বই থেকে নেয়া

মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৯)

কখনো চিন্তা করিনি আসামীর বেশে কোর্টে দাঁড়াতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার

২২ এপ্রিল ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১১:০২ পূর্বাহ্ন

সোমবার ১৮ জুন ২০০৭ দিন ৬৭
আজ আমার কোর্টে হাজিরার দিন ছিল। শেষ পর্যন্ত বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(খ)(২) ধারার অধীনে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ হলো- আমি চোরাচালান করা অ্যালকোহল বাসায় গুদামজাত করে তা বাজারে বিক্রি করেছি। অভিযোগ ২৫(খ) ধারার অধীনে করা হয়নি। ২নং উপ-ধারার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা ৭ বছরের এবং ন্যূনতম ১ বছরের কারাবাস। ইতিমধ্যে আমি ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৫৬১ক ধারা বলে আনীত অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, আদালতের এখতিয়ার ও যথাযথ কর্তৃত্ব বহির্ভূত বলে গ্রহণের অযোগ্য বিধায় সরাসরি তা নাকচ করার জন্য আবেদন দাখিল করেছি। কিন্তু সামরিক কর্তৃপক্ষের চাপ ও নির্দেশে এতদসত্ত্বেও আদালত আমার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে। আর্মি অফিসারেরা বেসামরিক পোশাকে আদালতে বসে প্রতিনিয়ত মামলার গতিবিধির ওপর নজর রাখছিলেন এবং বিচারকদের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করছিলেন বিধায় সরকারি বাদীপক্ষ তাড়াহুড়ো করে মামলা শেষ করে আমাকে সাজাদানে ব্যস্ত হয়ে পড়ছিলেন। বিচার শুরু করার মানসে সাক্ষী হাজির করার জন্য ২০শে জুন তারিখ ধার্য করা হয়।
অন্যদিকে, মামলা বাতিল করার জন্য আমার আবেদন চূড়ান্ত করা হলেও তা হাইকোর্ট ডিভিশনে মুভ করা সম্ভব হয়নি- কারণ জেল কর্তৃপক্ষ ও ঢাকার ডেপুটি কমিশনার ওকালতনামা, ওয়ারেন্ট অব অ্যাটর্নি এবং আমার পক্ষে মুভ করার জন্য এফিডেভিটনামার ওপর তাদের অনুমোদন ইচ্ছাকৃতভাবে আটকে রেখে দিয়েছিলেন এবং কারণ হিসেবে মিথ্যা কতকগুলো অজুহাত খাড়া করেছে।
যাইহোক, আমি কখনো চিন্তাও করিনি যে, জীবনের এই প্রান্তে এসে আমাকে ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত একজন আসামি হিসেবে বাসায় কিছু অ্যালকোহল রাখার দায়ে আসামির বেশে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। বাসার বিভিন্ন ডিনার পার্টিতে বিদেশি অতিথিদের আপ্যায়ন করার জন্য অ্যালকোহলের  বোতলগুলো ভুলক্রমে এবং অনেকটা অজান্তে সংরক্ষিত ছিল। আমার অনুভূতি এ ব্যাপারে কোন পর্যায়ে পৌঁছেছিল তা ভাষায় প্রকাশ করার কোনো ক্ষমতা আমার নেই। জরুরি আইনের অধীনে কোনো ন্যায়বিচার আশা করা হবে অর্থহীন- কারণ বিচারকদের এমনকি সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদেরও হাত-পা সর্বত্র বাঁধা। অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালতে প্রচলিত আইন বলে যেসব অধিকার ভোগ করেন সেগুলো সবই রহিত করা হয়েছে। দেশে বিরাজ করছে ন্যায়বিচারবিহীন একটি পরিস্থিতি। মামলা প্রমাণিত হোক আর না হোক, সাক্ষ্যপ্রমাণাদি ভালো হোক আর মন্দ হোক, আইনের অনুমোদন থাকুক আর নাই থাকুক, অফিসারদের নির্দেশানুযায়ী আদালত তার সিদ্ধান্ত দেবে এবং অপরাধীর জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি নির্ধারিত করবে। আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করার সুযোগবঞ্চিত অবস্থায় এ ধরনের বিচারিক বর্বরতা এর আগে কখনো এদেশে দেখা যায়নি।

মঙ্গলবার ১৯ জুন ২০০৭ দিন ৬৮
এখন কোনো কোনো ক্ষেত্রে বালকসুলভ কর্মতৎপরতা চলছে। দুর্নীতি উচ্ছেদের নাম করে আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কিছুসংখ্যক ব্যবসায়ীকে আটক করা হচ্ছে এবং গ্রেপ্তারের পর ভয়ভীতি দেখিয়ে বা শারীরিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে তাদের কাছ থেকে নিজেদের অজানা অপরাধের ব্যাপারে স্বীকারোক্তিসহ বিবৃতি আদায় করা হচ্ছে। অতঃপর সেসব বিবৃতি বিকৃত আকারে তাদের গোপন যোগাযোগের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন সংবাদপত্রে যেখানে বড় বড় হেডলাইনে তাদের স্বীকারোক্তিসহ কাল্পনিক দুর্নীতির বিবরণ প্রকাশ করা হচ্ছে। এসবের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার বিরদ্ধে দুর্নাম রটনা করে তাদের চরিত্রহনন করা। আবার এ সমস্ত ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে টাকা আদায় করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা সেসব কাল্পনিক অপরাধের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা বা অভিযোগ থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। যারাই এসব জঘন্য কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত, বাস্তবে তারা আমাদের দেশের নিরীহ জনগণের চেতনা ও ক্ষমতার অবমূল্যায়ন করে চলেছে। এ ধরনের নির্জলা মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা সাজানোর প্রকৃত উদ্দেশ্য কখনোই বাস্তবায়িত হওয়ার নয়, কারণ জনগণ কখনোই এসব অভিযোগকে সত্য হিসেবে বিশ্বাস করে না- শুধু তাই নয়, এক পর্যায়ে গিয়ে এসব তৎপরতা বরং উল্টো ফল দিতে শুরু করে। এ বিষয়ে যে কোনো বিচারকার্য বা অভিযোগই শেষ পর্যন্ত সরকারকে সাহায্য করবে না। কারণ আপিল পর্যায়ে গৃহীত হলে এ সবের অধিকাংশ মামলাই আর টিকবে না।
দুর্নীতির নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় ও আত্মসাতের এ মহোৎসর ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের আনাচে-কানাচে।

বুধবার ২০ জুন ২০০৭ দিন ৬৯
রাজনীতি হলো এক ধরনের ব্যক্তিগত আবেগের বহিঃপ্রকাশমাত্র। রাজনীতিতে জড়িত হওয়ার আকাক্সক্ষাবোধ ব্যক্তিগত চিন্তা-চেতনা থেকেই অঙ্কুরিত হয়। প্রত্যেকটি মানুষেরই একটি সামাজিক বা রাজনৈতিক সত্তা রয়েছে, তবে সকলেই রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত হয়ে পড়ে না। ইচ্ছা করলেই কেউ একজন রাজনৈতিক কর্মীতে পরিণত হয়ে যান না- অনেক কমসংখ্যক লোকই তাতে সফলতা অর্জন করেন। ইচ্ছা করলেই কেউ নেতা হয়ে যেতে পারেন না। আবার ব্যাপক জনসমর্থন পাওয়া এবং জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃত একজন রাজনৈতিক নেতার উত্থান আরো দুষ্প্রাপ্য একটি ঘটনা- প্রতিদিন এটি ঘটতে দেখা যায় না, এটা দুর্লভ ও মহার্ঘ একটি বিষয়। চিরায়তভাবে স্বীকৃত একটি পরীক্ষিত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে। কাজেই সেনাবাহিনী জোর করে ক্ষমতায় গিয়ে রাতারাতি কোনো রাজনৈতিক সংগঠন, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া কিংবা রাজনৈতিক নেতৃত্ব কারো উপর চাপিয়ে দিয়ে নিজেদের মতলব হাসিলের উপলক্ষ হিসেবে তা ব্যবহার করতে চাইলে সে প্রচেষ্টা কার্যকর হতে পারে না। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র কথা বলতে গেলে এটি নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, দল দু’টির কর্মধারায় যত অপ্রাপ্তিই থাকুক না কেন, দলের মূলধারার অংশ সবসময়ই যে কোনো সংস্কারের প্রেক্ষাপটেই হাসিনা ও খালেদার নেতৃত্বের প্রতি অনুগত থাকবে। খালেদাকে বাদ দিয়ে মান্নান ভূঁইয়া এবং হাসিনাকে বাদ দিয়ে আব্দুল জলিল বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোনো ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচিত হবে না।

বৃহস্পতিবার ২১ জুন ২০০৭ দিন ৭০
আজ পাঁচদিন হয়ে গেল আমার জন্য হাইকোর্ট ডিভিশনে আমার পক্ষে কাজ করার জন্য আমির হোসেনকে দেওয়া হলফনামা ঢাকার ডেপুটি কমিশনারের অফিসে জেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পাঠানোর পর সেটির আর কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে আমি জেল কর্তৃপক্ষের কাছে পরপর দু’টি চিঠি পাঠিয়েছি, কিন্তু তারও কোনো ফলাফল আমাকে জানানো হয়নি- যদিও কাজটি করা মাত্র কয়েক ঘণ্টার একটি ব্যাপার। এভাবে সুবিচার পাওয়ার প্রাথমিক রাস্তাগুলোই বন্ধ করে দিয়ে আদালতে যাওয়ার সমস্ত পথ অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, দেশের সকল সিনিয়র, ভালো ও প্রথিতযশা আইনজীবী দুর্নীতি দমন বিভাগের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন এবং তারা এই মর্মে একটি হলফনামা দেবেন যে, তারা কমিশন কর্তৃক দায়েরকৃত কোনো মামলায় অভিযুক্ত কারো পক্ষ সমর্থন করবেন না। অন্য কথায় বলা যায়, এসব আইনজীবী তাদের নিজেদের পেশাগত বিধি ও আইনানুগভাবে লিপিবদ্ধ শর্তাবলী ভঙ্গ করে দেশের নাগরিকদের আইনগত সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে তাদের যে দায়িত্ব ও কর্তব্য ছিল তা পরিপূরণ করতে পারবেন না। এর ফলে এক বিপজ্জনক পর্যায়ের বেআইনি, অবিবেচনাসিদ্ধ ও অমানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে যা দেশের গোটা ইতিহাসে আজ পর্যন্ত ঘটতে দেখা যায়নি এবং কোনোদিন ঘটতে শোনাও যায়নি। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীরা যারা অতীতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ছিলেন সোচ্চার ও উচ্চকণ্ঠ, তারা সামরিক বাহিনী সমর্থিত বেআইনি সরকারকে সহায়তা দিয়ে ব্যক্তিগত মুনাফার জন্যই হোক কিংবা নির্দেশিত হয়ে ভয়ে বা আতঙ্কে সাহসহীন অবস্থায় হোক, এখন তারা জনগণের অধিকার অর্জনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
আমানুল্লাহ আমানকে ইতিমধ্যেই একটি ক্যাঙ্গারু কোর্ট থেকে ১৩ বছরের ও তার স্ত্রীকে তিন বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। যাদের দুর্নীতির অভিযোগে বিচার করা হচ্ছে তাদের বিচারকাজ চলছে ক্যাঙ্গারু কোর্টসদৃশ এক ট্রাইব্যুনালে। শেরেবাংলা নগরের এক নির্জন এলাকার পবিত্র সংসদ ভবনের সীমানার মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে এই তথাকথিত ট্রাইব্যুনাল বা ক্যাঙ্গারু কোর্ট।

শুক্রবার ২২ জুন ২০০৭ দিন ৭১
অবস্থা পরিদৃষ্টে মনে হচ্ছে এই সরকার পুরোপুরি মানবিক চেতনাবোধবর্জিত। কেবলমাত্র অনির্বাচিত এবং জনগণের সঙ্গে সংযোগহীন একটি সরকারের পক্ষেই এটি স্বাভাবিক। তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার একমাত্র অবলম্বন হলো অত্যাচার ও নির্যাতন, কাজেই কাউকে ক্ষমা, দয়া কিংবা সৌজন্যবোধ প্রদর্শনের বিষয়টি তাদের কাছে অর্থহীন। সমস্যা হলো, এই সরকার কেবল একটি জবাবদিহিতাবিহীন অনির্বাচিত সরকার নয়, এটি হলো নেতৃত্ববিহীন একটি সরকার। নেতৃত্ববিহীন একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা কতদিন টিকে থাকতে পারে? বাস্তব ঘটনাবলীর ওপর অভিজ্ঞতাবর্জিত যৌথবাহিনী ও টাস্কফোর্সের তরুণ অফিসারদের একটি গ্রুপ দেশ পরিচালনায় সবরকমের দিকনির্দেশনা দিচ্ছে। ড. ফখরুদ্দীনের অধীনস্থ উপদেষ্টা পরিষদের কোনো ক্ষমতা বা হস্তক্ষেপ সেসব নির্দেশনা অতিক্রম করতে পারছে না। মূলত তারা আমলাদের মতো নিজেদের ওপর ন্যস্ত শুধু রুটিন ওয়ার্ক করে যাচ্ছেন। ১০ জন উপদেষ্টা মিলে চালাচ্ছেন ৩০টি মন্ত্রণালয়ের কাজ। তারা যেভাবে মন্ত্রণালয় চালাচ্ছেন জনগণ ইতিমধ্যেই তার কিছুটা আঁচ করতে পারছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের অব্যবহিত পরেই সবরকমের অবৈধ দালান কাঠামো অপসারণের নামে হাজার হাজার নিরীহ লোক, হকার ও দোকানদারকে উচ্ছেদ করে তাদের গৃহহীন ও কর্মহীনে পরিণত করা হয়েছে এবং শহর থেকে গ্রাম অবধি তাদের এ প্রক্রিয়া পরিব্যাপ্ত হয়েছে। শুধু তাই নয়, দুর্নীতি উচ্ছেদের নামে তারা রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, পরিবারবর্গ এমনকি গৃহকর্মীদেরকেও গ্রেপ্তার করে তাদের ওপর চালাচ্ছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এ নির্যাতন ও অপদস্থতার যেন কোনো শেষ নেই। বিচারের নামে সাবেক একজন প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী বক্ষ ক্যান্সারের রোগী সাবেরা আমানকে যেভাবে প্রতিদিন স্ট্রেচারে করে এনে আদালতের মেঝেতে রেখে দিনের পর দিন অত্যাচার করেছে দেশের মানুষ তা টেলিভিশনের পর্দায় প্রত্যক্ষ করেছে। এ সরকারে কি অমানবিক এই আচরণ বন্ধ করার মতো একজন লোকেরও অস্তিত্ব নেই? নেতৃত্ববিহীন একটি সরকারে কারো কোনো দায়িত্বজ্ঞানবোধ নেই? নেই বলেই এ ধরনের নিষ্ঠুর ঘটনার অবতারণা হওয়া সম্ভবপর।

(চলবে..)

আরো পড়ুন-
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৪)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৫)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৬)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৭)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৮)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৯) 
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১০)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১১)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১২)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৩)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৪)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৫)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৬)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৭)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৮)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৯)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২০)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২১)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২২)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৩)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৪)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৫)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৬)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৭)
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৮)
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status