আমরা দেখতে পাচ্ছি ঠিক তার বিপরীত। বাংলাদেশের চিরাচরিত ঐতিহ্য হিসেবে আপিল বিভাগ সাধারণত হাইকোর্ট বিভাগের কোনো যুক্তিসিদ্ধ সিদ্ধান্তের ওপর হস্তক্ষেপ করে না। কিন্তু সে ঐতিহ্য এখন বিলীন হয়ে গেছে, বরং হাইকোর্টের যেকোনো অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের ওপর আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ প্রদানই এখন ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এটাও আসলে জরুরি আইনের ছত্রচ্ছায়ায় বিচার প্রক্রিয়াকে নির্বাহী বিভাগের অধঃস্তন করে ফেলে গোটা রাষ্ট্রব্যবস্থাকে দুর্বল করে ফেলার পাঁয়তারারই একটি অংশ। আমরা জানি যে, বিচারের পথ যখন অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জনগণ তখন আইন নিজেদের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হয়।

শনিবার ৪ঠা আগস্ট ২০০৭ দিন ১১৪
অবৈধ এই সরকার বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশের ৭০ ভাগ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। ৮ থেকে ৯ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, গৃহহারা হয়েছে প্রায় ৩ কোটি। জনগণের কাছে দায়বিহীন অনির্বাচিত একটি সরকার এ ভয়াবহ অবস্থা সামাল দেয়ার জন্য অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সম্পদ আহরণ কিংবা আন্তর্জাতিক সাহায্য সংগ্রহ কোনোটাতেই সক্ষম হচ্ছে না। অতীতে এ ধরনের কোনো দুর্যোগ দেখা দিলে দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে জনদুর্গতির মোকাবিলা করতে দেখা গেছে। এবার জেলা পর্যায়ে হাতে গোনা কিছুসংখ্যক আমলা ও সরকারের উপদেষ্টারা বাদে অন্য কারো উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে না। অথচ সেনাপ্রধান কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণ করে এর জন্য রাজনীতিবিদদের দোষারোপ করছেন। সরকারের মূল এজেন্ডা যেখানে রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের বিনাশ করা সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে তিনি সহযোগিতা আশা করেন কীভাবে?
এ সরকারের শুধু বুদ্ধিসত্তা লোপ পাওয়া উদ্ভট ধরনেরই নয়; কাণ্ডজ্ঞানহীনও। বটে!

রোববার ৫ই আগস্ট ২০০৭ দিন ১১৫
সংবিধানের ১৪১(ক) ধারায় জরুরি আইন জারি করার উদ্দেশ্য অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। যুদ্ধাবস্থা, বহিঃশত্রুর আক্রমণ এবং অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলার কারণে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলেই কেবল জরুরি অবস্থা জারি করা বা বহাল রাখা যেতে পারে। ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারিতে দুই দলের রাজনৈতিক বিবাদকে অভ্যন্তরীণ গোলযোগের সূত্র হিসেবে ধরে নিলেও জরুরি অবস্থা জারির জন্য সে অজুহাত সামনে না রেখে প্রধান এজেন্ডা হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি ও দলীয় সংস্কারকে- যা দিয়ে কোনো অবস্থাতেই সংবিধান অনুসারে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা যায় না।
গত ছয় মাসে বিদেশি কোনো বিনিয়োগ হয়নি। মুদ্রাস্ফীতির হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। নতুন কর্মসংস্থান প্রায় বন্ধ। অন্যদিকে, খুলনায় পাটকল বন্ধ হওয়ায় হাজার হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছে। ব্যবসায়ীরা ভীত-সন্ত্রস্ত, ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায়। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি দরে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে হু হু করে।

সোমবার ৬ই আগস্ট ২০০৭ দিন ১১৬
সরকার এখন মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে পারছে জনগণ থেকে তারা কতটুকু বিচ্ছিন্ন। সারা দেশে ব্যাপক বন্যা পরিস্থিতির এই দুঃসময়ে সাধারণ জনগণ, ব্যবসায়ী মহল, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানসমূহ, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, পেশাজীবী গ্রুপ, রাজনৈতিক দল- কেউই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসেনি। এতে বোঝা যায় যে, সরকারের প্রতি বেসামরিক মহলের বিন্দুমাত্র আস্থা বা বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। সরকার এক্ষেত্রে পুরোপুরিভাবে অসহায়। সংবাদপত্রগুলো এখন জনগণের দুর্দশা ও পরিস্থিতি দমনে সরকারি ব্যর্থতার সমালোচনামুখর হয়ে পড়েছে। বন্যা সরে গেলে একপর্যায়ে জনদুর্গতি কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। দুর্বল এ সরকার সে পরিস্থিতি সামাল দেবে কীভাবে?

মঙ্গলবার ৭ই আগস্ট ২০০৭ দিন ১১৭
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনীত পৃথক দুটি চাঁদাবাজির মামলার ওপর হাইকোর্ট বিভাগ রুল জারি করে বিচারকার্য স্থগিত ও জামিন মঞ্জুর করেছে। এটা নিশ্চিত যে, সরকার আপিল বিভাগে আবেদন জানাবেন। এরপর বোঝা যাবে পরবর্তী পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। খালেদা জিয়া গতকাল দুর্নীতি দমন বিভাগে তার সম্পদের বিবরণী দাখিল করেছেন।
বন্যা পরিস্থিতির আরেক দফা অবনতি ঘটেছে। হাসিনা ও খালেদা উভয়ে বন্যা উপদ্রুত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জনগণের উদ্দেশে এ ছিল তাদের উন্মুক্ত আহ্বান।
হাসনা, আমান কিংবা আনার কোনো খবর নেই। আনার পরীক্ষার কী হলো ভেবে আমি উদ্বিগ্ন। জানি না হাসনা আনার বার্ষিক টিউশন ফি জোগাড় করতে পেরেছে কি না। গত বিশ বছর ধরে ছুটির সময়ে বছরে তিনবার আমান দেশে ফিরে আসছে। এবার প্রথমবারের মতো গ্রীষ্মের লম্বা ছুটিতেও সে দেশে আসতে পারছে না। ওর জন্য তা হবে বড় একটা মানসিক বিপর্যয়। ও এখন সময় কাটাবে কীভাবে? হাসনা এবং আনাই বা কি করবে? এসব দুর্যোগ-দুর্গতির কথা ক্ষণে ক্ষণে চিন্তা করে চরম বিষণ্নতা প্রতি মুহূর্তে আমাকে গ্রাস করে ফেলে।
আমি ভুলতে পারি না আমার প্রয়াত বাবা ও মাকে। ভুলতে পারি না আসিফকে। মাত্র সাড়ে ছয় বছর বয়সে ১৯৮০ সালের ৩০শে মার্চ চিরনিদ্রায় শায়িত আমার নিষ্পাপ প্রথম সন্তান আসিফের কচিমুখ প্রতি মুহূর্তে ভেসে ওঠে আমার চোখের সামনে। আমার এক অবিচ্ছেদ্য সত্ত্বা, আসিফ আমার প্রতি মুহূর্তের সঙ্গী। আমি এখন পড়ছি আমার শ্রদ্ধেয় বাবা, আরবি ও ফারসি ভাষায় সুপণ্ডিত, বিশিষ্ট আলেম মাওলানা মমতাজ উদ্দীন আহমাদের লেখা অনবদ্য একটি বই কোরআন পরিচয়। যেকোনো পাঠকের জন্য বইটি হবে একটি অমূল্য রত্ন- বইটিতে কোরআন নাজিলের রহস্য ও উপলক্ষ সুগভীর অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রাঞ্জল ভাষায় বিধৃত হয়েছে।

বুধবার ৮ই আগস্ট ২০০৭ দিন ১১৮
দেশের কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ মানুষ এখন বানের জলে ভাসছে। এ অবস্থায় সরকার কেবল প্রয়োজনের তুলনায় ৫ থেকে ১০ শতাংশ ত্রাণসামগ্রী বিতরণে সক্ষম, বাকি অংশ আসবে জনগণ ও বেসরকারি উদ্যোগের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতায়। কিন্তু সে স্বতঃস্ফূর্ততা নেই। সরকার কার্যত জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। কেন্দ্রীয় কোনো নির্দেশনা না থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সুসংহত কোনো উদ্যোগ নেই। তাছাড়া অনির্বাচিত প্রশাসন ও উপদেষ্টাদের নেই বন্যা ব্যবস্থাপনার কোনো অভিজ্ঞতা।
আমার ভেঙে যাওয়া টেবিল ল্যাম্পটি ঠিক করার জন্য একজন ইলেকট্রিশিয়ান পেতে দু’দিন সময় লেগে গেছে। এখনো তা পুরোপুরি ঠিক হয়নি। রাতের বেলা ঘুমোতে যাবার আগে বিছানায় শুয়ে বই পড়াটাই হলো আমার একটি প্রিয় বিলাসিতা। অথচ গত তিনরাত ধরে এ যৎসামান্য বিলাসিতা থেকেও আমি বঞ্চিত। সবেমাত্র আমি জেফরী আর্চারের সন্স অব ফরচুন এবং হুমায়ুন আহমেদের দেখা না দেখা পড়ে শেষ করেছি। এখন আমি পড়া শুরু করেছি আর্চার-এর অনার অ্যামং থিভস।

চলবে..

আরো পড়ুন-
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৪)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৫)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৬)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৭)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৮)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৯) 
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১০)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১১)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১২)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৩)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৪)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৫)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৬)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৭)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৮)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৯)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২০)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২১)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২২)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৩)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৪)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৫)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৬)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৭)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৮)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৯)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩০)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩১)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩২)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩৩)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩৪)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩৫)
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status