বাংলারজমিন
শ্বশুরবাড়ি গিয়েই লাশ হলো সাদিয়া
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
২০ এপ্রিল ২০২১, মঙ্গলবার, ২:৪৭ অপরাহ্ন
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় সাদিয়া আক্তার সেতু (২২) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে মির্জাপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মির্জাপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। গৃহবধূর বাবার দাবি তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের দক্ষিণ পেকুয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার আগের দিন বিকেলেই বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে যায় ওই গৃহবধূ।
জানা যায়, প্রায় আড়াই বছর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের দক্ষিণ পেকুয়া গ্রামের রফিক পীরের ছেলে মো. ওয়াজেদের সাথে বিয়ে হয় পাশর্^বর্তী আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামের সেলিম মিয়ার মেয়ে সাদিয়া আক্তার সেতুর। বিয়ের তিন মাস পর স্বামী প্রবাসে চলে যায়। এরপর থেকে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতো সাদিয়া। স্বামীর সাথে সম্পর্ক ভাল হলেও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে বনিবনা হচ্ছিল না দাবি করে তাঁর মামা মিনহাজ উদ্দিন বলেন, ইতোপূর্বে সাদিয়ার ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের বিষয়ে দুইবার পারিবারিক বৈঠকও করা হয়েছে।
নিহত ওই গৃহবধূর বাবা সেলিম মিয়া বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। দুই লাখ টাকা দিতে না পারায় ওরা আমার মেয়েকে প্রতিনিয়ত অত্যাচার করতো, না খাইয়ে রাখতো। ওর ননাসের স্বামী ওকে কুপ্রস্তাব ও আজেবাজে কথা বলতো। আমার বিশ্বাস ওকে ধর্ষণের পর হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
লাশের সুরতহালকারী পুলিশ কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক আজিম খান বলেন, আমরা ঝুলন্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করি। সেসময় তাঁর হাত পিছনের দিকে ওড়না দিয়ে পে্চাঁনো ছিল। আমরা গৃহবধূর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করেছি। কিন্তু তাতে কোন সিমকার্ড পাইনি।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রিজাউল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি একটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তবে ময়ণাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার আগে চূড়ান্তভাবে কিছু বলা যাচ্ছেনা। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের দক্ষিণ পেকুয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার আগের দিন বিকেলেই বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে যায় ওই গৃহবধূ।
জানা যায়, প্রায় আড়াই বছর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের দক্ষিণ পেকুয়া গ্রামের রফিক পীরের ছেলে মো. ওয়াজেদের সাথে বিয়ে হয় পাশর্^বর্তী আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামের সেলিম মিয়ার মেয়ে সাদিয়া আক্তার সেতুর। বিয়ের তিন মাস পর স্বামী প্রবাসে চলে যায়। এরপর থেকে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতো সাদিয়া। স্বামীর সাথে সম্পর্ক ভাল হলেও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে বনিবনা হচ্ছিল না দাবি করে তাঁর মামা মিনহাজ উদ্দিন বলেন, ইতোপূর্বে সাদিয়ার ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের বিষয়ে দুইবার পারিবারিক বৈঠকও করা হয়েছে।
নিহত ওই গৃহবধূর বাবা সেলিম মিয়া বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। দুই লাখ টাকা দিতে না পারায় ওরা আমার মেয়েকে প্রতিনিয়ত অত্যাচার করতো, না খাইয়ে রাখতো। ওর ননাসের স্বামী ওকে কুপ্রস্তাব ও আজেবাজে কথা বলতো। আমার বিশ্বাস ওকে ধর্ষণের পর হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
লাশের সুরতহালকারী পুলিশ কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক আজিম খান বলেন, আমরা ঝুলন্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করি। সেসময় তাঁর হাত পিছনের দিকে ওড়না দিয়ে পে্চাঁনো ছিল। আমরা গৃহবধূর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করেছি। কিন্তু তাতে কোন সিমকার্ড পাইনি।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রিজাউল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি একটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তবে ময়ণাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার আগে চূড়ান্তভাবে কিছু বলা যাচ্ছেনা। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।