বাংলারজমিন

খুমেক’র পিসিআর ল্যাবে দুই শতাধিক নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট হয়নি, পুনঃসংগ্রহের উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে

২২ এপ্রিল ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৮:৫১ অপরাহ্ন

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে খুলনা মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য নমুনা পরীক্ষা চলছে। তেমন কোনো সমস্যা এই এক বছরে পরিলক্ষিত না হলেও হঠাৎ করে কেমন যেন সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেল। পরপর তিনদিনের নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে পিসিআর ল্যাবে সমস্যা ধরা পড়ে। এর ফলে দুই শতাধিক নমুনার ফলাফল তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইলে আবারো রোগীদের ডেকে পুনরায় নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে অনেককেই এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে পুনঃনমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষীয় অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে যন্ত্রপাতির সঙ্গে জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) থেকে দেয়া ভিটিএমই (ভাইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়া) এজন্য দায়ী। খুলনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শাহনাজ পারভীন বলেন, কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য প্রথমে নমুনা সংগ্রহ করে যে পাত্রে রাখা হয় সেটিকে ভিটিএম বা ভাইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়া বলা হয়। ভিটিএম-এ এক প্রকার কেমিক্যাল থাকে। যেটি নমুনার মান ঠিক রাখে। জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল বা ইউএনএফপিএ থেকে দেয়া যন্ত্রপাতির সঙ্গে তিন হাজারের মতো ভিটিএম দেয়া হয়েছিল। যেগুলো কলেজ থেকে খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দেয়া হয় নমুনা সংগ্রহের জন্য। গত ১৪ই এপ্রিল থেকে ওই ভিটিএম-এ নমুনা সংগ্রহ করে যখন কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয় তখন ল্যাবের কর্মীরা সেগুলো অকার্যকর দেখতে পান। পরপর দু’দিনের নমুনায় এমনটি দেখা দিলে তৃতীয় দিন সকাল থেকেই বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়। এরপর থেকে তাৎক্ষণিক ওই ভিটিএম-এ নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রাখা হয়। তবে ওই তিনদিনে ২১২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং তার ফলাফল অকার্যকর হওয়ায় পুনঃরায় নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ফ্লু কর্নারে আসা বাইরের রোগীদের নমুনা ছিল ১৫২টি এবং করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা ও তাদের স্বজনদের নমুনা ছিল ৬০টি। খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আহাদ বলেন, ইএনএফপিএ থেকে যন্ত্রপাতির সঙ্গে কিছু ভিটিএম দেয়া হয়। গত ১৪, ১৫ ও ১৬ই এপ্রিল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু কর্নার ও করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকা রোগী ও রোগীর স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করা হয় ওই ভিটিএম-এ। কিন্তু যখনই সেগুলো অকার্যকর দেখা দেয় তখন থেকে ওই ভিটিএম এর পরিবর্তে সিএমএসডি (কেন্দ্রীয় ঔষধাগার) থেকে দেয়া ভিটিএম-এ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি যাদের নমুনা অকার্যকর হয়ে গেছে তাদেরকে আবারো মোবাইলে ডেকে এনে নমুনা নেয়া হচ্ছে। তবে এর পরিমাণ দু’শতাধিক। তিনি বলেন, এখন যেহেতু নমুনার কোন জট নেই সেহেতু নমুনা সংগ্রহের একদিন পরই রিপোর্ট দেয়া সম্ভব হবে। সুতরাং এতে খুব বেশি সমস্যা হবে না।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status