শরীর ও মন
সারফেস থেকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কম
সেবন্তী ভট্টাচার্য্য
২০২১-০৪-০৬
করোনা সংক্রমণ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নানা গবেষণা চলছে। তা থেকে উঠে আসছে নানারকমের চমকপ্রদ তথ্য। রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) দ্বারা প্রকাশিত নির্দেশনা অনুযায়ী কোনও দূষিত পৃষ্ঠ থেকে কোভিড-১৯ সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি অত্যন্ত কম। সংস্থাটির মতে, "দূষিত তল বা বস্তুর সংস্পর্শের মাধ্যমে লোকেরা আক্রান্ত হতে পারে তবে সাধারণত ঝুঁকি কম বলে বিবেচিত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমিত ব্যাক্তির ড্রপলেট যদি সামনের মানুষটির দেহে প্রবেশ করে তবেই তা থেকে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। কোনও পৃষ্ঠ থেকে একটি মানুষের দেহে সংক্রমণের ঝুঁকি প্রতি ১০,০০০ জনের মধ্যে একজন। প্রায় একবছর ধরে এই মহামারী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার পর তবেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন সিডিসির বিশেষজ্ঞরা। তবে অনেকেই এর সঙ্গে সহমত পোষণ করেন না। সিডিসির বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছিলেন যে, সংক্রমণ প্রায় পুরোপুরি বায়ুবাহিত কণার মাধ্যমে হয়েছে। বিভিন্ন অফিস, বিদ্যালয় ও পাতাল রেলের মত জায়গা যেখানে জনসমাগম বেশি হয় তা নিয়মিত জীবাণুনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে ভাইরাস মুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কঠোর স্যানিটাইজেশন প্রোটোকলের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বার বার স্যানিটাইজার প্রয়োগ না করে যদি ডিটারজেন্ট পাউডার ও সাবান দিয়ে সারফেস পরিষ্কার করা যায় তাতেও সুফল মিলবে। সিডিসি জানিয়েছে, জনবহুল এলাকায় কোনো সারফেস থেকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কম থাকে, তার থেকে বায়ুকণা এবং সরাসরি আক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শ থেকে বেশি ছড়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো আবাসনে বা বাড়িতে যদি গত ২৪ ঘন্টায় একাধিক কোভিড পজিটিভ কেস থাকে তখনি সেই জায়গাকে স্যানিটাইজার প্রয়োগের মাধ্যমে ভাইরাস মুক্ত করা উচিত, নতুবা নয় । সিডিসির ডিরেক্টর রাশেল ওলেনস্কি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন নিরাপত্তার কথা ভেবে ফগিং, ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক স্প্রে ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই, তাতে জীবনের ঝুঁকি বাড়ে। তার থেকে মাস্কের নির্দিষ্ট ব্যবহারেই সংক্রমণ অনেকটাই রোখা সম্ভব।