বাংলারজমিন
দু’পাড়ে আটকা ৫ শতাধিক যানবাহন লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ-রুটে দুর্ভোগ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
১৬ এপ্রিল ২০২১, শুক্রবার, ৮:১৩ অপরাহ্ন
লকডাউন ও অফিস বন্ধে লক্ষ্মীপুরে মজুচৌধুরীর হাট ফেরিঘাটে পণ্যবাহী যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। ফলে ঘাটের দু’পাড়ে আটকা পড়েছে প্রায় ৫শ’র বেশি পণ্যবাহী যানবাহন। এতে করে নষ্ট হচ্ছে কাঁচামাল। পাশাপাশি নদীতে নাব্য সংকটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে নৌকায় করে নদী পারাপার হচ্ছে মানুষ। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বিআইডব্লিউটিসি ও নৌ-পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশাবাদ করেন তারা। লকডাউন বাস্তবায়নে নৌপথে নৌকায় করে মানুষ পারাপার করতে দেয়া হবে না। বিআইডব্লিউটিসি ও ফেরিঘাট সূত্রে জানা যায়, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ লক্ষ্মীপুরে মজুচৌধুরীরহাট-ভোলা এ নৌ-রুট দিয়ে যাতায়াত করছে। লকডাউন ঘোষণার পর গত এক সপ্তাহ ধরে মজুচৌধুরীরহাট ও ভোলা ফেরিঘাটে আটকা পড়েছে ৫শ’র বেশি পণ্যবাহী ট্রাকসহ ছোট বড় যানবাহন। এতে করে ট্রাকে পচন ধরেছে আলু, পিয়াজ ও রসুনসহ নিত্যপ্রয়োজনী বিভিন্ন রকমের কাঁচামাল। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন চালকরা। লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরীরহাট সড়কে তৈরি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। ট্রাকচালক সফিক উল্যাহ, মহসিন ও রহিমসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, একদিকে লকডাউন, অন্যদিকে রমজান শুরু, পাশাপাশি নদীতে নাব্য সংকটের কারণে ঠিকমতো ফেরি চলাচল করছে না। গত এক সপ্তাহ ধরে পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে ঘাটে বসে আছি। দুর্ভোগের কোনো শেষ নেই। ঘাটে পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে আটকা পড়ার পর থাকা, খাওয়াসহ নানা সমস্যায় পড়ছেন চালকরা। এ ছাড়া ফেরি কর্তৃপক্ষ ভিআইপি নাম দিয়ে টাকার বিনিময়ে অন্য যানবাহন আগে ফেরিতে তুলছে বলে অভিযোগ করেন চালকরা। বেশির ভাগ ট্রাকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রয়েছে। অনেক ট্রাকে কাঁচামাল পচন ধরেছে। কবে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে, সে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চালক ও ব্যবসায়ীরা। এ নৌ-রুটের বিভিন্ন স্থানে নতুন ডুবোচর জেগে ওঠায় প্রতিদিন ৪-৮ ঘণ্টা ফেরি ডুবোচরে আটকে থাকতে হয়। জোয়ার আসলেই কিছুটা পানি বাড়ায় ফেরি চলাচল শুরু হলেও ফেরি কম থাকায় দিনের পর দিন ঘাটে না খেয়ে পড়ে থাকতে হয়। দ্রুত ঘাটে ফেরি সংকট সমাধান না করলে দুর্ভোগ আরো বাড়বে বলে জানান, এ নৌ-রুটে চলাচলকারী চালকরা।
এদিকে, বিআইডব্লিউটিসির মজুচৌধুরীরহাট ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. কাউছার জানান, লকডাউন, রমজানের কারণে গাড়ির চাপ বাড়ছে কয়েকগুণ। পাশাপাশি নদীতে নাব্য সংকটের কারণে ঠিকমতো ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে দু’পাড়ে কয়েকশ’ পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশাবাদ করেন তারা।
জেলা পুলিশ সুপার ড. এএইচ এম কামরুজ্জামান বলেছেন, লকডাউন বাস্তবায়নে নৌ-পথে নৌকায় করে মানুষ পারাপার করতে দেয়া হবে না। যদি কেউ নৌকায় করে যেতে চাই তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ছাড়া যানজট যেন দ্রুত সময়ে সমাধান হয়, সে বিষয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে, বিআইডব্লিউটিসির মজুচৌধুরীরহাট ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. কাউছার জানান, লকডাউন, রমজানের কারণে গাড়ির চাপ বাড়ছে কয়েকগুণ। পাশাপাশি নদীতে নাব্য সংকটের কারণে ঠিকমতো ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে দু’পাড়ে কয়েকশ’ পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশাবাদ করেন তারা।
জেলা পুলিশ সুপার ড. এএইচ এম কামরুজ্জামান বলেছেন, লকডাউন বাস্তবায়নে নৌ-পথে নৌকায় করে মানুষ পারাপার করতে দেয়া হবে না। যদি কেউ নৌকায় করে যেতে চাই তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ছাড়া যানজট যেন দ্রুত সময়ে সমাধান হয়, সে বিষয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে।