শেষের পাতা
মুমিনুল-শান্তর ব্যাটে চালকের আসনে বাংলাদেশ
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৩ এপ্রিল ২০২১, শুক্রবার, ৯:০৭ অপরাহ্ন
দ্বিতীয় দিন শেষ সেশনে ২৫ ওভার বাকি। কিন্তু আলোক স্বল্পতায় আর খেলা হলো না। পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে ফ্লাড লাইট আছে তবে তা ব্যবহার করা যাবে না! সিরিজ শুরুর আগে ‘প্লেয়িং কন্ডিশন’-এ এমনটাই আছে। কিন্তু এর আগে সকাল থেকেই ক্যান্ডি টেস্টকে আলোকিত করে রাখে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। প্রথমদিনেই নাজমুল হোসেন শান্ত ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। গতকাল তিনি দিন শুরু করেন ১২৭ রানে অপরাজিত থেকে। শেষ পর্যন্ত আউট হন ১৬৩ রান করে। তাকে সঙ্গ দিতে থাকা মুমিনুল হক সৌরভও ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরির দেখা পান। কিন্তু টাইগার অধিনায়কের জন্য এটিও প্রথম পাওয়া। হ্যাঁ, বিদেশের মাটিতে আগে তিনি ১৮ ম্যাচে তিন অংকের জাদুকরি সংখ্যার দেখা পাননি। অন্যদিকে দু’জনে দারুণ ব্যাটিংয়ে জায়গা করে নিয়েছেন জুটির রেকর্ডেও। মুমিনুল বিদায় নেন ১২৭ রান করে। এরপর মুশফিকুর রহীম ৪৩ ও লিটন দাস ২৫ রান করে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। গতকাল দিন শেষে তারা অপরাজিত থাকেন ৫০ রানের জুটি বেঁধে। দিন শেষে স্কোর বোর্ডে ৪৭৪ রান ৪ উইকেট হারিয়ে। এটি বিদেশের মাটিতে টাইগারদের তৃতীয় সর্বেচ্চ দলীয় সংগ্রহ। আজও মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত ব্যাট করতে চায় বাংলাদেশ। ধারণা করা হচ্ছে শ্রীলঙ্কার ঘাড়ে পাঁচশ’ রানের বোঝা তুলেই ইনিংস ঘোষণা করতে পারেন টাইগার আধিনায়ক।
গতকাল পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে ১৫০ রানের অপরাজিত জুুটি নিয়ে দিন শুরু করেছিলেন মুমিনুল ও শান্ত। এদিন তারা টেস্ট ব্যাটিংয়ের ‘অ, আ, ক, খ’ শিখাতে থাকেন লঙ্কান বোলারদের। সেই সঙ্গে দেশের হয়ে দু’জন গড়েন তৃতীয় উইকেটে রেকর্ড জুটি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের আগের রেকর্ড ছিল ২৩৬। করেছিলেন মুমিনুলের সঙ্গে মুশফিকুর রহীম। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই চট্টগ্রামে ছিল সেই জুটি। এবার শান্তকে নিয়ে তা ছাড়িয়ে গেলেন মুমিনুল। শেষ পর্যন্ত ১৪২ রানের এই জুটি থামে শান্তর বিদায়ে। ১৬৩ রান করে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফিরতি ক্যাচ দেন লাহিরু কুমারাকে। তিনি খেলেছেন ৩৭৮ বল, হাঁকিয়েছেন ১৭ চার ও একটি ছক্কা। শুধু তাই নয়, দু’জন যদি আরো পাঁচটি বল খেলতে পারতেন তাহলে আরো একটি রেকর্ড হতো। গতকাল মুমিনুল-শান্ত জুটিতে ৫১৪ বল খেলেন। বাংলাদেশের হয়ে এক জুটিতে ৫০০ বল খেলার কীর্তি এর আগে ছিল একবারই। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই গলে মোহাম্মদ আশরাফুল ও মুশফিকুর রহীমের ২৬৭ রানের জুটি হয়েছিল ৫১৮ বল খেলে।
অন্যদিকে দেশের টেস্ট স্পেশালিষ্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত মুমিনুল। টাইগার অধিনায়ক দেশের হয়ে ক্যারিয়ারে হাঁকিয়েছেন ১০ সেঞ্চুরি। কিন্তু তার এই ব্যাটিং সামর্থ্যকে নিয়ে আছে প্রশ্ন। কারণ, সব সেঞ্চুরিই এসেছে দেশের মাটিতে। অবশেষে সেই শিকল ভেঙেছেন তিনি। দেশের বাইরে নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। গতকাল প্রথম সেশনে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ৭৬ রান। এই সেশনেই মুমিনুল দেখা পান দেশের বাইরে প্রথম সেঞ্চুরির। ২২৪ বল খেলে তিনি পা রাখেন তিন অঙ্কে। সেই সঙ্গে মুশফিকুর রহীমের সঙ্গে মুমিনুলের জুটিও জমে উঠছিল। তবে দীর্ঘ হয়নি। অফ স্টাম্পের বাইরের ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে ড্রাইভ খেলেন মুমিনুল। বল ব্যাটের কোনা ছুঁয়ে ক্যাচ যায় প্রথম স্ল্লিপে। ৩০৪ বলে তার ১২৭ রানের ইনিংসে চার ১১টি। টেস্ট ক্যারিয়ারে এই প্রথম এক ইনিংসে ৩০০ বল খেললেন মুমিনুল।
এরপর দিনের তৃতীয় ও শেষ সেশনে লিটন দাসকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহীম। দু’জন গড়েন ৫০ রানের জুটি। দিন শেষে মুশফিক অপরাজিত থাকেন ১০৭ বলে ৪৩ রানে। আর লিটন ৩৯ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। দেশের বাইরে বাংলাদেশ দল ৫২ ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত দুইবারই দলীয় সংগ্রহ ইনিংসে ৫শ’ ছাড়িয়েছে। প্রথম এই শ্রীলঙ্কাতে গলে ইনিংসে ৬৩০ রান করেছিল টাইগাররা। এরপর ২০১৭-তে নিউজিল্যান্ডে ৫৯৫/৮-এ ইনিংস ঘোষণা করে।
গতকাল পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে ১৫০ রানের অপরাজিত জুুটি নিয়ে দিন শুরু করেছিলেন মুমিনুল ও শান্ত। এদিন তারা টেস্ট ব্যাটিংয়ের ‘অ, আ, ক, খ’ শিখাতে থাকেন লঙ্কান বোলারদের। সেই সঙ্গে দেশের হয়ে দু’জন গড়েন তৃতীয় উইকেটে রেকর্ড জুটি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের আগের রেকর্ড ছিল ২৩৬। করেছিলেন মুমিনুলের সঙ্গে মুশফিকুর রহীম। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই চট্টগ্রামে ছিল সেই জুটি। এবার শান্তকে নিয়ে তা ছাড়িয়ে গেলেন মুমিনুল। শেষ পর্যন্ত ১৪২ রানের এই জুটি থামে শান্তর বিদায়ে। ১৬৩ রান করে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফিরতি ক্যাচ দেন লাহিরু কুমারাকে। তিনি খেলেছেন ৩৭৮ বল, হাঁকিয়েছেন ১৭ চার ও একটি ছক্কা। শুধু তাই নয়, দু’জন যদি আরো পাঁচটি বল খেলতে পারতেন তাহলে আরো একটি রেকর্ড হতো। গতকাল মুমিনুল-শান্ত জুটিতে ৫১৪ বল খেলেন। বাংলাদেশের হয়ে এক জুটিতে ৫০০ বল খেলার কীর্তি এর আগে ছিল একবারই। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই গলে মোহাম্মদ আশরাফুল ও মুশফিকুর রহীমের ২৬৭ রানের জুটি হয়েছিল ৫১৮ বল খেলে।
অন্যদিকে দেশের টেস্ট স্পেশালিষ্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত মুমিনুল। টাইগার অধিনায়ক দেশের হয়ে ক্যারিয়ারে হাঁকিয়েছেন ১০ সেঞ্চুরি। কিন্তু তার এই ব্যাটিং সামর্থ্যকে নিয়ে আছে প্রশ্ন। কারণ, সব সেঞ্চুরিই এসেছে দেশের মাটিতে। অবশেষে সেই শিকল ভেঙেছেন তিনি। দেশের বাইরে নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। গতকাল প্রথম সেশনে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ৭৬ রান। এই সেশনেই মুমিনুল দেখা পান দেশের বাইরে প্রথম সেঞ্চুরির। ২২৪ বল খেলে তিনি পা রাখেন তিন অঙ্কে। সেই সঙ্গে মুশফিকুর রহীমের সঙ্গে মুমিনুলের জুটিও জমে উঠছিল। তবে দীর্ঘ হয়নি। অফ স্টাম্পের বাইরের ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে ড্রাইভ খেলেন মুমিনুল। বল ব্যাটের কোনা ছুঁয়ে ক্যাচ যায় প্রথম স্ল্লিপে। ৩০৪ বলে তার ১২৭ রানের ইনিংসে চার ১১টি। টেস্ট ক্যারিয়ারে এই প্রথম এক ইনিংসে ৩০০ বল খেললেন মুমিনুল।
এরপর দিনের তৃতীয় ও শেষ সেশনে লিটন দাসকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহীম। দু’জন গড়েন ৫০ রানের জুটি। দিন শেষে মুশফিক অপরাজিত থাকেন ১০৭ বলে ৪৩ রানে। আর লিটন ৩৯ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। দেশের বাইরে বাংলাদেশ দল ৫২ ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত দুইবারই দলীয় সংগ্রহ ইনিংসে ৫শ’ ছাড়িয়েছে। প্রথম এই শ্রীলঙ্কাতে গলে ইনিংসে ৬৩০ রান করেছিল টাইগাররা। এরপর ২০১৭-তে নিউজিল্যান্ডে ৫৯৫/৮-এ ইনিংস ঘোষণা করে।