বিনোদন
ফোক-ফ্যান্টাসি ছবির অপ্রতিদ্বন্দ্বী নায়ক ছিলেন ওয়াসিম
স্টাফ রিপোর্টার
১৯ এপ্রিল ২০২১, সোমবার, ৮:০৫ অপরাহ্ন
চলে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের বর্ষীয়ান অভিনেতা ওয়াসিম। অনেকেরই অজানা যে তিনি প্রথমদিকে নায়ক হতে চাননি। বডি বিল্ডিংই ছিল তার নেশা ও আগ্রহের জায়গা। তবে সেই বডি বিল্ডার ওয়াসিম পরিচালকের অনুরোধে হয়ে যান নায়ক। শুধু তাই নয়, পরে তিনি ফোক-ফ্যান্টাসি ছবির সব থেকে নির্ভরযোগ্য নায়কে পরিণত হন। তার আসল নাম ছিল মেজবাহ উদ্দীন আহমেদ। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রে এসে হয়ে যান ওয়াসিম। কলেজের পড়াকালীন বডি বিল্ডার হিসেবে নাম করেন তিনি। ১৯৬৪ সালে তিনি বডি বিল্ডিংয়ের জন্য মি.ইস্ট পাকিস্তান খেতাব অর্জন করেছিলেন। ১৯৫০ সালের ২৩শে মার্চ চাঁদপুর জেলার আমিরাবাদে জন্মগ্রহণ করেন এই অভিনেতা। ইতিহাস বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৭২ সালে প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক এস এম শফীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। শফী এই সুদর্শন মানুষটিকে দেখে অভিনয়ে আনতে চাইলেও ওয়াসিমের তেমন ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু শফীর অতি আগ্রহেই ১৯৭২ সালে তার পরিচালিত ‘ছন্দ হারিয়ে গেল’ চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক হন ওয়াসিম। এতে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেন। ১৯৭৪ সালে আরেক প্রখ্যাত নির্মাতা মোহসিন পরিচালিত ‘রাতের পর দিন’ চলচ্চিত্রে
প্রথম নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ তার। চলচ্চিত্রটির অসামান্য সাফল্যে রাতারাতি তারকা বনে যান তিনি। ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া ওয়াসিম অভিনীত ও এস এম শফী পরিচালিত ‘দি রেইন’ তাকে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়। পৃথিবীর ৪৬টি দেশে ‘দি রেইন’ মুক্তি পেয়েছিল। ছবিটি বাম্পার হিট হয় আর ওয়াসিমকে নায়ক হিসেবে পৌঁছে দেয় অনন্য উচ্চতায়। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ঢাকার চলচ্চিত্রে ওয়াসিম ছিলেন শীর্ষ নায়কদের একজন। সাহসী নায়ক বলা হতো তাকে। আবার কেউবা বলতেন ওয়াসিম মানে বাহাদুর নায়ক। ওয়াসিম ফোক-ফ্যান্টাসি ধারার ছবির অপ্রতিদ্বন্দ্বী নায়ক ছিলেন। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ওয়াসিমের তখন একচেটিয়া রাজত্ব। পোশাকি, সামাজিক, গ্রামীণ, লাভস্টোরি, মারদাঙ্গা সব ধরনের ছবিতেই তার নাম। পর্দায় ওয়াসিম যখন ঘোড়া চালিয়ে আসতেন তখন সিনেমা হল করতালিতে মুখর হয়ে উঠতো। ওয়াসিম ১৫০টি ছবির নায়ক ছিলেন। হাতেগোনা অল্প কিছু ছবি ছাড়া প্রতিটি ছবিই ব্যবসা সফল হয়েছিল। তিনি অলিভিয়া, অঞ্জু ঘোষ ও শাবানার সঙ্গে বেশি সংখ্যক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ‘দি রেইন’ সিনেমায় নায়িকা ছিলেন অলিভিয়া। এরপর ‘বাহাদুর’, ‘লুটেরা’, ‘লাল মেম সাহেব’, ‘বেদ্বীন’ সিনেমায় অলিভিয়ার সঙ্গে অভিনয় করেন। ‘রাজ দুলালী’ ছবিতে শাবানার সঙ্গে তার অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করে। অঞ্জু ঘোষের সঙ্গে অভিনয় করেছেন- ‘সওদাগর’, ‘নরম গরম’, ‘আবেহায়াত’, ‘চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা’, ‘পদ্মাবতী’, ‘রসের বাইদানী’সহ বেশকিছু সিনেমায়।
প্রথম নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ তার। চলচ্চিত্রটির অসামান্য সাফল্যে রাতারাতি তারকা বনে যান তিনি। ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া ওয়াসিম অভিনীত ও এস এম শফী পরিচালিত ‘দি রেইন’ তাকে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়। পৃথিবীর ৪৬টি দেশে ‘দি রেইন’ মুক্তি পেয়েছিল। ছবিটি বাম্পার হিট হয় আর ওয়াসিমকে নায়ক হিসেবে পৌঁছে দেয় অনন্য উচ্চতায়। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ঢাকার চলচ্চিত্রে ওয়াসিম ছিলেন শীর্ষ নায়কদের একজন। সাহসী নায়ক বলা হতো তাকে। আবার কেউবা বলতেন ওয়াসিম মানে বাহাদুর নায়ক। ওয়াসিম ফোক-ফ্যান্টাসি ধারার ছবির অপ্রতিদ্বন্দ্বী নায়ক ছিলেন। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ওয়াসিমের তখন একচেটিয়া রাজত্ব। পোশাকি, সামাজিক, গ্রামীণ, লাভস্টোরি, মারদাঙ্গা সব ধরনের ছবিতেই তার নাম। পর্দায় ওয়াসিম যখন ঘোড়া চালিয়ে আসতেন তখন সিনেমা হল করতালিতে মুখর হয়ে উঠতো। ওয়াসিম ১৫০টি ছবির নায়ক ছিলেন। হাতেগোনা অল্প কিছু ছবি ছাড়া প্রতিটি ছবিই ব্যবসা সফল হয়েছিল। তিনি অলিভিয়া, অঞ্জু ঘোষ ও শাবানার সঙ্গে বেশি সংখ্যক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ‘দি রেইন’ সিনেমায় নায়িকা ছিলেন অলিভিয়া। এরপর ‘বাহাদুর’, ‘লুটেরা’, ‘লাল মেম সাহেব’, ‘বেদ্বীন’ সিনেমায় অলিভিয়ার সঙ্গে অভিনয় করেন। ‘রাজ দুলালী’ ছবিতে শাবানার সঙ্গে তার অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করে। অঞ্জু ঘোষের সঙ্গে অভিনয় করেছেন- ‘সওদাগর’, ‘নরম গরম’, ‘আবেহায়াত’, ‘চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা’, ‘পদ্মাবতী’, ‘রসের বাইদানী’সহ বেশকিছু সিনেমায়।