অনলাইন

সর্বাত্মক লকডাউনের তৃতীয় দিন

কাঁচাবাজারে ভিড়, বাড়তি মূল্যেই চলছে কেনাকাটা

স্টাফ রিপোর্টার

১৬ এপ্রিল ২০২১, শুক্রবার, ১২:০৯ অপরাহ্ন

ফাইল ফটো

চলছে রমজান মাস, সঙ্গে লকডাউন। আবার সেই সঙ্গে আজ শুক্রবার। তাই সকাল হতেই রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলোতে দেখা দিয়েছে ক্রেতাদের অস্বাভাবিক আনাগোনা। বিশেষ করে কাঁচাবাজারের প্রাণখ্যাত কাওরান বাজারে দেখা গেছে বেশ ভিড়। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিটি সবজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৩০ টাকা। আর শুক্রবার সকালে প্রচণ্ড গরমে বাড়ছে অস্বস্তি। প্রচণ্ড গরমের ফলে বাজারে ঘেমে অস্থির হয়ে উঠছেন ক্রেতারা।  

রাজধানীর সড়কগুলো ফাঁকা হলেও বাজারগুলোতে বেশ ক্রেতাসমাগম। বাজারগুলোতে সামাজিক দুরত্ব না মেনেই চলছে কেনাকাটা। যদিও দুরত্ব মেনে কাওরানবাজার কিংবা অন্যান্য বাজারে কেনাকাটা করা কতোটা সম্ভব, এ নিয়েও প্রশ্ন আছে। তবে সম্ভবকর মাস্কের ব্যবহারে অনেকটাই উদাসীন বিক্রেতারা। ক্রেতাদের অধিকাংশের মুখে রয়েছে মাস্ক।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর কাওরানবাজার, ফকিরাপুল, পান্থপথ, রাজাবাজার, শুক্রবাদসহ বিভিন্ন বাজারে লোকসমাগম লক্ষ্য করা যায়।

কাওরান বাজারে দেখা যায়, মানভেদে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০ থেকে ৯০ টাকা এবং গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

প্রতি পিছ পানিকচু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লতির আঁটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেড়স ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, সজনে ডাটা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মরিচ ৫০ টাকা, চালকুমড়া ২০ থেকে ৩০ টাকা, ধন্দুল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচা আম ৬০ টাকা, কাকরোল ১২০ টাকা। মানভেদে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচাকলা ২০ টাকা।

বিক্রেতারা বলছেন, লকডাউন এবং বৃষ্টি না হওয়ার কারণে সবজির দাম বেশি। বাড়তি দাম দিয়েই তাদের সবজি কিনতে হচ্ছে, তাই বিক্রিও করছেন বেশি দামে।

এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় পাঁচ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। গত সপ্তাহে এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকায়। গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে মুরগির দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা থেকে ১৬০ টাকা, সোনালী ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা, লেয়ার ২৩০ টাকা। এছাড়া হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা পিস, কবুতর ১৪০ টাকা।

প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৩ টাকা, নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৬ টাকা, স্বর্ণা (গুটি) বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, স্বর্ণা (পাইজাম) বিক্রি হচ্ছে ৪৭ টাকা, আটাশ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা। অন্যদিকে ভারত থেকে আমদানিকৃত চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৫৯ টাকা কেজি।

অপরিবর্তিত আছে ভোজ্যতেল। পুষ্টি ব্র্যান্ডের ৫ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৬৩০ টাকা, রূপচাঁদা ৬৪০ টাকা, বসুন্ধরা ৬৪০ টাকা, তীর ৬৪০ টাকা, মুসকান ৬২০ টাকা। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেল ১২০ টাকা লিটার এবং পাম ১০৫ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে।

ছোলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা, চিনি ৭০ টাকা, মসুর ডাল চিকন ১০৫ টাকা, মোটা মসুর ডাল ৭০ টাকা এবং মুগ ডাল ১৩৫ টাকা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status