বিশ্বজমিন

তবে কি ইউক্রেন নিয়ে আবার যুদ্ধ হচ্ছে!

মানবজমিন ডেস্ক

১০ এপ্রিল ২০২১, শনিবার, ১:৪৯ অপরাহ্ন

ইউক্রেন ঘিরে প্রস্তুত রাশিয়া। সীমান্তের চারপাশে তারা মোতায়েন করেছে সেনাবাহিনী, ট্যাঙ্ক, ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার। এর আগেই ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের হুমকি দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার এমন আগ্রাসী অবস্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্র কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলে দুটি যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে। বোসফোরাস হয়ে ১৪ এবং ১৫ই এপ্রিল তা ওই অঞ্চলে পৌঁছে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া দখল করে নেয়ার পর এবারই প্রথম ইউক্রেন সীমান্তে সবচেয়ে বেশি শক্তি বৃদ্ধি করেছেন পুতিন। এরই মধ্যে যেসব ফুটেজ প্রকাশিত হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ক্রাইমিয়া ও বিরোধপূর্ণ ডোনবাস অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে ট্যাংক, ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ট্রাক ও ছোট আকারের কামান। ডোনবাসের ঠিক পূর্বদিকে ভোরোনেজ এবং ক্রাসনোদার প্রদেশে রাশিয়া নতুন নতুন অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে ভরে ফেলেছে বলে দেখা যাচ্ছে স্যাটেলাইট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ছবিতে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দমিত্রি পেসকভ বলেছেন, পূর্ব ইউক্রেনের পরিস্থিতি অত্যন্ত স্থিতিশীল রয়েছে। তবে উত্তেজনা ছড়ালে সেখানে পূর্ণোদ্যমে যুদ্ধ শুরুর ঝুঁকি আছে বলে সতর্ক করেন তিনি। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলছেন, তার এই কর্মকান্ড একান্তই আত্মরক্ষার জন্য। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তার এ কর্মকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইউক্রেনে সংঘাত শুরুর পর থেকে সীমান্তে রাশিয়ার বিশালাকায় সামরিক উপস্থিতিতে এমন উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। এমন উত্তেজনার মধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সশস্ত্র অবস্থায় এবং হেলমেট পড়ে বৃহস্পতিবার ফ্রন্টলাইন সফর করেন। পুতিনের এক শীর্ষ উপদেষ্টা শুক্রবার সতর্ক করেছেন এই বলে যে, ওই অঞ্চলে রাশিয়ার নাগরিকদের ওপর কিয়েভ যদি কোনো হামলা করে তাহলে সেটাই হবে ইউক্রেন পতনের সূচনা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল এডমিনিস্ট্রেশনের উপপ্রধান দমিত্রি কোজাক বলেছেন, এক্ষেত্রে মস্কো আগে কোনো হামলা চালাবে না। কিন্তু কিয়েভ যদি কোনো হামলা করে, তাহলে তার জবাব দেবে মস্কো। এক্ষেত্রে মস্কো পায়ে নয়, মুখের ওপর গুলি মারবে।

ওদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা রাশিয়ার এই আগ্রাসনকে সামনে রেখে কৃষ্ণ সাগরে দুটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করবে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন তুরস্কের কাছ থেকে বোসফোরাসের ভিতর দিয়ে এই যুদ্ধজাহাজ পরিচালনার জন্য অনুমোদন নিয়েছে তুরস্কের কাছ থেকে। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ ১৪ এবং ১৫ই এপ্রিল সংকীর্ণ বোসফোরাস প্রণালী দিয়ে অতিক্রম করবে। এই প্রণালী নিয়ন্ত্রণ আঙ্কারার হাতে। তাই ১৫ দিন আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে তুরস্কের অনুমতি চায়। যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর জাহাজের এমন উপস্থিতি মস্কোর মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া রাশিয়ার কর্মকাণ্ড নজরদারির জন্য সমুদ্রে বিমান উড়াবে ওয়াশিংটন। এ সপ্তাহের শুরুর দিকে আজিয়ান সাগরের ওপর দিয়ে উড়ে গেছে দুটি বি-১ বোমারু বিমান।




   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status