বিনোদন
করোনা আক্রান্ত ফরিদা পারভীনের অবস্থার উন্নতি
স্টাফ রিপোর্টার
১১ এপ্রিল ২০২১, রবিবার, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
গুণী কণ্ঠশিল্পী ও লালন সাধক ফরিদা পারভীন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে খবরটি দেন কণ্ঠশিল্পীর ছোট ছেলে ইমাম জাফর নোমানী। ঐ স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, আমার আম্মা কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন করোনায় আক্রান্ত৷ তার চিকিৎসা চলছে৷ আমরা সবাই আপনাদের দোয়াপ্রার্থী৷ এরপর বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করা হলে ইমাম জাফর নোমানী মানবজমিনকে বলেন, গত ৫ এপ্রিল থেকেই আম্মার (ফরিদা পারভিন) জ্বর আসা শুরু হয়। শরীর দুর্বল হয়ে যায়। ৭ এপ্রিল টেস্ট করানো হলে ৮ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে আমরা করোনা পজিটিভ হওয়ার ব্যাপারটি জানতে পারি। তারপর ওনার শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে। অনেক জ্বর ওঠে। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছিল না। এছাড়া অক্সিজেন লেভেল বার বার পড়ে যাচ্ছিল। কৃত্রিমভাবে ওনার অক্সিজেন দেয়া প্রয়োজন হতে পারেও বলে ভাবছিলাম। সবশেষ অবস্থা বিষয়ে তিনি বলেন, এখন অক্সিজেন লেভেল ভালো আছে। জ্বরটাও নিয়ন্ত্রণে এসছে। চিকিৎসা দেয়ার পর আগের তুলনায় কিছুটা ভালো আছেন। বাসাতেই চিকিৎসা চলছে। আমার ভাবি ডাক্তার, তিনি সহযোগিতা করছেন। বাইরে থেকে ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ এ্যান্ড হাসপাতালের ডাঃ মেহেদী হাসান পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া ওনার (ফরিদা পারভিন) ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে। তাই একটু সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। মাঝে শরীর একটু খারাপ ছিল। তবে ডায়াবেটিসের সমস্যা ছাড়া তেমন কোনো শারীরিক জটিলতা নেই আম্মার। এদিকে জানা গেছে, যে কোনো সময় অক্সিজেন সাপোর্ট লাগতে পারে ফরিদা পারভীনের। তাই তার জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। আরও জানা গেছে, সিটি স্ক্যান পরীক্ষা করতে দেয়া হয়েছে এই কণ্ঠশিল্পীর। আজই (১১ এপ্রিল) রিপোর্ট পাওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া যতদিন অবস্থার উন্নতি না হয় ততদিন বেড রেস্টেই থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। উল্লেখ্য, ফরিদা পারভীন প্রথমে নজরুলসংগীত, এরপর দেশের গান গেয়ে পরিচিতি পেলেও ১৯৭৩ সালে লালনসংগীতে নিবেদিত হন। মোকসেদ আলী সাঁইজির কাছে ‘সত্য বল সুপথে চল’ এই গানের মাধ্যমে লালনসংগীতে তালিম নেন। লালনশিল্পী হিসেবেই সুপরিচিত হন। তার কণ্ঠে বেশ কটি আধুনিক ও দেশের গান জনপ্রিয় হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ‘তোমরা ভুলে গেছ মল্লিকা দির নাম’, ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ ইত্যাদি। ১৯৯৩ সালে অন্ধ প্রেম চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত ‘নিন্দার কাঁটা’ গানটির জন্য শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী (নারী) হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি ২০০৩ সালে একুশে পদক এবং ২০০৮ সালে জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কার লাভ করেন।