প্রথম পাতা
ভারতীয় ভেরিয়েন্ট নিয়ে সতর্কতার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
মরিয়ম চম্পা
২১ এপ্রিল ২০২১, বুধবার, ৯:১৫ অপরাহ্ন
ক্রমে রূপ বদলাচ্ছে করোনা। একেক দেশে একেক রকম ধরন আগ্রাসী হয়ে উঠছে। বৃটেন, আফ্রিকা, ব্রাজিলে যে ধরন পাওয়া গেছে তা ইতিমধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সারা বিশ্বে। এবার ভারতীয় ধরন নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করেছে। এই ধরন অতিমাত্রায় সংক্রামক এবং বেশি প্রাণঘাতী বলে বলা হচ্ছে। এই অবস্থায় ধরনটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে কিনা বা এটির প্রভাব কী হতে পারে তা নিয়ে এখনই সতর্কতা অবলম্বন এবং ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আইইডিসিআর’র সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন মানবজমিনকে বলেন, ইন্ডিয়ান ভেরিয়েন্ট আমাদের দেশে মারাত্মক, এটা এখন পর্যন্ত বলার কোনো যুক্তি নেই। ইন্ডিয়ান ভেরিয়েন্ট মারাত্মক এটা তারা নিজেরা বলেছেন। এটা এখনো ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট। ভেরিয়েন্ট অব কনসার্ন হয়নি। এখন প্রশ্ন করা যেতে পারে বাংলাদেশের ভেরিয়েন্টের খবর কি? এটা খোঁজা হচ্ছে কি না? বাংলাদেশে ভেরিয়েন্ট এখনো হয়নি এটাই বা কে বলেছেন। কাজেই ভেরিয়েন্ট সব জায়গায় হচ্ছে। এক্ষেত্রে ভারতের ভেরিয়েন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই হবে। ভেরিয়েন্ট যেভাবে একজন থেকে আরেকজনকে সংক্রমিত করে এটা সকল ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি। এটা (ভাইরাস) রূপ পরিবর্তন করে বিভিন্ন সময়। যেটা বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, আফ্রিকা এবং আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে হচ্ছে। সুতরাং আমাদের দেশে বেশি মাত্রায় পরীক্ষা করতে পারলে একটা প্যাটার্ন বের করা যেত। ভারতে তারা পরীক্ষা করেছে বলে সেখানকার বিজ্ঞানীরা বলেছেন তারা ভেরিয়েন্ট পেয়েছে। এখন কথা হলো, ভেরিয়েন্ট হলেই সেটা মারাত্মক এবং আফ্রিকাকে ছাড়িয়ে যাবে- এটা এখন পর্যন্ত মন্তব্য। এটাকে পাকাপোক্ত করতে গেলে বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা একত্রিত হয়ে গবেষণা করে বলতে হবে। আর ভেরিয়েন্ট নতুন কিছু না। ভেরিয়েন্ট হচ্ছে পুরনো ভাইরাসের একটি নতুন রূপ। তার বৈশিষ্ট্য একই। তবে যতদিন যাচ্ছে ততই ভাইরাস হয় দুর্বল, নয় শক্তিশালী হয়। যেগুলো খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে সেগুলো আমাদের আলোচনায় আসছে। সেক্ষেত্রে ভেরিয়েন্ট থাক বা না থাক যদি বেশি মানুষ সংক্রমিত হয় সেখানে ভাইরাসের ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। ভাইরাসের সংক্রমণের রাস্তা বন্ধ করে দিলেই দেখা যাবে দুর্বল হয়ে গেছে। ডা. মুশতাক বলেন, সংক্রমণটা কিছুটা স্থিতিশীল আছে। যেটা মার্চ থেকে এপ্রিলের ৫ তারিখ পর্যন্ত বেড়ে গিয়ে এ পর্যায়ে এসেছে। আর সংক্রমণ বাড়ার কারণে মৃত্যুর হার অনেক বেড়ে গেছে। এবং সংক্রমণটা স্থিতিশীল হলেও মৃত্যু কিন্তু এখনো বাড়ছে। মৃত্যুটা এখনো পিক টাইমে আছে। এক্ষেত্রে সংক্রমণের পিক টাইম ছিল গত সপ্তাহে। পক্ষান্তরে মৃত্যুর পিক টাইম এখন চলছে। আগামী এক সপ্তাহ পরে মৃত্যুর সংখ্যাটা হয়তো একটা পর্যায়ে যাবে।
এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা প্রফেসর ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, প্রথমত, ভেরিয়েন্ট নিয়ে আমাদের এত শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমেরিকান, ব্রিটিশ, সাউথ আফ্রিকান, জাপানিজ, ব্রাজিলিয়ান এবং ইন্ডিয়ান ভেরিয়েন্ট। এগুলোকে প্রতিরোধ করার জন্য টিকার ব্যবস্থা আছে। এবং এটা খুব অল্পসংখ্যক লোককে সংক্রমিত করেছে। অনেক মানুষের মনে হয়তো এটা নিয়ে ধারণা, না জানি কি হয়ে গেছে। কিন্তু ভেরিয়েন্ট নিয়ে ব্যক্তিগত পরামর্শ হলো এটা নিয়ে কোনো শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। বরং গবেষণার প্রয়োজন আছে। আর ইন্ডিয়ান ভেরিয়েন্ট আমাদের দেশে আসা সহজ হবে, যদি আমাদের দেশের লোকজন ভারতে যায় এবং ভারতের দেশের লোকজন আমাদের দেশে আসে। সুতরাং বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে যেহেতু করোনা সংক্রমণ ‘ইটসেল্ফ’। ভারতে কিন্তু এখন পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয়। অতএব বাংলাদেশের লোকজন ভারতে এবং ভারতের লোকজন বাংলাদেশে আসা বিশেষ করে সড়ক, নৌ এবং বিমান পথে এখনই বন্ধ করা উচিত। না হলে ভেরিয়েন্ট না শুধু, বাংলাদেশের সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।
আইইডিসিআর’র সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন মানবজমিনকে বলেন, ইন্ডিয়ান ভেরিয়েন্ট আমাদের দেশে মারাত্মক, এটা এখন পর্যন্ত বলার কোনো যুক্তি নেই। ইন্ডিয়ান ভেরিয়েন্ট মারাত্মক এটা তারা নিজেরা বলেছেন। এটা এখনো ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট। ভেরিয়েন্ট অব কনসার্ন হয়নি। এখন প্রশ্ন করা যেতে পারে বাংলাদেশের ভেরিয়েন্টের খবর কি? এটা খোঁজা হচ্ছে কি না? বাংলাদেশে ভেরিয়েন্ট এখনো হয়নি এটাই বা কে বলেছেন। কাজেই ভেরিয়েন্ট সব জায়গায় হচ্ছে। এক্ষেত্রে ভারতের ভেরিয়েন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই হবে। ভেরিয়েন্ট যেভাবে একজন থেকে আরেকজনকে সংক্রমিত করে এটা সকল ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি। এটা (ভাইরাস) রূপ পরিবর্তন করে বিভিন্ন সময়। যেটা বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, আফ্রিকা এবং আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে হচ্ছে। সুতরাং আমাদের দেশে বেশি মাত্রায় পরীক্ষা করতে পারলে একটা প্যাটার্ন বের করা যেত। ভারতে তারা পরীক্ষা করেছে বলে সেখানকার বিজ্ঞানীরা বলেছেন তারা ভেরিয়েন্ট পেয়েছে। এখন কথা হলো, ভেরিয়েন্ট হলেই সেটা মারাত্মক এবং আফ্রিকাকে ছাড়িয়ে যাবে- এটা এখন পর্যন্ত মন্তব্য। এটাকে পাকাপোক্ত করতে গেলে বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা একত্রিত হয়ে গবেষণা করে বলতে হবে। আর ভেরিয়েন্ট নতুন কিছু না। ভেরিয়েন্ট হচ্ছে পুরনো ভাইরাসের একটি নতুন রূপ। তার বৈশিষ্ট্য একই। তবে যতদিন যাচ্ছে ততই ভাইরাস হয় দুর্বল, নয় শক্তিশালী হয়। যেগুলো খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে সেগুলো আমাদের আলোচনায় আসছে। সেক্ষেত্রে ভেরিয়েন্ট থাক বা না থাক যদি বেশি মানুষ সংক্রমিত হয় সেখানে ভাইরাসের ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। ভাইরাসের সংক্রমণের রাস্তা বন্ধ করে দিলেই দেখা যাবে দুর্বল হয়ে গেছে। ডা. মুশতাক বলেন, সংক্রমণটা কিছুটা স্থিতিশীল আছে। যেটা মার্চ থেকে এপ্রিলের ৫ তারিখ পর্যন্ত বেড়ে গিয়ে এ পর্যায়ে এসেছে। আর সংক্রমণ বাড়ার কারণে মৃত্যুর হার অনেক বেড়ে গেছে। এবং সংক্রমণটা স্থিতিশীল হলেও মৃত্যু কিন্তু এখনো বাড়ছে। মৃত্যুটা এখনো পিক টাইমে আছে। এক্ষেত্রে সংক্রমণের পিক টাইম ছিল গত সপ্তাহে। পক্ষান্তরে মৃত্যুর পিক টাইম এখন চলছে। আগামী এক সপ্তাহ পরে মৃত্যুর সংখ্যাটা হয়তো একটা পর্যায়ে যাবে।
এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা প্রফেসর ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, প্রথমত, ভেরিয়েন্ট নিয়ে আমাদের এত শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমেরিকান, ব্রিটিশ, সাউথ আফ্রিকান, জাপানিজ, ব্রাজিলিয়ান এবং ইন্ডিয়ান ভেরিয়েন্ট। এগুলোকে প্রতিরোধ করার জন্য টিকার ব্যবস্থা আছে। এবং এটা খুব অল্পসংখ্যক লোককে সংক্রমিত করেছে। অনেক মানুষের মনে হয়তো এটা নিয়ে ধারণা, না জানি কি হয়ে গেছে। কিন্তু ভেরিয়েন্ট নিয়ে ব্যক্তিগত পরামর্শ হলো এটা নিয়ে কোনো শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। বরং গবেষণার প্রয়োজন আছে। আর ইন্ডিয়ান ভেরিয়েন্ট আমাদের দেশে আসা সহজ হবে, যদি আমাদের দেশের লোকজন ভারতে যায় এবং ভারতের দেশের লোকজন আমাদের দেশে আসে। সুতরাং বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে যেহেতু করোনা সংক্রমণ ‘ইটসেল্ফ’। ভারতে কিন্তু এখন পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয়। অতএব বাংলাদেশের লোকজন ভারতে এবং ভারতের লোকজন বাংলাদেশে আসা বিশেষ করে সড়ক, নৌ এবং বিমান পথে এখনই বন্ধ করা উচিত। না হলে ভেরিয়েন্ট না শুধু, বাংলাদেশের সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।