বিশ্বজমিন
ভারত-পাকিস্তান সরাসরি আলোচনা চায় যুক্তরাষ্ট্র
মানবজমিন ডেস্ক
৮ এপ্রিল ২০২১, বৃহস্পতিবার, ২:০৪ অপরাহ্ন
সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সরাসরি আলোচনায় বসার জন্য ভারত ও পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি এই দুটি দেশের মধ্যে ‘অতীতকে কবর’ দিয়ে সুসম্পর্ক স্থাপনের এক উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা চলছে। পর্দার আড়ালে মধ্যস্থতা করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। মিডিয়ায় এমন খবর প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু এরপর পরই ভারত থেকে চিনি, তুলা ও সুতা আমদানির সিদ্ধান্ত আকস্মিকভাবে বাতিল করে পাকিস্তান সরকার। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার থেকে দাবি তোলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ৫ই আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করার বিষয়টি ভারতকে পর্যালোচনা করতে হবে। সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে আগে ভারতকেই এগিয়ে আসতে হবে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, সুনির্দিষ্ট এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আমরা যেটা বলবো তাহলো আমরা চাই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সরাসরি আলোচনা। এমন আলোচনাকে আমরা সমর্থন করি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ শে মার্চ ইকোনমিক কোঅর্ডিনেশন কমিটি (ইসিসি) ইসলামাবাদে ঘোষণা করে যে, তারা ভারত থেকে ৫ লাখ টন সাদা চিনি আমদানি করতে বেসরকারি খাতকে অনুমোদন দিচ্ছে। এই কমিটি ভারত থেকে তুলা আমদানির আরেকটি প্রস্তাবও অনুমোদন করে, যা শুরু হওয়ার কথা এ বছরের জুনে। কিন্তু ১লা এপ্রিল পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপরিষদ ইসিসির সিদ্ধান্তে বাগড়া দেয়। তারা জানিয়ে দেয়, নয়া দিল্লি যতক্ষণ সংবিধানের ৩৭০ ধারা পুনর্বহাল না করবে ততদিন ভারত থেকে আমদানি নয়। উল্লেখ্য, ওই ধারার বলে জম্মু-কাশ্মীরকে স্বায়ত্তশাসন দিয়েছিল ভারত। ২০১৯ সালের ৫ই আগস্ট তা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরকে পুরোপুরি ভারতের অধীনে নেয়া হয়। ওই ঘটনার পর ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থগিত করে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ ও নয়া দিল্লির মধ্যে কয়েক মাসের উত্তেজনার পর নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্ত্রবিরতিতে উভয় পক্ষ সম্মত হওয়ার পর ভারতের সঙ্গে এই বাণিজ্য শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পাকিস্তান শেষের দিকে এসে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে পারমাণবিক শক্তিধর এই দুটি প্রতিবেশীর মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য শিশুদের মতো হাঁটি হাঁটি পা পা করে যে পদক্ষেপ এগিয়ে যাচ্ছিল- তা যেন ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভারত এবং পাকিস্তান মাত্র ৪৯ কোটি ৪৮ লাখ ৭০ হাজার ডলারের পণ্যের কেনাবেচা করেছে। এর বেশির ভাগই সুবিধা পেয়েছে ভারত।
মঙ্গলবারের ব্রিফিংয়ে নেড প্রাইস আরো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চাইছেন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা উপস্থিতির ইতি ঘটাতে। কিন্তু তিনি বলেননি যে, ওয়াশিংট ১লা মে সেনা প্রত্যাহারের যে সময়সীমা আছে তা মানবে কিনা। উল্লেখ্য, তালেবানদের সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। তাতে ১লা মে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওয়াশিংটন। এই চুক্তির প্রতি স্বীকৃতি দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। তবে ওই সময়সীমা মানবে ইচ্ছুক নয় বলেই মনে হচ্ছে। নেড প্রাইস বলেন, আমরা আফগানিস্তান যুদ্ধের একটি দায়িত্বশীল সমাপ্তি চাই। আমরা আফগানিস্তান থেকে সরে যেতে চাই। তবে নিশ্চিত হতে চাই দেশটি আবার সন্ত্রাসীদের হামলার একটি প্লাটফর্ম বা লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহৃত হোক। তারা যুক্তরাষ্ট্রের অথবা তার মিত্রদের কোনো ক্ষতি করুক।
উল্লেখ্য, গত ৩১ শে মার্চ ইকোনমিক কোঅর্ডিনেশন কমিটি (ইসিসি) ইসলামাবাদে ঘোষণা করে যে, তারা ভারত থেকে ৫ লাখ টন সাদা চিনি আমদানি করতে বেসরকারি খাতকে অনুমোদন দিচ্ছে। এই কমিটি ভারত থেকে তুলা আমদানির আরেকটি প্রস্তাবও অনুমোদন করে, যা শুরু হওয়ার কথা এ বছরের জুনে। কিন্তু ১লা এপ্রিল পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপরিষদ ইসিসির সিদ্ধান্তে বাগড়া দেয়। তারা জানিয়ে দেয়, নয়া দিল্লি যতক্ষণ সংবিধানের ৩৭০ ধারা পুনর্বহাল না করবে ততদিন ভারত থেকে আমদানি নয়। উল্লেখ্য, ওই ধারার বলে জম্মু-কাশ্মীরকে স্বায়ত্তশাসন দিয়েছিল ভারত। ২০১৯ সালের ৫ই আগস্ট তা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরকে পুরোপুরি ভারতের অধীনে নেয়া হয়। ওই ঘটনার পর ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থগিত করে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ ও নয়া দিল্লির মধ্যে কয়েক মাসের উত্তেজনার পর নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্ত্রবিরতিতে উভয় পক্ষ সম্মত হওয়ার পর ভারতের সঙ্গে এই বাণিজ্য শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পাকিস্তান শেষের দিকে এসে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে পারমাণবিক শক্তিধর এই দুটি প্রতিবেশীর মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য শিশুদের মতো হাঁটি হাঁটি পা পা করে যে পদক্ষেপ এগিয়ে যাচ্ছিল- তা যেন ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভারত এবং পাকিস্তান মাত্র ৪৯ কোটি ৪৮ লাখ ৭০ হাজার ডলারের পণ্যের কেনাবেচা করেছে। এর বেশির ভাগই সুবিধা পেয়েছে ভারত।
মঙ্গলবারের ব্রিফিংয়ে নেড প্রাইস আরো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চাইছেন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা উপস্থিতির ইতি ঘটাতে। কিন্তু তিনি বলেননি যে, ওয়াশিংট ১লা মে সেনা প্রত্যাহারের যে সময়সীমা আছে তা মানবে কিনা। উল্লেখ্য, তালেবানদের সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। তাতে ১লা মে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওয়াশিংটন। এই চুক্তির প্রতি স্বীকৃতি দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। তবে ওই সময়সীমা মানবে ইচ্ছুক নয় বলেই মনে হচ্ছে। নেড প্রাইস বলেন, আমরা আফগানিস্তান যুদ্ধের একটি দায়িত্বশীল সমাপ্তি চাই। আমরা আফগানিস্তান থেকে সরে যেতে চাই। তবে নিশ্চিত হতে চাই দেশটি আবার সন্ত্রাসীদের হামলার একটি প্লাটফর্ম বা লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহৃত হোক। তারা যুক্তরাষ্ট্রের অথবা তার মিত্রদের কোনো ক্ষতি করুক।