বিশ্বজমিন
পাকিস্তানে বিলাসবহুল হোটেলে বোমা হামলা, নিহত কমপক্ষে ৪, টার্গেট চীনা রাষ্ট্রদূত
মানবজমিন ডেস্ক
২২ এপ্রিল ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৯:০৩ পূর্বাহ্ন
পাকিস্তানে একটি বিলাসবহুল হোটেলে বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১২ জন। এ ঘটনা ঘটেছে কোয়েটা শহরে অবস্থিত সেরেনা হোটেলে। সেখানে গাড়ি পার্কিংয়ের স্থানে চীনের রাষ্ট্রদূত নং রোং’কে লক্ষ্য করে এই হামলা করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ সময় চীনা রাষ্ট্রদূত আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটায় ছিলেন। তবে হামলার স্থানে উপস্থিত ছিলেন না। বিস্তারিত না জানিয়ে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানি তালেবানরা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে আরো বলা হয়, কয়েক মাস ধরে তালেবান ও অন্য উগ্রপন্থি সংগঠন আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে হামলা জোরালো করেছে। খবরে বলা হয়েছে, হামলার সময় হোটেলটির কার পার্কিংয়ে একটি গাড়ি বিস্ফোরিত হয়। সেখান থেকে আশপাশের অন্য গাড়িগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে এ হামলার ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তাতে দেখা যাচ্ছে, কার পার্কিং থেকে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, কোয়েটায় সবচেয়ে সুপরিচিত সেরেনা হোটেল। সরকারি কর্মকর্তা এবং সফরকারি পদস্থ কর্মকর্তাদের আবাসিক সুবিধার ব্যবস্থা করা হয় এই হোটেলে। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ এআরওয়াই নিউজ টিভি’কে বলেছেন, হোটেলে একটি গাড়িতে বোঝাই করা ছিল বিস্ফোরক। সেটা বিস্ফোরিত হয়েছে। তিনি এ হামলাকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বলে আখ্যায়িত করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। শেখ রশিদ আরো বলেছেন, হামলার সময় একটি অনুষ্ঠানে ছিলেন চীনা রাষ্ট্রদূত নং রোং। ফলে তিনি ওই সময় হোটেলে উপস্থিত ছিলেন না। কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে স্থানীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, হামলায় হোটেলের অন্য অতিথিরা নিরাপদে আছেন। ওদিকে তালেবানের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন যে, এটা ছিল একটি আত্মঘাতী হামলা। তার ভাষায়- আমাদের আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা হোটেলে বিস্ফোরকভর্তি গাড়ি ব্যবহার করেছেন।
বেলুচিস্তান প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়াউল্লাহ ল্যাঙ্গো সাংবাদিকদের বলেছেন, চীনা রাষ্ট্রদূত সুস্থ সবল আছেন। আজ বৃহস্পতিবার তার কোয়েটা সফর শেষ হবে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের দরিদ্র প্রদেশগুলোর মধ্যে বেলুটিস্তান অন্যতম। সেখানে গড়ে উঠেছে ইসলামপন্থি উগ্রবাদী এবং স্বাধীনতাকামী কয়েকটি সশস্ত্র গ্রুপ। স্বাধীনতাকামীরা পাকিস্তানের কাছ থেকে বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা দাবি করে। একই সঙ্গে তারা তাদের এলাকায় চীনের অর্থায়নে বড় বড় অবকাঠামো বিষয়ক প্রকল্পের ঘোর বিরোধী। এর আগে গোয়েদারে একটি হোটেলে দু’বছর আগে হামলা চালানো হয়। চীনের অর্থায়নে সেখানকার বন্দরে একটি প্রকল্পের কাজ চলছিল। ওই হামলার জন্য স্বাধীনতাকামীদের দায়ী করা হয়। পক্ষান্তরে এসব গোষ্ঠী পাকিস্তান সরকার এবং চীনের বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ উত্থাপন করেছে। তারা বলেছে, এই দুটি সরকার বেলুচিস্তানের গ্যাস এবং খনিজ সম্পদ উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে। কৌশলগত অবস্থানে স্থানীয় জনগণ এর কোনোই সুফল পাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, কোয়েটায় সবচেয়ে সুপরিচিত সেরেনা হোটেল। সরকারি কর্মকর্তা এবং সফরকারি পদস্থ কর্মকর্তাদের আবাসিক সুবিধার ব্যবস্থা করা হয় এই হোটেলে। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ এআরওয়াই নিউজ টিভি’কে বলেছেন, হোটেলে একটি গাড়িতে বোঝাই করা ছিল বিস্ফোরক। সেটা বিস্ফোরিত হয়েছে। তিনি এ হামলাকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বলে আখ্যায়িত করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। শেখ রশিদ আরো বলেছেন, হামলার সময় একটি অনুষ্ঠানে ছিলেন চীনা রাষ্ট্রদূত নং রোং। ফলে তিনি ওই সময় হোটেলে উপস্থিত ছিলেন না। কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে স্থানীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, হামলায় হোটেলের অন্য অতিথিরা নিরাপদে আছেন। ওদিকে তালেবানের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন যে, এটা ছিল একটি আত্মঘাতী হামলা। তার ভাষায়- আমাদের আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা হোটেলে বিস্ফোরকভর্তি গাড়ি ব্যবহার করেছেন।
বেলুচিস্তান প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়াউল্লাহ ল্যাঙ্গো সাংবাদিকদের বলেছেন, চীনা রাষ্ট্রদূত সুস্থ সবল আছেন। আজ বৃহস্পতিবার তার কোয়েটা সফর শেষ হবে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের দরিদ্র প্রদেশগুলোর মধ্যে বেলুটিস্তান অন্যতম। সেখানে গড়ে উঠেছে ইসলামপন্থি উগ্রবাদী এবং স্বাধীনতাকামী কয়েকটি সশস্ত্র গ্রুপ। স্বাধীনতাকামীরা পাকিস্তানের কাছ থেকে বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা দাবি করে। একই সঙ্গে তারা তাদের এলাকায় চীনের অর্থায়নে বড় বড় অবকাঠামো বিষয়ক প্রকল্পের ঘোর বিরোধী। এর আগে গোয়েদারে একটি হোটেলে দু’বছর আগে হামলা চালানো হয়। চীনের অর্থায়নে সেখানকার বন্দরে একটি প্রকল্পের কাজ চলছিল। ওই হামলার জন্য স্বাধীনতাকামীদের দায়ী করা হয়। পক্ষান্তরে এসব গোষ্ঠী পাকিস্তান সরকার এবং চীনের বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ উত্থাপন করেছে। তারা বলেছে, এই দুটি সরকার বেলুচিস্তানের গ্যাস এবং খনিজ সম্পদ উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে। কৌশলগত অবস্থানে স্থানীয় জনগণ এর কোনোই সুফল পাচ্ছে না।