বাংলারজমিন

সিলেটে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে

৮ এপ্রিল ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৯:০০ অপরাহ্ন

ফাইল ছবি

সিলেটে লকডাউনে কোনো নিয়মই মানছেন না পরিবহন শ্রমিকরা। খোদ সিটি করপোরেশনের নগর সার্ভিসের বাস নগরের বাইরের এলাকায়ও চলাচল করছে। উবার, পাঠাও বন্ধ থাকলেও মোটরসাইকেলে যাতায়াত করছেন যাত্রীরা। সিএনজি অটোরিকশাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩ জনের চলাচলের কথা থাকলেও সেটি মানা হচ্ছে না। যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন- স্বাস্থবিধি না মেনেই পরিবহন শ্রমিকরা দিগুন টাকা নিচ্ছেন। সরকারের তরফ থেকে কেবলমাত্র নগরের ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। সিলেট নগরের ভেতরে গণপরিবহন বলতে বোঝায় ‘নগর এক্সপ্রেস’ বাস সার্ভিস। এর বাইরে রয়েছে লেগুনা। গতকাল থেকে সিলেটে নগর পরিবহন বাস সার্ভিস শুরু হয়েছে। কিন্তু নগরী থেকে বাইরের এলাকায়ও চলাচল করছে নগর সার্ভিস বাসগুলো। এতে করে নগর সার্ভিসের মাধ্যমে নগরীর বাইরে থেকে লোকজন এসে ঢুকছেন সিলেট নগরীতে। নগর সার্ভিস বাসের কয়েকটি বাসের রুট রয়েছে শহরতলির বিভিন্ন এলাকা পর্যন্ত। গতকাল দেখা গেছে, নগর সার্ভিসের বাসগুলো বটেশ্বর, মোগলাবাজার, সালুটিকর পর্যন্ত চলাচল করছে। কিন্তু এসব রুট হচ্ছে নগরের বাইরে। পুলিশের পক্ষ থেকে নগর বাসগুলোকে চলাচলে কোনো বাধা দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নগর সার্ভিসের বাস চলাচলের কথা থাকলেও সেটি রাত ৮টা পর্যন্ত চলাচল করতে দেখা যায়। ফারুক আহমদ নামের দক্ষিণ সুরমার এক যাত্রী জানিয়েছেন, নগর সার্ভিসে অতিরিক্ত হারে টাকা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। আগের মতই যাত্রী ভর্তি করে নগর সার্ভিসের বাসগুলো গন্তব্যে যায়। অধিকাংশ যাত্রীরই মুখে মাস্ক দেখা যায় না। ফলে নগর সার্ভিসে সচেতন মানুষের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নগর সার্ভিসের কর্তৃপক্ষও বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। নগর এক্সপ্রেস সিটি বাস মালিক সমিতির আহ্বায়ক কাউন্সিলর মখলিসুর রহমান কামরান জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে চালক ও হেলপারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যাত্রী বেশি থাকায় অনেক ক্ষেত্রে সেটি মানা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন উপজেলা রুটে বাস চলাচলও করছে। গতকাল সকাল থেকে এসব রুটে বাস চলাচল শুরু হয়। এতেও মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি। ভাড়া নেয়া হচ্ছে আগের তোলনায় বেশি। এতে করে যাত্রীদের মধ্যে অস্তুষ বিরাজ করছে। গোলাপগঞ্জের যাত্রী কাউছার আহমদ জানিয়েছেন, গতকাল থেকে বাস সার্ভিস চলছে। এতে ভাড়া দ্বিগুণ নেয়া হচ্ছে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই। আসনের অধিকসংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাসগুলো যাতায়াত করছে। রাস্তায় প্রশাসনের তদারকিও নেই। এসব রুটে বাস নিয়ে চালক ও ড্রাইভাররা নিরাপদে যাতায়াত করছেন। সিলেট জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল হক জানিয়েছেন, কিছু রুটে বাস চলছে। কিন্তু এতে পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পৃক্ততা নেই। বাস না চালাতে সবাইকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এবারের লকডাউনের আগে পাঠাও ও উবার রাইড চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। লকডাউনের প্রথম দিনে সিলেটের রাস্তায় তাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। তবে দ্বিতীয় দিন থেকে কিছু কিছু মোটরসাইকেল চালক যাত্রী পরিবহন শুরু করেন। গতকাল মোটরসাইকেল নিয়ে বেশিসংখ্যক চালক ছিলেন সিলেটের রাস্তায়। তারা অ্যাপ বন্ধ রেখেও নগরীর বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী টানছেন। এতে তারা ভাড়াও নিচ্ছেন বেশি। গতকাল নগরীর চন্ডিপুল এলাকায় থাকা কয়েকজন মোটরসাইকেল চালক জানিয়েছেন, তারা একজন যাত্রী নিয়ে গন্তব্য যাচ্ছে। উবার কিংবা পাঠাওয়ের নামে তারা যাচ্ছেন না। যাত্রীদের প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা যাতায়াত করেন বলে জানান। এদিকে লকডাউনের প্রথমদিন থেকে সিলেটে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলছে সিএনজি অটোরিকশা ও লেগুনা। নির্ধারিত যাত্রীর চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে অধিক ভাড়ায় এসব যানবাহন চলাচল করছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status