বাংলারজমিন
রংপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে
১৮ এপ্রিল ২০২১, রবিবার, ৮:১৪ অপরাহ্ন
রংপুরে মসজিদের আদায়কৃত টাকার হিসাব নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নাজমুল হক (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনা ঘটেছে কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের চেয়ারম্যানটারী এলাকায়। নিহত নাজমুল হারাগাছ পৌরসভার সৎবাজার এলাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে। এ ঘটনায় আরো ৫ জন আহত হয়েছে। আহতরা স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যানটারীর সারাই জুম্মাপাড়া জামে মসজিদের কমিটি নিয়ে দু’পক্ষের দীর্ঘদিন ধরে রেষারেষি চলে আসছিল। মসজিদের উন্নয়নের জন্য নতুন কমিটির সদস্যরা মুসল্লিসহ স্থানীয়দের কাছ থেকে চাঁদা আদায় কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এর মধ্যে চাঁদার ২৫ শতাংশ টাকা আদায়কারী পারিশ্রমিক হিসেবে নিতেন। এই ২৫ শতাংশ টাকা নেয়াকে কেন্দ্র করে নতুন কমিটির সদস্য আব্দুল বারী ভেল্লু (৫০) এর সঙ্গে পুরাতন কমিটির সদস্য নুর আলমের ভাই দয়ালের বাকবিতণ্ডা হয়। গত শুক্রবার মাগরিবের নামাজ শেষে আবারো দুইপক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে বর্তমান কমিটির সদস্য ভেল্লুরের ছেলে রিপন, লিয়নসহ কয়েকজন মিলে দয়াল ও তারপক্ষের লোকজনের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ ঘটনায় দয়ালের দুলাভাই নাজমুল, নুর আলম ও দয়াল আহত হয়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় নাজমুল ও দয়ালকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টায় মারা যায় নাজমুল। খবর পেয়ে হারাগাছ থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ভেল্লু, তার স্ত্রী স্বপ্না, ছেলে রিপন ও লিয়নকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে চেয়ারম্যানটারীতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
হারাগাছ থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। রাতে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের শ্যালক দয়াল বাদী হয়ে রাতেই ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২-৩ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যানটারীর সারাই জুম্মাপাড়া জামে মসজিদের কমিটি নিয়ে দু’পক্ষের দীর্ঘদিন ধরে রেষারেষি চলে আসছিল। মসজিদের উন্নয়নের জন্য নতুন কমিটির সদস্যরা মুসল্লিসহ স্থানীয়দের কাছ থেকে চাঁদা আদায় কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এর মধ্যে চাঁদার ২৫ শতাংশ টাকা আদায়কারী পারিশ্রমিক হিসেবে নিতেন। এই ২৫ শতাংশ টাকা নেয়াকে কেন্দ্র করে নতুন কমিটির সদস্য আব্দুল বারী ভেল্লু (৫০) এর সঙ্গে পুরাতন কমিটির সদস্য নুর আলমের ভাই দয়ালের বাকবিতণ্ডা হয়। গত শুক্রবার মাগরিবের নামাজ শেষে আবারো দুইপক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে বর্তমান কমিটির সদস্য ভেল্লুরের ছেলে রিপন, লিয়নসহ কয়েকজন মিলে দয়াল ও তারপক্ষের লোকজনের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ ঘটনায় দয়ালের দুলাভাই নাজমুল, নুর আলম ও দয়াল আহত হয়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় নাজমুল ও দয়ালকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টায় মারা যায় নাজমুল। খবর পেয়ে হারাগাছ থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ভেল্লু, তার স্ত্রী স্বপ্না, ছেলে রিপন ও লিয়নকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে চেয়ারম্যানটারীতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
হারাগাছ থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। রাতে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের শ্যালক দয়াল বাদী হয়ে রাতেই ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২-৩ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।