খেলা
বিদ্রোহী সুপার লীগ নিয়ে ইউরোপে তোলপাড়, নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় বার্সা-রিয়াল
স্পোর্টস ডেস্ক
২০ এপ্রিল ২০২১, মঙ্গলবার, ৮:৫২ অপরাহ্ন
ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলো মিলে আলাদা একটা লীগের ভাবনা আজকের নয়। সেই ২০০০ সালের আগ থেকেই ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলো এ নিয়ে ভাবছে। চ্যাম্পিয়নস লীগে যথেষ্ট ম্যাচ না থাকায় টিভি স্বত্ব ও অন্যান্য খাত থেকে আয় বাড়ানোর জন্য তারা অনেক দিন ধরেই পরিকল্পনা করছিল। এই সুপার লীগে তারা নিজেরা যথেষ্ট পরিমাণ ম্যাচ খেলবে ও টিভি স্বত্ব থেকে পুরো টাকাটাই যাবে ক্লাবগুলোর পকেটে।
বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদসহ মোট ১২টি দলের সম্মতিতে আসছে ইউরোপিয়ান সুপার লীগ। তার কিছু আগে থেকেই নানা মন্তব্য, আলোচনা-সমালোচনায় সরগরম ছিল ইউরোপীয় ফুটবল-পাড়া। এরপর উয়েফা আর ফিফা তো বিষয়টাকে অনুমোদন দেয়ইনি উল্টো খেলোয়াড়দের জানিয়েই দিয়েছে, যদি সুপার লীগে খেলতে চাও, তাহলে জাতীয় দলের আশা ছেড়ে দাও। বর্তমান ফুটবলাররা এ নিয়ে নিজেদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাননি এখনো। তবে সাবেক ফুটবলাররা কমবেশি সবাই এই লীগকে ‘ক্রিমিন্যাল’ বলে মত দিয়েছেন। তাদের মতে, ফুটবলের বৈশ্বিক আবেদন ও মূলনীতির বিরুদ্ধে গিয়ে এই লিগ কিছু অভিজাত ক্লাবের স্বার্থরক্ষা করবে। ক্লাবগুলো অবশ্য জানাচ্ছে, ফিফা ও উয়েফার সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনায় বসবে সবাই। তবে বিশ্ব ও ইউরোপীয় ফুটবলের শীর্ষ দুই প্রতিষ্ঠান এতে সায় দেয়নি। বরং আগের মতোই নিজেদের কঠিন মনোভাব ধরে রেখেছে। এদিকে তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগসহ শীর্ষস্থানীয় লীগগুলোও জানিয়ে দিয়েছে, সুপার লীগে খেললে ঘরোয়া লীগ থেকে আজীবন নিষিদ্ধ হয়ে যাবে ক্লাবগুলো। উয়েফার নিষেধাজ্ঞা তো আছেই, ফিফাও সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সুপার লীগে খেললে, খেলোয়াড়রা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিষিদ্ধ হয়ে যাবেন জাতীয় দল থেকেও।
এখন পর্যন্ত ১২টি ক্লাব এতে সায় দিয়েছে। দলগুলো হলো, রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, আর্সেনাল, টটেনহ্যাম, চেলসি, লিভারপুল, জুভেন্টাস, ইন্টার মিলান, এসি মিলান। ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যমে গুঞ্জন, এর সঙ্গে প্রতিষ্ঠাতা ক্লাব হিসেবে যুক্ত হতে পারে আরও তিনটি ক্লাব। সব মিলিয়ে আরও আটটি ক্লাবকে প্রতিযোগিতায় আনতে চান আয়োজকরা। ২০ দলের এই টুর্নামেন্ট দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে ১৮টি করে ম্যাচ। সেখান থেকে প্রতি গ্রুপের শীর্ষ তিন দল সরাসরি পাড়ি জমাবে কোয়ার্টার ফাইনালে, আর চতুর্থ ও পঞ্চম দলগুলোর প্লে অফ শেষে আরও দুই দল আসবে শেষ আটে। বাকি সূচিটা চ্যাম্পিয়নস লীগের মতোই।
শোনা যাচ্ছে ঘরোয়া লীগের খেলাগুলো ধরে রেখেই চলবে এই টুর্নামেন্ট, যদি লীগগুলোর অনুমতি মেলে তবে। সুপার লীগ কমিটির পদে আসীন হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ, সহ-সভাপতি হয়েছেন জুভেন্টাস চেয়ারম্যান আন্দ্রেয়া অ্যানিয়েল্লি, আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জোয়েল গ্লেজার। ইতোমধ্যেই এই সুপার লীগে ৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগও হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। শোনা যাচ্ছে, লীগে যুক্ত হওয়ার সম্মতি দিলেই নগদ ৪২৫ মিলিয়ন ইউরো ঢুকে যাবে ক্লাবের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। বিপুল অর্থের ঝনঝনানিই মূলত এত বড় এক প্রকল্পে নামার সাহস দিয়েছে ইউরোপীয় ক্লাবগুলোকে। এত অর্থের হাতছানি অবশ্য বায়ার্ন মিউনিখ ও পিএসজিকে এ প্রকল্পে ঢোকাতে পারেনি এখনো।
এদিকে উয়েফা নিজেদের ওয়েবসাইটে রোববার এক বিবৃতিতে এই সব ক্লাবকে নিষিদ্ধ করার হুমকি দেয়ার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করে দেয়, ‘আমরা আবারও বলতে চাই যে, আমরা...ফিফাসহ এবং আমাদের সকল সহযোগী সংগঠন ঐক্যবদ্ধ থেকে এই বিধ্বংসী প্রকল্প বন্ধ করতে কাজ করবো। গুটি কয়েক ক্লাব শুধু তাদের নিজেদের স্বার্থে এই পরিকল্পনা করেছে, বিশেষ করে যখন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন আরও বেশি সামাজিক সংহতির প্রয়োজন। ক্রীড়াগত ও আইনিভাবে যত কিছু করা সম্ভব, এই প্রকল্প থামাতে তার সবকিছুই করবো আমরা। উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা ও খেলাধুলার মানের ওপর ফুটবল গড়ে উঠেছে; অন্য কোনোভাবেই তা হতে পারে না।’ ইতালির পত্রিকা লা গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ত এক প্রতিবেদনে জানায়, সুপার লীগে অংশ নিতে যাওয়া ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি ইউরোর মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে উয়েফা।
বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদসহ মোট ১২টি দলের সম্মতিতে আসছে ইউরোপিয়ান সুপার লীগ। তার কিছু আগে থেকেই নানা মন্তব্য, আলোচনা-সমালোচনায় সরগরম ছিল ইউরোপীয় ফুটবল-পাড়া। এরপর উয়েফা আর ফিফা তো বিষয়টাকে অনুমোদন দেয়ইনি উল্টো খেলোয়াড়দের জানিয়েই দিয়েছে, যদি সুপার লীগে খেলতে চাও, তাহলে জাতীয় দলের আশা ছেড়ে দাও। বর্তমান ফুটবলাররা এ নিয়ে নিজেদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাননি এখনো। তবে সাবেক ফুটবলাররা কমবেশি সবাই এই লীগকে ‘ক্রিমিন্যাল’ বলে মত দিয়েছেন। তাদের মতে, ফুটবলের বৈশ্বিক আবেদন ও মূলনীতির বিরুদ্ধে গিয়ে এই লিগ কিছু অভিজাত ক্লাবের স্বার্থরক্ষা করবে। ক্লাবগুলো অবশ্য জানাচ্ছে, ফিফা ও উয়েফার সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনায় বসবে সবাই। তবে বিশ্ব ও ইউরোপীয় ফুটবলের শীর্ষ দুই প্রতিষ্ঠান এতে সায় দেয়নি। বরং আগের মতোই নিজেদের কঠিন মনোভাব ধরে রেখেছে। এদিকে তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগসহ শীর্ষস্থানীয় লীগগুলোও জানিয়ে দিয়েছে, সুপার লীগে খেললে ঘরোয়া লীগ থেকে আজীবন নিষিদ্ধ হয়ে যাবে ক্লাবগুলো। উয়েফার নিষেধাজ্ঞা তো আছেই, ফিফাও সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সুপার লীগে খেললে, খেলোয়াড়রা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিষিদ্ধ হয়ে যাবেন জাতীয় দল থেকেও।
এখন পর্যন্ত ১২টি ক্লাব এতে সায় দিয়েছে। দলগুলো হলো, রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, আর্সেনাল, টটেনহ্যাম, চেলসি, লিভারপুল, জুভেন্টাস, ইন্টার মিলান, এসি মিলান। ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যমে গুঞ্জন, এর সঙ্গে প্রতিষ্ঠাতা ক্লাব হিসেবে যুক্ত হতে পারে আরও তিনটি ক্লাব। সব মিলিয়ে আরও আটটি ক্লাবকে প্রতিযোগিতায় আনতে চান আয়োজকরা। ২০ দলের এই টুর্নামেন্ট দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে ১৮টি করে ম্যাচ। সেখান থেকে প্রতি গ্রুপের শীর্ষ তিন দল সরাসরি পাড়ি জমাবে কোয়ার্টার ফাইনালে, আর চতুর্থ ও পঞ্চম দলগুলোর প্লে অফ শেষে আরও দুই দল আসবে শেষ আটে। বাকি সূচিটা চ্যাম্পিয়নস লীগের মতোই।
শোনা যাচ্ছে ঘরোয়া লীগের খেলাগুলো ধরে রেখেই চলবে এই টুর্নামেন্ট, যদি লীগগুলোর অনুমতি মেলে তবে। সুপার লীগ কমিটির পদে আসীন হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ, সহ-সভাপতি হয়েছেন জুভেন্টাস চেয়ারম্যান আন্দ্রেয়া অ্যানিয়েল্লি, আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জোয়েল গ্লেজার। ইতোমধ্যেই এই সুপার লীগে ৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগও হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। শোনা যাচ্ছে, লীগে যুক্ত হওয়ার সম্মতি দিলেই নগদ ৪২৫ মিলিয়ন ইউরো ঢুকে যাবে ক্লাবের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। বিপুল অর্থের ঝনঝনানিই মূলত এত বড় এক প্রকল্পে নামার সাহস দিয়েছে ইউরোপীয় ক্লাবগুলোকে। এত অর্থের হাতছানি অবশ্য বায়ার্ন মিউনিখ ও পিএসজিকে এ প্রকল্পে ঢোকাতে পারেনি এখনো।
এদিকে উয়েফা নিজেদের ওয়েবসাইটে রোববার এক বিবৃতিতে এই সব ক্লাবকে নিষিদ্ধ করার হুমকি দেয়ার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করে দেয়, ‘আমরা আবারও বলতে চাই যে, আমরা...ফিফাসহ এবং আমাদের সকল সহযোগী সংগঠন ঐক্যবদ্ধ থেকে এই বিধ্বংসী প্রকল্প বন্ধ করতে কাজ করবো। গুটি কয়েক ক্লাব শুধু তাদের নিজেদের স্বার্থে এই পরিকল্পনা করেছে, বিশেষ করে যখন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন আরও বেশি সামাজিক সংহতির প্রয়োজন। ক্রীড়াগত ও আইনিভাবে যত কিছু করা সম্ভব, এই প্রকল্প থামাতে তার সবকিছুই করবো আমরা। উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা ও খেলাধুলার মানের ওপর ফুটবল গড়ে উঠেছে; অন্য কোনোভাবেই তা হতে পারে না।’ ইতালির পত্রিকা লা গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ত এক প্রতিবেদনে জানায়, সুপার লীগে অংশ নিতে যাওয়া ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি ইউরোর মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে উয়েফা।