বাংলারজমিন
সেনবাগে শিশু আশরাফুলের দুই ঘাতক গ্রেপ্তার
সেনবাগ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
৭ এপ্রিল ২০২১, বুধবার, ৩:০১ অপরাহ্ন
নোয়াখালীর সেনবাগের নজরপুরে সাড়ে পাঁচ বছরের শিশু আশরাফুল হত্যা মিশনের মাস্টার মাইন্ড প্রধান আসামি আলাউদ্দিন (৩০)ও সহযোগী হাছান (২১) কে থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে একই এলাকার আলাউদ্দিন নিহত শিশুর মায়ের সাবেক স্বামী ও হাছান স্থানীয় চৌকিদার নুর নবীর পুত্র। সেনবাগ থানার এস.আই সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের পৃথক পৃথক ভাবে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার ঘটনা উদঘাটন হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে নোয়াখালীর ৪ নং আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবনীতা গুহের আদালতে প্রধান আসামী আলা উদ্দিন হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। অপরদিকে গ্রেপ্তারকৃত হাছান পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করলে বুধবার দুপুরে তাকে নোয়াখালীর বিজ্ঞ আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। শিশু আশ্রাফুল নানার বাড়ি নজরপুর জিতু সওদাগর বাড়ি থেকে ২রা এপ্রিল নিখোঁজ হয়। ৪ঠা এপ্রিল রাতে পুলিশ কাদরা ইউপির তেলিপুকুরস্থ খাল পাড়ের মাটিতে পুতিয়ে রাখা আশ্রাফুলের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকতা এসআই নাজমুল হোসেন জানান, ১১ বছর আগে একই বাড়ির আলাউদ্দিন ছায়েদুল হকের কন্যা হাজরা বেগমকে ধর্ষণ করলে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। তৎকালীন সময়ে স্থানীয়রা তাদের বিয়ে দিয়ে একই বৈঠকে আড়াই লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করেন এবং হাজরার গর্ভের সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে সন্তানটি আলাউদ্দিন লালন পালন করবে মর্মে তাদের ডিভোর্স হয়। পরে বাবুপুর শ্রীপুর গ্রামের আবুল কাসেম মীরের সাথে হাজরার বিয়ে হয়। এ সংসারে তার দুই পুত্র রয়েছে। ওই ঘটনার পর থেকেই আলাউদ্দিন ফন্দি আটতে থাকে হত্যা মিশনের। ১লা এপ্রিল হাজরা বেগম তার সাড়ে ৫ বছরের শিশু আশ্রাফুলকে নিয়ে নজরপুরে পিতার বাড়ীতে বেড়াতে আসে। ২ এপ্রিল সকালে শিশু আশ্রাফুলকে ফুসলিয়ে খালপাড়ে নিয়ে যায় আলাউদ্দিন। সেখানে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশটি ফেলে স্থান ত্যাগ করে। ওইদিন রাতে আলাউদ্দিন তার সহযোগী হাছান সহ পরিকল্পিতভাবে লাশটি গুম করতে চেয়েছিলো। লোকজনের চলাফেরায় তা ভেস্তে যায়। গভীররাতে তারা ওই স্থানে সামান্য গর্ত করে শিশু আশ্রাফুলের দেহটির অর্ধেক পুঁতে রেখে পালিয়ে যায়।
২রা এপ্রিল শিশু আশ্রাফুল কে না পেয়ে পুরো এলাকায় মাইকিং করা হয় এবং সেনবাগ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন পিতা কাসেম মীর। অর্ধগলিত শিশুর লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত শেষে তাকে দাফন করা বাবুপুর শ্রীপুরে। পিতা বাদী হয়ে হত্যা মামলা রুজু হয় থানায়। পরে পুলিশের এসআই সাইফুল ও এসআই নাজমুল কৌশলে অভিযান চালিয়ে আলাউদ্দিন ও হাছানকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
শিশু হত্যা মিশনে জড়িত দুই যুবককে গ্রেফতারে স্বস্তি ফিরে এলেও স্থানীয় এলাকা বাসী ও স্বজনরা ঘাতকদের ফাঁসি দাবি করেছেন।
সেনবাগ থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা শিশু হত্যার মাষ্টার মাইন্ড আলা উদ্দিন ও হাছানকে গ্রেফতার এবং বিজ্ঞ আদালতে দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের বিষয়টি বুধবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকতা এসআই নাজমুল হোসেন জানান, ১১ বছর আগে একই বাড়ির আলাউদ্দিন ছায়েদুল হকের কন্যা হাজরা বেগমকে ধর্ষণ করলে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। তৎকালীন সময়ে স্থানীয়রা তাদের বিয়ে দিয়ে একই বৈঠকে আড়াই লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করেন এবং হাজরার গর্ভের সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে সন্তানটি আলাউদ্দিন লালন পালন করবে মর্মে তাদের ডিভোর্স হয়। পরে বাবুপুর শ্রীপুর গ্রামের আবুল কাসেম মীরের সাথে হাজরার বিয়ে হয়। এ সংসারে তার দুই পুত্র রয়েছে। ওই ঘটনার পর থেকেই আলাউদ্দিন ফন্দি আটতে থাকে হত্যা মিশনের। ১লা এপ্রিল হাজরা বেগম তার সাড়ে ৫ বছরের শিশু আশ্রাফুলকে নিয়ে নজরপুরে পিতার বাড়ীতে বেড়াতে আসে। ২ এপ্রিল সকালে শিশু আশ্রাফুলকে ফুসলিয়ে খালপাড়ে নিয়ে যায় আলাউদ্দিন। সেখানে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশটি ফেলে স্থান ত্যাগ করে। ওইদিন রাতে আলাউদ্দিন তার সহযোগী হাছান সহ পরিকল্পিতভাবে লাশটি গুম করতে চেয়েছিলো। লোকজনের চলাফেরায় তা ভেস্তে যায়। গভীররাতে তারা ওই স্থানে সামান্য গর্ত করে শিশু আশ্রাফুলের দেহটির অর্ধেক পুঁতে রেখে পালিয়ে যায়।
২রা এপ্রিল শিশু আশ্রাফুল কে না পেয়ে পুরো এলাকায় মাইকিং করা হয় এবং সেনবাগ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন পিতা কাসেম মীর। অর্ধগলিত শিশুর লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত শেষে তাকে দাফন করা বাবুপুর শ্রীপুরে। পিতা বাদী হয়ে হত্যা মামলা রুজু হয় থানায়। পরে পুলিশের এসআই সাইফুল ও এসআই নাজমুল কৌশলে অভিযান চালিয়ে আলাউদ্দিন ও হাছানকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
শিশু হত্যা মিশনে জড়িত দুই যুবককে গ্রেফতারে স্বস্তি ফিরে এলেও স্থানীয় এলাকা বাসী ও স্বজনরা ঘাতকদের ফাঁসি দাবি করেছেন।
সেনবাগ থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা শিশু হত্যার মাষ্টার মাইন্ড আলা উদ্দিন ও হাছানকে গ্রেফতার এবং বিজ্ঞ আদালতে দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের বিষয়টি বুধবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন।