বিশ্বজমিন
দলীয় প্রধানের পদ ত্যাগ করবেন রাউল ক্যাস্ত্রো
ক্যাস্ত্রো পরিবারের ৬ দশকের ক্ষমতার ইতি ঘটতে চলেছে
মানবজমিন ডেস্ক
১৭ এপ্রিল ২০২১, শনিবার, ১০:০৭ পূর্বাহ্ন
কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন কিউবা বিপ্লবের অবিসংবাদিত নেতা প্রয়াত ফিদেল ক্যাস্ত্রোর ছোটভাই রাউল ক্যাস্ত্রো। এর মধ্য দিয়ে ৬০ বছর বা ৬ দশকের পারিবারিক ক্ষমতার ইতি ঘটতে চলেছে। ইতি ঘটতে চলেছে ১৯৬৯ সালের বিপ্লবের সূচনাকারী ফিদেল ক্যাস্ট্রো যুগের আনুষ্ঠানিক নেতৃত্বের। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে আরো বলা হয়েছে, কিউবায় কমিউনিস্ট পার্টির চারদিনের কংগ্রেস চলছে। সেখানে ৮৯ বছর বয়সী রাউল ক্যাস্ত্রো ঘোষণা দিয়েছেন তিনি ক্ষমতা এমন এক তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করতে যাচ্ছেন, যার আছে আবেগ ও সা¤্রাজ্যবাদ বিরোধী স্পৃহা। কংগ্রেসের চারদিনের সম্মেলন শেষে রাউল ক্যাস্ত্রোর উত্তরসূরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হবে। শুক্রবার হাভানায় দলীয় ডেলিগেটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমার দেশবাসীর প্রতি শক্তিশালী এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী প্রকৃতিতে বিশ্বাস করি। উল্লেখ্য, ক্যাস্ত্রো নিজে কোনো সম্ভাব্য উত্তরসূরিকে অনুমোদন দেননি। তবে ধারণা করা হয়, ভোটে দলের নতুন নেতা নির্বাচত হতে পারেন মিগুয়েল ডিয়াজ-ক্যানেল। ২০১৮ সালে দ্বীপরাষ্ট্র কিউবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা হাতে নিয়েছেন তিনি।
কিউবা থেকে বিবিসির সাংবাদিক উইল গ্রান্ট বলছেন, রাউল ক্যাস্ত্রোর এই ঘোষণা অপ্রত্যাশিত ছিল না। তবে তাই বলে এ ঘোষণা ঐতিহাসিকতার থেকে কম নয়। এমন মুহূর্ত আসছে এটা পুরো দ্বীপবাসী জানতেন। তবে ঐতিহাসিক বিষয় হলো আনুষ্ঠানিকভাবে কিউবা শাসিত হবে এমন নেতাদের দিয়ে যারা আর ক্যাস্ত্রো পরিবারের কেউ নন। ১৯৫৯ সাল থেকে দেশটি শাসন করে আসছেন এই পরিবার। বাস্তবতা হলো অল্প সময়ের মধ্যে সামান্য পরিবর্তন আসতে পারে। রাউল ক্যাস্ত্রোর কাছ থেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা নিয়েছেন মিগুয়েল ডিয়াজ-ক্যানেল। তিনি একই সঙ্গে দলটির ফার্স্ট সেক্রেটারিও হতে পারেন। দৃশ্যত মনে হচ্ছে এর মধ্য দিয়ে কিউবার কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতি উদারীকরণে আরো কিছু পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে। শীতল যুদ্ধের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটি সবচেয়ে কঠিন অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে আটকে আছে। ফল হিসেবে বেসরকারি খাতের কৃষকদেরকে সম্প্রতি গরুর মাংস ও ডেইরি পণ্য বিক্রির অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হবে কিনা তা নির্ভর করছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের উপর। কিউবার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। সেটাকে বাইডেন আঁকড়ে ধরে রাখবেন কিনা তা সময়ই বলে দেবে। তবে এ কথা আকারে ইঙ্গিতে রাউল ক্যাস্ত্রো বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি দলীয় নেতৃত্ব থেকে সরে গেলেও পর্দার আড়ালে কলকাঠি নাড়বেন।
কিউবা থেকে বিবিসির সাংবাদিক উইল গ্রান্ট বলছেন, রাউল ক্যাস্ত্রোর এই ঘোষণা অপ্রত্যাশিত ছিল না। তবে তাই বলে এ ঘোষণা ঐতিহাসিকতার থেকে কম নয়। এমন মুহূর্ত আসছে এটা পুরো দ্বীপবাসী জানতেন। তবে ঐতিহাসিক বিষয় হলো আনুষ্ঠানিকভাবে কিউবা শাসিত হবে এমন নেতাদের দিয়ে যারা আর ক্যাস্ত্রো পরিবারের কেউ নন। ১৯৫৯ সাল থেকে দেশটি শাসন করে আসছেন এই পরিবার। বাস্তবতা হলো অল্প সময়ের মধ্যে সামান্য পরিবর্তন আসতে পারে। রাউল ক্যাস্ত্রোর কাছ থেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা নিয়েছেন মিগুয়েল ডিয়াজ-ক্যানেল। তিনি একই সঙ্গে দলটির ফার্স্ট সেক্রেটারিও হতে পারেন। দৃশ্যত মনে হচ্ছে এর মধ্য দিয়ে কিউবার কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতি উদারীকরণে আরো কিছু পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে। শীতল যুদ্ধের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটি সবচেয়ে কঠিন অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে আটকে আছে। ফল হিসেবে বেসরকারি খাতের কৃষকদেরকে সম্প্রতি গরুর মাংস ও ডেইরি পণ্য বিক্রির অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হবে কিনা তা নির্ভর করছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের উপর। কিউবার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। সেটাকে বাইডেন আঁকড়ে ধরে রাখবেন কিনা তা সময়ই বলে দেবে। তবে এ কথা আকারে ইঙ্গিতে রাউল ক্যাস্ত্রো বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি দলীয় নেতৃত্ব থেকে সরে গেলেও পর্দার আড়ালে কলকাঠি নাড়বেন।