খেলা
নিজের কোচিংয়ে ভারতকে হারানোর স্বপ্ন দেখেন ডালিয়া
স্পোর্টস রিপোর্টার
৮ এপ্রিল ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৯:১৩ অপরাহ্ন
২০১৮ সালে জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন ডালিয়া আক্তার। এর তিন বছর পর গতকাল সৈয়দ (ক্যাপ্টেন) এম মনসুর আলী স্টেডিয়ামে ঘরোয়া হ্যান্ডবলকে বিদায় জানালেন তিনি। দেশের অন্যতম তারকা হ্যান্ডবল খেলোয়াড়কে ফেডারেশনও বিদায় জানালো ঘটা করে। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনূরসহ প্রায় সবাই উপস্থিত ছিলেন ডালিয়ার বিদায়ে। সাবেক খেলোয়াড়, কোচসহ আরো অনেকে এসেছিলেন তার বিদায়ে। বিদায় বেলায় ডালিয়ার জনপ্রিয়তা নিয়ে আসাদুজ্জামান কোহিনূর বলেন, ‘হ্যান্ডবলে অনেক খেলোয়াড়ের নাম আমি বলতে পারি না, মনেও থাকে না। ডালিয়ার নাম শুরু থেকেই মনে ছিল। সংগঠক হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় সভা, সেমিনারে যেতে হয়। সেখানে হ্যান্ডবলের কথা উঠলে দেখেছি মানুষজনকে ডালিয়ার কথা বলতে। ডালিয়া অবসর নিলেও আমাদের সঙ্গেই থাকবে।’
১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে মাদারীপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার হয়ে অভিষেক ডালিয়ার। ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসে নিজ জেলা মাদারীপুরের হয়েই জার্সি, বুট তুলে রাখলেন তিনি। বিদায় বেলায় তিনি বলেন,‘আমি দীর্ঘদিন বিজেএমসি’র হয়ে খেলেছি। করোনার সময়ে বিজেএমসি’র ক্রীড়া বিভাগ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় নিজ জেলার হয়েই শেষ করলাম খেলা।’ খেলোয়াড় থাকাবস্থাতেই কোচিং ক্যারিয়ার শুরু তার। তাই খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার শেষে কোচিংয়েই পুরোপুরি মনোযোগ দেয়ার কথা জানিয়ে ডালিয়া বলেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে ভারতকে হারাতে পারিনি। কোচ হিসেবে আমার লক্ষ্য থাকবে ভারতের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয়। ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় সেরা দল। ভারতকে হারাতে পারলেই আমরা তৃপ্ত হবো’। ডালিয়া পুরুষ দলকে বেশি কোচিং করিয়েছেন সাম্প্রতিক সময়ে। সামনে নারী-পুরুষ যেকোনো দলকেই কোচিং করানোর ইচ্ছে আছে জানিয়ে এই কৃতী হ্যান্ডবল খেলোয়াড় বলেন, ‘আমি নারী দলগুলোতে খেলেছি ফলে সেই দলগুলোতে সেভাবে কোচিং করানোর সুযোগ ছিল না। তাই পুরুষ দলে বেশি কোচিং করিয়েছি। বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশন আমাকে যে দলে কোচিং করানোর সুযোগ দেবে আমি সেখানেই কাজ করবো।’ ফুটবল, ক্রিকেটের বাইরে অন্য ডিসিপ্লিনের খেলোয়াড়রা ক্যারিয়ার শেষ করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, বিকেএসপি, জেলা ক্রীড়া পরিদপ্তরের দিকেই বেশি ঝুঁকে কোচিংয়ের জন্য। ডালিয়া এক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রমী ভাবছেন। এনিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বয়স এখন ৩৫। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে স্থায়ী কোচ হিসেবে কাজ করার সম্ভাবনা কম। মাস্টার রোলে সুযোগ থাকলে কাজ করতে চাই। না হলে হ্যান্ডবল ফেডারেশন বা বিভিন্ন সংস্থায় কোচিং করাবো।’ কোচিং ছাড়াও ডালিয়া একটি বেসরকারি স্কুলে ক্রীড়া শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ডালিয়া হ্যান্ডবল ছাড়াও ফুটবলও খেলেছেন অনেক দিন। জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন। মোহামেডান, বিজেএমসি’র হয়ে ফুটবল লীগও খেলেছেন। তবে অবসরের পর এখন শুধু হ্যান্ডবলের ডালিয়া হয়েই থাকার ইচ্ছে তার। জীবনে অনেক ম্যাচ জিতলেও অবসরের দিন বাংলাদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে হেরেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে ডালিয়ার মাদারীপুরকে। ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচেও একটি গোল করেছেন ডালিয়া। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক পর্যায় মিলিয়ে হাজার গোল তার। দীর্ঘ ১৮ বছর জাতীয় দলে খেলেছেন। দুই দশকের ক্যারিয়ারে ডালিয়া প্রাপ্তি হিসেবে দেখেন ২০১৬ এসএ গেমসে নারী দলের রৌপ্য জয়কে। অপ্রাপ্তি ভারতকে না হারাতে পারা, সেটা কোচিংয়ের মাধ্যমে কবে নাগাদ পারবেন সেটাই দেখার অপেক্ষায় হ্যান্ডবল অঙ্গন।
১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে মাদারীপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার হয়ে অভিষেক ডালিয়ার। ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসে নিজ জেলা মাদারীপুরের হয়েই জার্সি, বুট তুলে রাখলেন তিনি। বিদায় বেলায় তিনি বলেন,‘আমি দীর্ঘদিন বিজেএমসি’র হয়ে খেলেছি। করোনার সময়ে বিজেএমসি’র ক্রীড়া বিভাগ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় নিজ জেলার হয়েই শেষ করলাম খেলা।’ খেলোয়াড় থাকাবস্থাতেই কোচিং ক্যারিয়ার শুরু তার। তাই খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার শেষে কোচিংয়েই পুরোপুরি মনোযোগ দেয়ার কথা জানিয়ে ডালিয়া বলেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে ভারতকে হারাতে পারিনি। কোচ হিসেবে আমার লক্ষ্য থাকবে ভারতের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয়। ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় সেরা দল। ভারতকে হারাতে পারলেই আমরা তৃপ্ত হবো’। ডালিয়া পুরুষ দলকে বেশি কোচিং করিয়েছেন সাম্প্রতিক সময়ে। সামনে নারী-পুরুষ যেকোনো দলকেই কোচিং করানোর ইচ্ছে আছে জানিয়ে এই কৃতী হ্যান্ডবল খেলোয়াড় বলেন, ‘আমি নারী দলগুলোতে খেলেছি ফলে সেই দলগুলোতে সেভাবে কোচিং করানোর সুযোগ ছিল না। তাই পুরুষ দলে বেশি কোচিং করিয়েছি। বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশন আমাকে যে দলে কোচিং করানোর সুযোগ দেবে আমি সেখানেই কাজ করবো।’ ফুটবল, ক্রিকেটের বাইরে অন্য ডিসিপ্লিনের খেলোয়াড়রা ক্যারিয়ার শেষ করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, বিকেএসপি, জেলা ক্রীড়া পরিদপ্তরের দিকেই বেশি ঝুঁকে কোচিংয়ের জন্য। ডালিয়া এক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রমী ভাবছেন। এনিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বয়স এখন ৩৫। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে স্থায়ী কোচ হিসেবে কাজ করার সম্ভাবনা কম। মাস্টার রোলে সুযোগ থাকলে কাজ করতে চাই। না হলে হ্যান্ডবল ফেডারেশন বা বিভিন্ন সংস্থায় কোচিং করাবো।’ কোচিং ছাড়াও ডালিয়া একটি বেসরকারি স্কুলে ক্রীড়া শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ডালিয়া হ্যান্ডবল ছাড়াও ফুটবলও খেলেছেন অনেক দিন। জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন। মোহামেডান, বিজেএমসি’র হয়ে ফুটবল লীগও খেলেছেন। তবে অবসরের পর এখন শুধু হ্যান্ডবলের ডালিয়া হয়েই থাকার ইচ্ছে তার। জীবনে অনেক ম্যাচ জিতলেও অবসরের দিন বাংলাদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে হেরেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে ডালিয়ার মাদারীপুরকে। ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচেও একটি গোল করেছেন ডালিয়া। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক পর্যায় মিলিয়ে হাজার গোল তার। দীর্ঘ ১৮ বছর জাতীয় দলে খেলেছেন। দুই দশকের ক্যারিয়ারে ডালিয়া প্রাপ্তি হিসেবে দেখেন ২০১৬ এসএ গেমসে নারী দলের রৌপ্য জয়কে। অপ্রাপ্তি ভারতকে না হারাতে পারা, সেটা কোচিংয়ের মাধ্যমে কবে নাগাদ পারবেন সেটাই দেখার অপেক্ষায় হ্যান্ডবল অঙ্গন।