বাংলারজমিন
জামিনে বেরিয়ে প্রাণনাশের হুমকি গ্রামছাড়া বাদী ও সাক্ষী
মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
১২ এপ্রিল ২০২১, সোমবার, ৯:০২ অপরাহ্ন
মুরাদনগরে মারামারির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আদালত থেকে জামিনে এসে ফের বাদীর বাড়িঘর ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আসামিদের প্রাণনাশের হুমকির মুখে বাদী ও সাক্ষীরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বছরের ১০ই অক্টোবর সকালে রামপুর গ্রামের নাজিম মিয়ার বাড়িঘর ভাঙচুর করে। ভাঙচুরে বাধা দিলে নাজিম মিয়ার স্ত্রী বাসনা বেগম ও তার ছেলে সাকিব হোসেনকে রক্তাক্ত জখম করে। হামলাকারীরা ওই সময় বাসনা বেগমের স্বর্ণের অলঙ্কার ও শোকেসের তালা ভেঙে নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং বসত ও রান্নাঘরের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। তাদের শোর চিৎকারে এলাকার লোকজন এসে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় একই গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে সাজমির সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গত ২০শে অক্টোবর থানায় মামলা করা হয়। এ মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে মামলার আসামিরা সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে এসে বাদী ও সাক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। গত ১লা এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রামপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের নেতৃত্বে আসামিরা মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকিসহ ফের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। আসামিদের হুমকির মুখে নিরুপায় হয়ে বাদী ও সাক্ষীরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ বিষয়ে ঘটনার শিকার নাজিম মিয়া বাদী হয়ে গত ৩রা এপ্রিল মোসলেম উদ্দিনসহ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে মুরাদনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অপরদিকে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি হানিফ সাহেবের মাধ্যমে মীমাংসা করার কথা ছিল। আপস না হওয়ায় তারা জামিনে এসে বাদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েছিল।’ মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমান বলেন, ‘আসামিদের হুমকিতে বাদী ও সাক্ষীরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়ানোর খবরটি সঠিক নয়। তারপরও বিষয়টি কেউ আমাকে লিখিতভাবে অবহিত করলে আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখবো।’
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বছরের ১০ই অক্টোবর সকালে রামপুর গ্রামের নাজিম মিয়ার বাড়িঘর ভাঙচুর করে। ভাঙচুরে বাধা দিলে নাজিম মিয়ার স্ত্রী বাসনা বেগম ও তার ছেলে সাকিব হোসেনকে রক্তাক্ত জখম করে। হামলাকারীরা ওই সময় বাসনা বেগমের স্বর্ণের অলঙ্কার ও শোকেসের তালা ভেঙে নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং বসত ও রান্নাঘরের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। তাদের শোর চিৎকারে এলাকার লোকজন এসে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় একই গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে সাজমির সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গত ২০শে অক্টোবর থানায় মামলা করা হয়। এ মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে মামলার আসামিরা সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে এসে বাদী ও সাক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। গত ১লা এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রামপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের নেতৃত্বে আসামিরা মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকিসহ ফের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। আসামিদের হুমকির মুখে নিরুপায় হয়ে বাদী ও সাক্ষীরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ বিষয়ে ঘটনার শিকার নাজিম মিয়া বাদী হয়ে গত ৩রা এপ্রিল মোসলেম উদ্দিনসহ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে মুরাদনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অপরদিকে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি হানিফ সাহেবের মাধ্যমে মীমাংসা করার কথা ছিল। আপস না হওয়ায় তারা জামিনে এসে বাদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েছিল।’ মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমান বলেন, ‘আসামিদের হুমকিতে বাদী ও সাক্ষীরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়ানোর খবরটি সঠিক নয়। তারপরও বিষয়টি কেউ আমাকে লিখিতভাবে অবহিত করলে আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখবো।’