প্রথম পাতা
‘মহামারিতে দেড় কোটি মানুষ দরিদ্র হয়েছে’
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২০২১-০৪-১৮
চলমান করোনা মহামারিতে দেশে মোট শ্রমশক্তির তিন শতাংশেরও বেশি লোক কর্ম হারিয়েছেন। প্রায় দেড় কোটি লোক মহামারির প্রভাবে নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন। অনেক প্রতিষ্ঠান করোনার ধাক্কা সামাল দিতে না পেরে এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। শহর এলাকায় অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করে এমন ১০০ জনের মধ্যে চাকরি হারানোর ঝুঁকির মধ্যে আছে ৬৯ জন। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) যৌথ গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। শনিবার আয়োজিত ওয়েবিনারে সিপিডি’র গবেষণা বিষয়ক পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এসব তথ্য উপস্থাপন করেন। সিপিডি পরিচালিত গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে ‘করোনাকালে শ্রমবাজার পুনরুদ্ধারে ট্রেড ইউনিয়নের ভূমিকা: কতিপয় প্রস্তাবনা’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল সংলাপে জানানো হয়, ২০২০ সালের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে চার লাখ অভিবাসী শ্রমিক তাদের চাকরি হারিয়েছেন।
ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সিপিডি’র বোর্ড অব ট্রাস্টির ট্রেজারার সৈয়দ মনজুর এলাহী। এ সময় যুক্ত ছিলেন সংসদ সদস্য ও শ্রমিক নেত্রী শিরীন আকতার, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আবদুস সালাম, বিআইএলএসের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. আমিরুল হক আমিন।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, চাকরি হারানোদের মধ্যে ৬.৭ শতাংশ শহরাঞ্চলে অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মে নিয়োজিত ছিলেন এবং ২০২১ সাল শেষ হতে হতেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চ সংখ্যক কর্মহীন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
গবেষণা উপস্থাপনে খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, করোনা দুর্যোগের সময় ৩ শতাংশ শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। শহর অঞ্চলে ইনফরমাল ইকোনমি থেকে ৬.৭৮ শতাংশ মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছে। এছাড়া, উচ্চ পর্যায়ে ১ কোটি ১১ লাখ থেকে ২ কোটি ৫ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাকরি হারিয়েছেন এসএমই ও ইনফরমাল সেক্টর থেকে। অন্যদিকে নারী উদ্যোক্তারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে রয়েছেন। এশিয়া ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, ৫০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, দেশে দরিদ্র ক্রমশ বাড়ছে। যেখানে শ্রমনির্ভর দরিদ্র বেশি। এ হার ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৩ শতাংশ হয়েছে। অতিমারির প্রভাবে এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৬৪ লাখ মানুষ। সিপিডি বলছে, কম আয়ের শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি আর্থিক জটিলতায় পড়েছেন। বিলসের দেয়া তথ্য মতে, ৪৭ শতাংশ বস্তিবাসী ও ৩২ শতাংশ শহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী খাদ্য খরচ কমাতে বাধ্য হয়েছেন। বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের আয় কমেছে ৩৭ শতাংশ। এর মধ্যে ঢাকায় ৪২ শতাংশ এবং চট্টগ্রামে ৩৩ শতাংশ। বেতননির্ভর মানুষের আয় কমেছে ৪৯ শতাংশ।
গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, করোনার কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়েছে দেশীয় শিল্প, নির্মাণ, পরিবহন, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের ব্যবসা, খাদ্য ও ব্যক্তিগত সেবা। মধ্যম পর্যায়ে ঝুঁকিতে রয়েছে, আর্থিক খাত, অভ্যন্তরীণ পরিষেবা, আবাসন ও শিক্ষা খাত। এ ছাড়া কম ঝুঁকিতে রয়েছে কৃষি, স্বাস্থ্য, তথ্য ও যোগাযোগ খাত। ফলে শহর অঞ্চলের ৬৯ শতাংশ কর্মজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বলেন, অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে শ্রমিকদের আগ্রহ নিশ্চিত করার বিষয়ে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা এবং একটি যৌথ বিবৃতি প্রয়োজন।
ওয়েবিনারে সংসদ সদস্য ও শ্রমিক নেত্রী শিরীন আকতার বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে শ্রমবাজার পুনরুদ্ধারে আমাদের কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে সামাজিক সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন দেশ করোনা নিয়ন্ত্রণ করে কীভাবে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করছে তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
শ্রমিক নেতা হামিদা হোসেন বলেন, কঠোর লকডাউনের মধ্যে পোশাক কারখানা খোলা রাখার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, শ্রমিকদেরকে কারখানায় আনার জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করতে হবে, কিন্তু কারখানা মালিকরা অধিকাংশই পরিবহনের ব্যবস্থা করেননি। এতে শ্রমিকরা দূর-দূরান্ত থেকে পায়ে হেঁটে কারখানামুখী হচ্ছেন। তাদের মধ্যে শারীরিক এবং সামাজিক দূরত্ব নেই, একসঙ্গে অনেকেই পায়ে হেঁটে আসছেন, এতে তাদের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগহারে বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। সরকারের কাছে দাবি জানাই, প্রতিটি শ্রমিককে বিনামূল্যে করোনা টেস্ট করানোর ব্যবস্থা করা হোক। একই সঙ্গে শ্রমিকদেরকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার দাবি জানাই।
শ্রমিক নেতা তৌহিদুর রহমান শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমালোচনা করে বলেন, আমাদের ট্রেড ইউনিয়নগুলো ঐক্যবদ্ধ না। একাধিক ট্রেড ইউনিয়ন হয় অথচ আমরা কথা বলতে পারি না, আমাদের দাবির পক্ষে একমত হতে পারি না। এজন্য আমরা সব জায়গায় উপেক্ষিত হই।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আবদুস সালাম বলেন, বর্তমানে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আছি আমরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাকালীন সময়ে অত্যন্ত সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি আমাদের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট টিম কাজ করছে। এরই মধ্যে ২৩টি টিম ১৮৬টি কারখানা পরিদর্শন করেছে। সরকার ঘোষিত ২৩টি প্যাকেজের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে শ্রমিকদের স্বার্থসংশ্লিষ্টরা। এ থেকে বোঝা যায় শ্রমিকদের কতো বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। শ্রমসচিব বলেন, আমরা প্রতিটি আলোচনায় কারখানা মালিক এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একসঙ্গে বসে প্রতিটা শ্রমিক প্রতিনিধিকে রাখতে চেষ্টা করি এবং রাখি। এরপরও যদি আমাদের বলা হয় শ্রমিক প্রতিনিধিরা প্রোগ্রামগুলোতে উপেক্ষিত হন তাহলে কষ্ট লাগে।
আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পটিয়াইনন সংলাপে আরেক বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, সংগঠিত এবং অসংগঠিত উভয় ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা সরবরাহের আওতায় আনার দিকে সরকারের মনোনিবেশ করা উচিত।
ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সিপিডি’র বোর্ড অব ট্রাস্টির ট্রেজারার সৈয়দ মনজুর এলাহী। এ সময় যুক্ত ছিলেন সংসদ সদস্য ও শ্রমিক নেত্রী শিরীন আকতার, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আবদুস সালাম, বিআইএলএসের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. আমিরুল হক আমিন।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, চাকরি হারানোদের মধ্যে ৬.৭ শতাংশ শহরাঞ্চলে অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মে নিয়োজিত ছিলেন এবং ২০২১ সাল শেষ হতে হতেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চ সংখ্যক কর্মহীন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
গবেষণা উপস্থাপনে খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, করোনা দুর্যোগের সময় ৩ শতাংশ শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। শহর অঞ্চলে ইনফরমাল ইকোনমি থেকে ৬.৭৮ শতাংশ মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছে। এছাড়া, উচ্চ পর্যায়ে ১ কোটি ১১ লাখ থেকে ২ কোটি ৫ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাকরি হারিয়েছেন এসএমই ও ইনফরমাল সেক্টর থেকে। অন্যদিকে নারী উদ্যোক্তারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে রয়েছেন। এশিয়া ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, ৫০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, দেশে দরিদ্র ক্রমশ বাড়ছে। যেখানে শ্রমনির্ভর দরিদ্র বেশি। এ হার ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৩ শতাংশ হয়েছে। অতিমারির প্রভাবে এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৬৪ লাখ মানুষ। সিপিডি বলছে, কম আয়ের শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি আর্থিক জটিলতায় পড়েছেন। বিলসের দেয়া তথ্য মতে, ৪৭ শতাংশ বস্তিবাসী ও ৩২ শতাংশ শহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী খাদ্য খরচ কমাতে বাধ্য হয়েছেন। বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের আয় কমেছে ৩৭ শতাংশ। এর মধ্যে ঢাকায় ৪২ শতাংশ এবং চট্টগ্রামে ৩৩ শতাংশ। বেতননির্ভর মানুষের আয় কমেছে ৪৯ শতাংশ।
গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, করোনার কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়েছে দেশীয় শিল্প, নির্মাণ, পরিবহন, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের ব্যবসা, খাদ্য ও ব্যক্তিগত সেবা। মধ্যম পর্যায়ে ঝুঁকিতে রয়েছে, আর্থিক খাত, অভ্যন্তরীণ পরিষেবা, আবাসন ও শিক্ষা খাত। এ ছাড়া কম ঝুঁকিতে রয়েছে কৃষি, স্বাস্থ্য, তথ্য ও যোগাযোগ খাত। ফলে শহর অঞ্চলের ৬৯ শতাংশ কর্মজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বলেন, অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে শ্রমিকদের আগ্রহ নিশ্চিত করার বিষয়ে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা এবং একটি যৌথ বিবৃতি প্রয়োজন।
ওয়েবিনারে সংসদ সদস্য ও শ্রমিক নেত্রী শিরীন আকতার বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে শ্রমবাজার পুনরুদ্ধারে আমাদের কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে সামাজিক সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন দেশ করোনা নিয়ন্ত্রণ করে কীভাবে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করছে তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
শ্রমিক নেতা হামিদা হোসেন বলেন, কঠোর লকডাউনের মধ্যে পোশাক কারখানা খোলা রাখার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, শ্রমিকদেরকে কারখানায় আনার জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করতে হবে, কিন্তু কারখানা মালিকরা অধিকাংশই পরিবহনের ব্যবস্থা করেননি। এতে শ্রমিকরা দূর-দূরান্ত থেকে পায়ে হেঁটে কারখানামুখী হচ্ছেন। তাদের মধ্যে শারীরিক এবং সামাজিক দূরত্ব নেই, একসঙ্গে অনেকেই পায়ে হেঁটে আসছেন, এতে তাদের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগহারে বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। সরকারের কাছে দাবি জানাই, প্রতিটি শ্রমিককে বিনামূল্যে করোনা টেস্ট করানোর ব্যবস্থা করা হোক। একই সঙ্গে শ্রমিকদেরকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার দাবি জানাই।
শ্রমিক নেতা তৌহিদুর রহমান শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমালোচনা করে বলেন, আমাদের ট্রেড ইউনিয়নগুলো ঐক্যবদ্ধ না। একাধিক ট্রেড ইউনিয়ন হয় অথচ আমরা কথা বলতে পারি না, আমাদের দাবির পক্ষে একমত হতে পারি না। এজন্য আমরা সব জায়গায় উপেক্ষিত হই।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আবদুস সালাম বলেন, বর্তমানে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আছি আমরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাকালীন সময়ে অত্যন্ত সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি আমাদের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট টিম কাজ করছে। এরই মধ্যে ২৩টি টিম ১৮৬টি কারখানা পরিদর্শন করেছে। সরকার ঘোষিত ২৩টি প্যাকেজের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে শ্রমিকদের স্বার্থসংশ্লিষ্টরা। এ থেকে বোঝা যায় শ্রমিকদের কতো বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। শ্রমসচিব বলেন, আমরা প্রতিটি আলোচনায় কারখানা মালিক এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একসঙ্গে বসে প্রতিটা শ্রমিক প্রতিনিধিকে রাখতে চেষ্টা করি এবং রাখি। এরপরও যদি আমাদের বলা হয় শ্রমিক প্রতিনিধিরা প্রোগ্রামগুলোতে উপেক্ষিত হন তাহলে কষ্ট লাগে।
আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পটিয়াইনন সংলাপে আরেক বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, সংগঠিত এবং অসংগঠিত উভয় ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা সরবরাহের আওতায় আনার দিকে সরকারের মনোনিবেশ করা উচিত।