বাংলারজমিন

ঝিনাইদহে প্রাণিসম্পদ বিভাগের প্রণোদনার তালিকা নিয়ে ক্ষোভ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

২১ এপ্রিল ২০২১, বুধবার, ৯:১১ অপরাহ্ন

করোনাকালে প্রাণিসম্পদ বিভাগের প্রণোদনার টাকা সঠিক খামারিদের মাঝে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য তালিকা করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গ্রামে গ্রামে ক্ষোভ ও অসন্তাষ দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, করোনাকালে খামারিদের তালিকা তৈরি করতে ঢাকা প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশ পেয়ে প্রাণিসম্পদ বিভাগের উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মীরা তালিকা প্রস্তুত করে অনলাইনে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। খবর জানাজানি হয়ে পড়লে রাজনৈতিক নেতা ও প্রভাবশালীরা সরব হয়ে ওঠেন। গ্রাম ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা গরু ছাগল বা মুরগির খামার নেই এমন ব্যক্তিরও তালিকা পাঠাতে চাপ সৃষ্টি করেন। ফলে সচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য তালিকা তৈরিতে ছেদ পড়ে। শৈলকুপা উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের মনোয়ারা খাতুন অভিযোগ করেন, তার মেয়ে রোজি আক্তারের পোল্ট্রি মুরগির খামার ছিল। করোনাকালে তার সাড়ে ৪ হাজার মুরগি মারা যায়। অথচ তার গ্রামের অনেকেই প্রথম ধাপে প্রণোদনার টাকা পেলেও তার মেয়ে পায়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন। শৈলকুপার ফুলহরি, আবাইপুরের কুমিরাদহ ও কৃপালপুরে বেশ কিছু ব্যক্তির গরু না থাকলেও তারা রাজনৈতিক বিবেচনায় টাকা পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শৈলকুপায় প্রথম ধাপে ২৮৯০ জন টাকা পেয়েছেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেতে শৈলকুপার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খানের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটী ইউনিয়নের বংকিরা গ্রামে আদল বিশ্বাস, বলয় ঘোষ, তাজুল ইসলাম ও মতিয়ার রহমান মতির গরুর খামার থাকলেও তারা টাকা পাননি। করোনাকালে ১০-১২টি গরু নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন। অথচ ওই গ্রামে যাদের ১টা গরু আছে তারাও পেয়েছেন এই টাকা।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনন্দ কুমার অধিকারী জানান, ঢাকা থেকে তালিকা চেয়ে পাঠানো হলে আমরা প্রথম ধাপে ১২ হাজার ৬৪৬ জনের তালিকা পাঠায়। তার মধ্যে ১২ হাজার ৪৮৮ জনের টাকা এসেছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এই টাকা তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের বিকাশ বা নগদ অ্যাকাউন্টে চলে এসেছে। তিনি বলেন, তালিকা করতে কোনো স্বেচ্ছাচারিতা বা অনিয়ম হয়নি। তারপরও বলবো ঝিনাইদহের মানুষই তো সরকারি এই টাকা পেয়েছেন। তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, খামারি হয়েও টাকা পাননি এমন একজন ব্যক্তির নাম আমাকে দেন। দ্বিতীয় ধাপে আরো ৭ হাজার ৩২৪ জনের তালিকা পাঠানো হচ্ছে। আশা করি বাদপড়ারা এই তালিকায় স্থান পাবেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status