বেগমগঞ্জে এমপি ও সাবেক মেয়র গ্রুপের সংঘর্ষ আটক ১৫

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের এমপি মামুনুর রশীদ কিরণ ও সাবেক চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সাল গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলা-পাল্টা হামলা, গোলাগুলি এবং ককটেল বিস্ফোরণে ২ পক্ষের অন্তত ১৪ জন অনুসারী নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত থেমে থেমে চৌমুহনী পৌরসভার চৌমুহনী রেললাইন এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, পূর্ব বিরোধের জেরে চৌমুহনী পৌর এলাকার গণিপুরের বাসিন্দা আওয়ামী লীগ কর্মী টিটু ও করিমপুর এলাকার প্রান্তের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তারপর পূর্ব বিরোধের জেরে চৌমুহনী বাজারে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মঙ্গলবার রাতে রেললাইন এলাকায় টিটু ও প্রান্ত গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে জুলফিকার আলী ভুট্টু মার্কেটের সামনে সাবেক মেয়র ফয়সাল অনুসারী চৌমুহনী পৌর কাউন্সিলর জাহাঙ্গীরের লোকজন এমপি কিরণ গ্রুপের শিহাবকে তার সঙ্গে থাকা লোকজনসহ ঘেরাও দিয়ে দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। একপর্যায়ে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে গেলে গোলাগুলি, ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে চৌমুহনী বাজারের ডিবি রোডের পাশে হোসেন মার্কেটের ওপর থেকে গুলি ছোড়ার ঘটনাও ঘটে। এ সময় দু’পক্ষের ১৪ অনুসারী আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মো. মামুনুর রশীদ কিরণ এমপির ফোনে যোগাযোগ করা হলেও কোভিড আক্রান্তের কারণে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। সাবেক পৌর মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সলের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি রিসিভ করেননি। বেগমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকাদার মানবজমিনকে জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।