বাংলারজমিন
মোরেলগঞ্জে পেঁপের বাম্পার ফলন
মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
১৮ এপ্রিল ২০২১, রবিবার, ৮:১৪ অপরাহ্ন
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পেঁপে চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। এ কারণে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি পেঁপে চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন তারা। এ বছর মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় ৪৯৮ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষ হয়েছে। যা থেকে (সবজি হিসেবে) প্রায় ৭০ হাজার মেট্রিক টন পেঁপে উৎপাদিত হবে।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের কৃষক মো. আব্দুল খালেক শেখ জানান, লাভজনক হওয়ায় তিনি পেঁপে চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। তিনি এ বছর ১০ বিঘা জমিতে পেঁপে গাছ লাগিয়েছেন। প্রথম বার পেঁপের চারা লাগানোসহ বিভিন্ন ধরনের পরিচর্যায় প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে নতুন লাগানো ক্ষেত থেকে পেঁপে বিক্রি শুরু করেছেন তিনি। বর্তমানে প্রতিমণ পেঁপে ৩শ’ টাকা দরে বিক্রি করছেন। প্রতি ২০ দিন পরপর প্রায় ৪শ’ মণ পেঁপে বিক্রি হচ্ছে। চলতি মৌসুমে নতুন লাগানো ক্ষেত থেকে ৬ থেকে ৮ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি। একই গ্রামের কৃষক মো. কাদের শেখ জানান, পেঁপে একটি লাভজনক ফসল। তিনি এ বছর ৩ বিঘা জমিতে পেঁপে গাছ লাগিয়েছেন। চলতি বছরে এ ক্ষেত থেকে প্রায় ২ থেকে আড়াই লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষেত নষ্ট না হলে আগামীতে আরো বেশি লাভবান হবেন বলে আশা করছেন। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পেঁপে গাছের বিভিন্ন রোগ যেমন- গাছের গোড়া পঁচা, পোকাবাহিত বিভিন্ন রোগ, ক্ষতিকারক ভাইরাস থেকে গাছকে মুক্ত রাখতে কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া পেঁপে গাছের খাদ্যের অভাব মেটাতে বোরোন নামক অনুখাদ্য প্রয়োগ করতে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া পেঁপের পরাগায়ণসহ ভালো ফলন পাওয়ার জন্য কৃষকদের বিঘাপ্রতি ২টি পুরুষ গাছ রাখার কথা বলা হয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলায় স্থানীয় জাতের পেঁপের পাশাপাশি বারি জাতের শাহিরাচি, কাশিমপুরী, হানিডিউ, পুশাজাজেন্টসহ বিভিন্ন জাতের পেঁপের চাষ করেছেন কৃষকরা। এসব জাতের পেঁপে ক্ষেত থেকে কৃষকরা যাতে ভালো ফলন পেতে পারেন এর জন্য সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সিফাত আল-মারুফ জানান, কৃষকরা যাতে পেঁপের ভালো ফলন পায় এর জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পেঁপে চাষের সুবিধা হচ্ছে জমিতে একবার চারা লাগালে ৩ বছর পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে প্রথম বছরের পর পরবর্তী দুই বছর ক্ষেত পরিচর্যার খরচ খুবই কম লাগে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবারও কৃষকরা পেঁপে চাষে ব্যাপকভাবে লাভবান হবেন।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের কৃষক মো. আব্দুল খালেক শেখ জানান, লাভজনক হওয়ায় তিনি পেঁপে চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। তিনি এ বছর ১০ বিঘা জমিতে পেঁপে গাছ লাগিয়েছেন। প্রথম বার পেঁপের চারা লাগানোসহ বিভিন্ন ধরনের পরিচর্যায় প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে নতুন লাগানো ক্ষেত থেকে পেঁপে বিক্রি শুরু করেছেন তিনি। বর্তমানে প্রতিমণ পেঁপে ৩শ’ টাকা দরে বিক্রি করছেন। প্রতি ২০ দিন পরপর প্রায় ৪শ’ মণ পেঁপে বিক্রি হচ্ছে। চলতি মৌসুমে নতুন লাগানো ক্ষেত থেকে ৬ থেকে ৮ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি। একই গ্রামের কৃষক মো. কাদের শেখ জানান, পেঁপে একটি লাভজনক ফসল। তিনি এ বছর ৩ বিঘা জমিতে পেঁপে গাছ লাগিয়েছেন। চলতি বছরে এ ক্ষেত থেকে প্রায় ২ থেকে আড়াই লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষেত নষ্ট না হলে আগামীতে আরো বেশি লাভবান হবেন বলে আশা করছেন। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পেঁপে গাছের বিভিন্ন রোগ যেমন- গাছের গোড়া পঁচা, পোকাবাহিত বিভিন্ন রোগ, ক্ষতিকারক ভাইরাস থেকে গাছকে মুক্ত রাখতে কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া পেঁপে গাছের খাদ্যের অভাব মেটাতে বোরোন নামক অনুখাদ্য প্রয়োগ করতে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া পেঁপের পরাগায়ণসহ ভালো ফলন পাওয়ার জন্য কৃষকদের বিঘাপ্রতি ২টি পুরুষ গাছ রাখার কথা বলা হয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলায় স্থানীয় জাতের পেঁপের পাশাপাশি বারি জাতের শাহিরাচি, কাশিমপুরী, হানিডিউ, পুশাজাজেন্টসহ বিভিন্ন জাতের পেঁপের চাষ করেছেন কৃষকরা। এসব জাতের পেঁপে ক্ষেত থেকে কৃষকরা যাতে ভালো ফলন পেতে পারেন এর জন্য সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সিফাত আল-মারুফ জানান, কৃষকরা যাতে পেঁপের ভালো ফলন পায় এর জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পেঁপে চাষের সুবিধা হচ্ছে জমিতে একবার চারা লাগালে ৩ বছর পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে প্রথম বছরের পর পরবর্তী দুই বছর ক্ষেত পরিচর্যার খরচ খুবই কম লাগে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবারও কৃষকরা পেঁপে চাষে ব্যাপকভাবে লাভবান হবেন।