লুট হওয়া গরু যুবলীগ নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার

পাবনার সাঁথিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নাজির (২৮) নামে একজন নিহতের পর ১৪টি গরু লুট হয়। এর মধ্যে একটি গরু যুবলীগ নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামের তাজমল মেম্বর গ্রুপ ও এনামুল হক শশী গ্রুপের মধ্যে দির্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ২৫শে মার্চ তাজমল মেম্বরের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শশী গ্রুপের লোকজনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় প্রতিপক্ষ নাজিরকে ঘরের মধ্য থেকে বের করে এনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। গুরুতর আহত নাজিরকে দ্রুত সাঁথিয়া হাসপাতালে আনা হলে কর্র্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় প্রতিপক্ষরা বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। লুটপাটের ১৪টি গরুর মধ্যে ৩টি গরু উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জোড়গাছা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান লাভলুর বাড়িতে রয়েছে মর্মে খবর পায় পুলিশ। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ২টি গরু সরিয়ে ফেলে। পরে পুলিশ ১টি গরু উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এলাকাবাসী জানান,  লুটের ১৪টি গরুর মধ্যে ৩টি গরু যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান লাভলু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক হাসিবুল খান সানা ও ধোপাদহ গ্রামের যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান- এই ৩ জন মিলে ৩টি গরু নিয়ে লাভলুর বাড়িতে রাখে। পরে দু’জন ২টি গরু সরিয়ে নিলে লাভলুর ভাগেরটা ওর বাড়িতে রেখে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গরু উদ্ধার করে  থানায় নিয়ে আসে। যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান লাভলুর ফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। সাঁথিয়া থানার ওসি আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান,  ১টি গরু উদ্ধার করা হয়েছে এবং মালিককে গরু বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।