প্রথম পাতা
মামুনুল হক গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার
১৯ এপ্রিল ২০২১, সোমবার, ৯:২৭ অপরাহ্ন
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে মাদ্রাসার একদল শিক্ষার্থী পুলিশকে বাধা দেয়। পরে মাদ্রাসার বাইরে থাকা আরো পুলিশ ভেতরে গেলে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা পিছু হটে। পরে মামুনুলকে পুলিশের একটি গাড়িতে তোলা হয়। পুলিশ মামুনুলকে গ্রেপ্তারের পর তেজগাঁও থানায় নিয়ে আসে।
পরে গতকাল সন্ধ্যায় তাকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ের হেফাজতে নেয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, আজ সোমবার তাকে ঢাকা মহানগর আদালতে হাজির করা হবে।
এদিকে, মামুনুলের মুক্তি দাবি করেছে তার দল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। কয়েকদিন আগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের একটি রিসোর্টে এক নারীকে কেন্দ্র করে আলোচনায় আসেন হেফাজতের এ আলোচিত নেতা। ঘটনার দিন সোনারগাঁও এর রয়েল রিসোর্টে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় হেফাজতের নেতাকর্মী?দের আসামি করে ৩টি মামলা হয়। এরমধ্যে একটি মামলায় মামুনুল হককে প্রধান আসামি করা হয়। এ ছাড়াও গত ২৬শে মার্চ দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতার অভিযোগে হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এসব অভিযোগে হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে গতকাল দুপুরে রাজধানীর শ্যামলীতে ডিএমপি’র তেজগাঁও জোনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট জোনের ডিসি মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ জানান, হামলা ও নাশকতা সৃষ্টির সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২০২০ সালের মোহাম্মদপুর থানার একটি ভাঙচুর ও নাশকতার মামলার তদন্ত চলছিল। তদন্তে হেফাজত নেতা মামুনুলের সম্পৃক্ততার বিষয়টি সুস্পষ্ট হওয়ায় আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তা আপনারা সবাই জানেন।
তিনি আরো জানান, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হাটহাজারীর ঘটনার পর থেকেই তিনি নজরদারিতে ছিলেন। সবকিছু মিলিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে আপাতত মোহাম্মদপুর থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রিমান্ড আবেদনের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে। তবে রিমান্ড চাওয়া হবে কিনা তা ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, মামুনুলের গ্রেপ্তারের পর তার মোহাম্মদপুর মাদ্রাসার সামনে বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের ঘটনার পর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করছিলেন হেফাজত নেতা মামুনুল হক। মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে থাকতেন তিনি। প্রথমদিকে দুই-একবার বের হয়ে দলীয় মিটিংয়ে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর মনোভাব বুঝতে পেরে তিনি আর মাদ্রাসা থেকে বের হননি। মাদ্রাসায় অবস্থান করেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে আসছিলেন তিনি।
এর আগে হেফাজতের প্রায় ৮ কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ১১ই এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলামাবাদী ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-অর্থ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরী কমিটির সহ-সভাপতি মুফতি ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ১৩ই এপ্রিল হেফাজতের কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতি শরীফ উল্লাহ, ১৪ই এপ্রিল সহকারী মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি ও কেন্দ্রীয় নেতা সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ গত ১৬ই এপ্রিল মাওলানা যুবায়ের আহমেদ ও ১৭ই এপ্রিল মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ নামে হেফাজতের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের মুক্তি চেয়েছে তার দল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে দলটির নেতারা এ দাবি করেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর ইসমাঈল নূরপুরীর স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়- এভাবে রমজান মাসে আলেম-ওলেমা ও সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও গ্রেপ্তার করে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। নেতারা হয়রানি ও গ্রেপ্তার বন্ধ এবং আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় আলেম-ওলেমারা ঐক্যবদ্ধভাবে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
পরে গতকাল সন্ধ্যায় তাকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ের হেফাজতে নেয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, আজ সোমবার তাকে ঢাকা মহানগর আদালতে হাজির করা হবে।
এদিকে, মামুনুলের মুক্তি দাবি করেছে তার দল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। কয়েকদিন আগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের একটি রিসোর্টে এক নারীকে কেন্দ্র করে আলোচনায় আসেন হেফাজতের এ আলোচিত নেতা। ঘটনার দিন সোনারগাঁও এর রয়েল রিসোর্টে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় হেফাজতের নেতাকর্মী?দের আসামি করে ৩টি মামলা হয়। এরমধ্যে একটি মামলায় মামুনুল হককে প্রধান আসামি করা হয়। এ ছাড়াও গত ২৬শে মার্চ দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতার অভিযোগে হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এসব অভিযোগে হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে গতকাল দুপুরে রাজধানীর শ্যামলীতে ডিএমপি’র তেজগাঁও জোনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট জোনের ডিসি মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ জানান, হামলা ও নাশকতা সৃষ্টির সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২০২০ সালের মোহাম্মদপুর থানার একটি ভাঙচুর ও নাশকতার মামলার তদন্ত চলছিল। তদন্তে হেফাজত নেতা মামুনুলের সম্পৃক্ততার বিষয়টি সুস্পষ্ট হওয়ায় আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তা আপনারা সবাই জানেন।
তিনি আরো জানান, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হাটহাজারীর ঘটনার পর থেকেই তিনি নজরদারিতে ছিলেন। সবকিছু মিলিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে আপাতত মোহাম্মদপুর থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রিমান্ড আবেদনের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে। তবে রিমান্ড চাওয়া হবে কিনা তা ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, মামুনুলের গ্রেপ্তারের পর তার মোহাম্মদপুর মাদ্রাসার সামনে বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের ঘটনার পর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করছিলেন হেফাজত নেতা মামুনুল হক। মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে থাকতেন তিনি। প্রথমদিকে দুই-একবার বের হয়ে দলীয় মিটিংয়ে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর মনোভাব বুঝতে পেরে তিনি আর মাদ্রাসা থেকে বের হননি। মাদ্রাসায় অবস্থান করেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে আসছিলেন তিনি।
এর আগে হেফাজতের প্রায় ৮ কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ১১ই এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলামাবাদী ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-অর্থ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরী কমিটির সহ-সভাপতি মুফতি ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ১৩ই এপ্রিল হেফাজতের কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতি শরীফ উল্লাহ, ১৪ই এপ্রিল সহকারী মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি ও কেন্দ্রীয় নেতা সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ গত ১৬ই এপ্রিল মাওলানা যুবায়ের আহমেদ ও ১৭ই এপ্রিল মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ নামে হেফাজতের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের মুক্তি চেয়েছে তার দল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে দলটির নেতারা এ দাবি করেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর ইসমাঈল নূরপুরীর স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়- এভাবে রমজান মাসে আলেম-ওলেমা ও সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও গ্রেপ্তার করে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। নেতারা হয়রানি ও গ্রেপ্তার বন্ধ এবং আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় আলেম-ওলেমারা ঐক্যবদ্ধভাবে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।