বাংলারজমিন

৭ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি নীলাচল পানি সরবরাহ কেন্দ্র

নুরুল কবির, বান্দরবান থেকে

১৬ এপ্রিল ২০২১, শুক্রবার, ৭:৪১ অপরাহ্ন

বান্দরবান শহরের নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রে পানি সরবরাহ প্রকল্প সাত বছরেও আলোর মুখ দেখেনি। প্রকল্পটির টেন্ডার হয় ২০১৪-১৫ অর্থবছরে। এরপর তিন দফায় পাঁচ বছর সময় বাড়ানো হলেও কাজ শেষ হয়নি। সর্বশেষ কাজ শেষ করতে ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। যার কারণে ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকার প্রকল্প এখন ৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। বান্দরবান নীলাচল পর্যটন স্পটে বেড়াতে যাওয়া পর্যটক ও আশপাশের মানুষের পানি সরবরাহের লক্ষ্যে ২০১৪ সনে এই প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিল বান্দরবান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। ওই বছরের ৩১শে অক্টোবর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী পানি সরবরাহের এই প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে এই পানি সরবরাহ কেন্দ্র থেকে মানুষ কোনো প্রকার উপকৃত হয়নি। বর্তমানে প্রকল্পটি পরিত্যক্তের ন্যায় পড়ে আছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে মেসার্স রতন সেন তঞ্চগ্যা নামীয় লাইসেন্সে এই প্রকল্পের কাজ পেয়েছিলেন ঠিকাদার মাহাবুবুর রহমান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে থাকা তৎকালীন বিতর্কিত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সোহারাব হোসেন ও জনস্বাস্থ্য বিভাগের সদর উপজেলা কর্মকর্তা মনজেল হোসেনের খামখেয়ালিপনার কারণে প্রকল্পের কাজ চলছে কচ্ছপগতিতে। কাজের ধীরগতি নিয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার মাহাবুবুর রহমান জানান, নীলাচলের নিচের ঝিরিতে বাঁধ নির্মাণ করে পানি পরিশোধানাগার এবং জলাধার সংরক্ষণ করে পানি সরবরাহ করার উদ্যোগ ছিল জনস্বাস্থ্য বিভাগের। কিন্তু যে বরাদ্দ ছিল তা দিয়ে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। তাই আপাতত কাজ বন্ধ আছে। নতুনভাবে বরাদ্দ পেলে পুনরায় কাজ শুরু হবে। এদিকে নীলাচল এলাকার বাসিন্দা কল্পনা তঞ্চঙ্গ্যা জানান- পানি প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছিল দেখেছি। কিন্তু ওই ট্যাংকি থেকে আমরা একবারও পানি পান করতে পারিনি। কাজ শেষ হয়েছে কিনা তাও জানা নেই তার।  কাজ শেষ করতে না পারার বিষয়ে বান্দরবান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী খোরশেদ আলম প্রধান জানান- প্রকল্পটির জন্য আমরা ৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়েছিলাম। বিপরীতে পেয়েছি ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। বাকি টাকা বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ শেষ করা যাবে। সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের কাছে পানি সরবরাহের লক্ষ্যে হাউজ স্থাপন করা হয়েছে। এরমধ্যে পানির হাউজ, ঝিরির কাজ শেষ হয়েছে। বান্দরবান সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা সহকারী প্রকৌশলী মনজেল হোসেন জানান, প্রায় ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু বরাদ্দ না থাকায় কাজ এগিয়ে নেয়া যাচ্ছে না। প্রকল্পে এখনো পানির পাম্প মেশিন, ইলেক্ট্রনিক্স কাজ, পাইপ লাইনসহ কিছু কাজ বাকি আছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status