বিশ্বজমিন

বিভক্ত জর্ডান: বাদশাহ ও সাবেক ক্রাউন প্রিন্সের বিবাদ

মানবজমিন ডেস্ক

২০২১-০৪-০৮

বহু বছর ধরে জর্ডান মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতার মরুদ্যান হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে বিশ্বজুড়ে। পার্শ্ববর্তী সিরিয়া ও ইরাক যুদ্ধ-বিদ্রোহে জর্জরিত হলেও, দশকের পর দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য মিত্র, ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলা ঠেকানোর ঢাল এবং ফিলিস্তিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্ততাকারী হিসেবে পরিচিত দেশটি।

কিন্তু চলতি সপ্তাহে দেশটির এই নির্ভরযোগ্য ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। দেশের বাদশাহ দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ (৫৯) ও তার ছোট সৎভাই ও সাবেক ক্রাউন প্রিন্স হামজাহ বিন হুসেইনের (৪১) মধ্যকার দীর্ঘদিনের রেষারেষি জনসম্মুখে চলে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এসব বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার হামজাহ’র বিরুদ্ধে জর্ডানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তোলার অভিযোগ এনেছে সরকার।

তার একদিন আগে জর্ডান সরকারের বিরুদ্ধে এক ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার অভিযোগ উঠে হামজাহর বিরুদ্ধে। পরদিন বিকেলে দেওয়া এক বক্তব্যে জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি অভিযোগ করেন, দেশটির সাবেক অর্থমন্ত্রী বাসিম আওয়াদাল্লাহ ও রাজ পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য শরিফ হাসান বিন জাইদের সঙ্গে মিলে দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছেন হামজাহ।

সাফাদি তার বক্তব্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, বিদেশি সমর্থন নিয়ে ব্যর্থ এক অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা চালিয়েছে ওই তিন জন। বক্তব্যে আওয়াদাল্লাহ ও হামজাহর মধ্যকার যোগাযোগের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে অন্তত ১৪ জনকে গ্রেপ্তারের ঘোষণাও দিয়েছেন। সাফাদির অভিযোগ অনুসারে, শনিবার সারাদিন আওয়াদাল্লাহ'র সঙ্গে মিলে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিজনক উপায়ে জনগণকে উস্কে দিতে ও আন্দোলনে নামাতে চেষ্টা চালিয়েছেন তারা।

এর আগে, শনিবার রাতে এক ভিডিওতে হামজাহ তার বিরুদ্ধে উঠা অভ্যুত্থান সৃষ্টির অভিযোগ দূর করতে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। তাতে তিনি জানান, তাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। আরো জানান, বাদশাহ আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রে তার সংশ্লিষ্টতা ছিল না। যদিও বর্তমান সরকারকে দুর্নীতিগ্রস্থ, অক্ষম ও কর্তৃত্ববাদী হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি।

রোববারের মধ্যে এই হাঙ্গামায় যোগ দেন হামজাহর মা—এবং বাদশাহর সৎমা— রাণী নূর। এক লড়াকু বিবৃতিতে হামজাহর পক্ষ নিয়ে তিনি বলেন, তার ছেলে 'বিদ্বেষপূর্ন অপবাদের' শিকার। সাধারণত মতের অমিল নিজেদের মধ্যে রাখা রাজ পরিবারের জন্য এই কলহ বেশ অপ্রত্যাশিত ও তীব্র হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।

রোববার দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসকে ফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জর্ডানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অর্থনীতিবিদ জাওয়াদ আনানি বলেন, গ্রেপ্তার ও ভিডিওসহ ঘটনাটি যেভাবে রূপ নিয়েছে তা অপ্রত্যাশিত। নিজেদের মধ্যে উত্তেজনা থাকলেও রাজ পরিবার সবসময় প্রকাশ্যে ঐক্যবদ্ধ হিসেবেই আবির্ভূত হয়েছে। কিন্তু গতকালের ঘটনাগুলো সে ভাবমূর্তি ছিন্ন করে দিয়েছে। তাদের বিভাজন প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

প্রিন্স হামজাহ'র বাবা বাদশাহ হুসেইন চার দশক ধরে জর্ডান শাসন করেছিলেন। শাসনকালে ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি চুক্তিও করেছিলেন। তার জীবদ্দশায়ই তার ছেলেরা ও চার স্ত্রী প্রায়ই ক্ষমতা আহরণের চেষ্টা চালাতেন। তবে ১৯৯৯ সালে বাদশাহ আব্দুল্লাহ ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ পরিবারে নিজের নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছেন। এই ঘটনায় সে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বাদশাহ আব্দুল্লাহ ও প্রিন্স হামজাহ প্রায় একইভাবে বড় হয়েছেন। উভয়েই বৃটিশ ও আমেরিকান স্কুল ও সামরিক কলেজে পড়াশোনা করেছেন। তবে তরুণ অবস্থায় হামজাহ দুজনের মধ্যে বেশি পড়াকু হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০০৬ সালে হার্ভার্ড থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি। একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাকেই পরবর্তী বাদশাহ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তবে বাদশাহ হুসেইনের ক্ষমতা শেষ হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে আব্দুল্লাহকে তার উত্তরসূরী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। অন্যদিকে প্রিন্স হামজাহ বর্তমানে জর্ডানের সেনাবাহিনীর একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, যিনি নিজেকে একজন দুর্নীতি-বিরোধী ক্যাম্পেইনার হিসেবে তুলে ধরেছেন।

হুসেইনের পরিবারের বিভিন্ন শাখার প্রতিনিধিত্ব করেন হামজাহ ও আব্দুল্লাহ। হামজাহর মা, আমেরিকান বংশোদ্ভূত রাণী নূর ছিলেন হুসেইনের চতুর্থ স্ত্রী। অন্যদিকে আব্দুল্লাহর জন্ম হুসেইনের দ্বিতীয় স্ত্রী প্রিন্সেস মুনার গর্ভে।

চলতি সপ্তাহের এই সংকটের মুখে যুক্তরাষ্ট্রসহ জর্ডানের অন্যান্য মিত্র দেশগুলো আবদুল্লাহর প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় জর্ডানকে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসেবে বিবেচনা করে তারা। সিরিয়া, ইরাক, ইসরাইল এবং ইসরাইলের দখলিকৃত পশ্চীম তীরজুড়ে রয়েছে জর্ডানের সীমান্ত। আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষার্থে দেশটির ভূমিকা অপরিহার্য। এছাড়া, লাখো ফিলিস্তিনি শরণার্থী রয়েছে সেখানে। জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের সাবেক জিম্মাদারও ছিল দেশটি। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ভবিষ্যতে সম্ভাব্য কোনো শান্তিচুক্তিতে দেশটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হয়। দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। গত বছর জর্ডান সরকারকে ১৫০ কোটি ডলারের বেশি অনুদান দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

অনেক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকের মতে, বাদশাহ ও প্রিন্সের মধ্যকার এই ফাটল জর্ডানের শান্ত মুখোশের নিচে দুর্বল সামাজিক পরিস্থিতি তুলে এনেছে। বর্তমানে সেখানে করোনা ভাইরাসের তীব্র সংক্রমণ চলছে। হিমশিম খাচ্ছে এর অর্থনীতি। সিরিয় যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হওয়া দেশগুলোর একটি জর্ডান। সেখানে আশ্রয় নিয়েছে ৬ লাখ সিরিয় শরণার্থী। দেশটির নয় লাখ জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশই ১৯৪৮ ও ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইলি যুদ্ধের সময় সেখানে পালিয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের বংশধর। বাকিরা স্থানীয় আদিবাসী। বাদশাহ আবদুল্লাহর শাসনের বৈধতার জন্য এই আদিবাসীদের সমর্থন ব্যাপক গুরুত্ব বহন করে বলে জানান বিশ্লেষকরা। সাম্প্রতিক সময়ে হামজাহ প্রকাশ্যে এসব আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করছিলেন।

বাদশাহ আব্দুল্লাহ ক্ষমতায় আসার পর হামজাহকে ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু ২০০৪ সালে সে খেতাব সরিয়ে নেন। নিজের ছেলে প্রিন্স হুসেইনকে তার আপাত উত্তরসূরী ঘোষণা করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় হামজাহকে তার পরিচিতি ও প্রভাব ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাতে দেখা গেছে। আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোর নেতাদের সঙ্গে তার বৈঠক রাজ্যজুড়ে আলোচনা সৃষ্টি করেছে। ২০১৮ সালে সরকারের সমালোচনা করেও বিস্ময় সৃষ্টি করেছিলেন।

কিন্তু হামজাহর এসব কাজকর্মের কোনোটিই জর্ডানিয়ানদের শনিবার রাতের নাটকীয় ঘটনা মেনে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত করতে পারেনি। দেশটির রাজ পরিবারের সদস্যরা সচরাচর কখনোই নিজেদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় না। কিন্তু শনিবার রাতে সরকার এক ঘোষণায় জানায়, অভ্যুত্থানের ইঙ্গিত দিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন হামজাহ। তবে অভ্যুত্থানটি নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে।

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনানি বলেন, জর্ডানের কেউ যদি আপনাকে বলে যে তারা এ ঘটনায় বিস্মিত হয়নি তাহলে তারা মিথ্যা বলছে।

পরবর্তীতে ওই রাতে হামজাহ নিজে ধারণ করা এক ভিডিওতে জানান, তাকে গৃহবন্দী করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমার পরিচিত কয়েকজনকে—অথবা আমার বন্ধুদের— গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমার নিরাপত্তা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং ইন্টারনেট ও ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এটা আমার যোগাযোগের শেষ মাধ্যম, স্যাটেলাইট ইন্টারনেট। আমাকে এই সেবার কোম্পানি থেকে জানানো হয়েছে যে, তাদেরও সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হয়তো এবারই আমি শেষবারের মতো যোগাযোগ করতে পারবো।

হামজাহ জানান, তিনি কোনো ষড়যন্ত্র বা  অসাধু সংগঠন বা বিদেশ-সমর্থিত দলের সঙ্গে জড়িত নন। ভিডিওতে জর্ডান সরকারকে দুর্নীতিগ্রস্থ এবং সমালোচনার প্রতি অসহিষ্ণু হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। বলেন, সরকারের নীতিমালার ক্ষুদ্র কোনো দিকের সমালোচনা করলেও গ্রেপ্তার করা হয় ও নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, কেউ হয়রানি, গ্রেপ্তার, নির্যাতন বা হুমকির শিকার না হয়ে কোনো বিষয়ে মত প্রকাশ করতে পারছে না।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে দমন করোতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে জর্ডান সরকার। গত বছর সুবিধা চেয়ে দেশটির শিক্ষকরা বিক্ষোভ করলে, ওই বিক্ষোভের শত শত আয়োজককে গ্রেপ্তার করা হয়। এমনকি বাদশাহর সমালোচনাও নিষিদ্ধ। বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশকারী মার্কিন সংস্থা ফ্রিডম হাউজ অনুসারে, জর্ডানে বর্তমানে মুক্ত সমাজ নেই। কিন্তু আওয়াদাল্লাহ'র—সাবেক অর্থমন্ত্রী ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের উপদেষ্টা— মতো কর্মকর্তা এবং এবং জাইদের মতো রাজ পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তা করার ঘটনা এ সরকারের জন্য বিরল।

এদিকে, শনিবারের ষড়যন্ত্রে নিজেদের ভূমিকা না থাকার বিষয়ে জল্পনা এড়াতে বাদশাহ আবদুল্লাহর সমর্থনে বেশ দ্রুত জোরালো বিবৃতি প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। একইসঙ্গে রোববার সৌদি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, বাদশাহর সঙ্গে কথা বলেছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স। তবে রোববার বিকেলে ফের বিদেশি সংশ্লিষ্টতার কথা জানিয়েছে জর্ডান সরকার।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোববার বিকেলে জানান, বিদেশি গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি প্রিন্স হামজাহ'র স্ত্রী'কে জর্ডান থেকে ব্যক্তিগত বিমানে করে পালিয়ে যেতে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছিল। পরবর্তীতে ইউরোপে বাস করা ইসরাইলি ব্যবসায়ী রয় শ্যাপোশনিক এক বিবৃতিতে জানান, হামজাহ'র সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। আর হামজাহর অনুরোধে তাকে দেশ থেকে বের হয়ে ইউরোপে নিজ বাড়িতে থাকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। তবে ওই ব্যবসায়ী স্পষ্ট করে বলেন, কোনো গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কখনোই কাজ করেননি তিনি।  

পরবর্তীতে রাজ পরিবারের বিভিন্ন অংশ থেকে ঘটনাটি ঘিরে নানা ধরণের দাবি করা হয়েছে। প্রথমে রাণী নূর তার ছেলের সমর্থনে বলেন, দোয়া করছি যাতে এই 'বিদ্বেষপূর্ণ অপবাদের' শিকার নির্দোষ ব্যক্তিদের জন্য সত্য ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়। সৃষ্টিকর্তা তাদের রহমত করুক ও নিরাপদ রাখুক।

এরপর হামজাহ ও বাদশাহ আবদুল্লাহর চাচী প্রিন্সেস ফিরিয়াল এক টুইটে বাদশাহর পক্ষ নেন। তিনি লিখেন, 'রাণী নূর ও তার ছেলেদের' আপাত অন্ধ উচ্চাকাঙ্ক্ষা 'ভ্রান্ত, নিরর্থক ও অসমুচিত'। পরবর্তীতে অবশ্য টুইটটি ডিলিট করে দেন তিনি। তবে তার আগে রাণী নুরের ছেলেদের দিকে তাচ্ছিল্যের সুরে তিনি লিখেছিলেন: গ্রো আপ, বয়েজ!

 

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status