দেশ বিদেশ
ভাসানচর পরিদর্শন শেষে বিদেশি দূতদের প্রশ্ন
কূটনৈতিক রিপোর্টার
৪ এপ্রিল ২০২১, রবিবার, ৯:৩১ অপরাহ্ন
ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরজমিন ঘুরে দেখার পর বিদেশি দূতরা জানতে চাইলেন- আসন্ন বর্ষা মৌসুমে নোয়াখালীর ওই দ্বীপের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা কি হবে? বড় ধরনের সাইক্লোন বা জলোচ্ছ্বাস হলে দ্বীপটির প্রটেকশনে কী ব্যবস্থাই বা রাখা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন তারা। শনিবার যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, জাপান, নেদারল্যান্ডস ও কানাডার রাষ্ট্রদূত ভাসানচরের অবকাঠামো ও রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরজমিন ঘুরে দেখেন। দ্বীপটিতে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর প্রশ্নে জাতিসংঘ ও পশ্চিমা বিশ্বের উদ্বেগ ছিল। গত ১৭ই মার্চ জাতিসংঘের ১৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল ভাসানচর ঘুরে দেখেন। এবার গেলেন পূর্ব ও পশ্চিমের ১০ দূত। বিদেশি কূটনীতিকদের ওই পরিদর্শনকালে পররাষ্ট্র ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার ও জাতিসংঘ অনুবিভাগের মহাপরিচালক সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সঙ্গে ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ভাসানচরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন রাষ্ট্রদূতরা। একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে একটি প্রেজেন্টেশন দেয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে তারা উপরোল্লিখিত শুধু দুটি বিষয় জানতে চেয়েছেন। সূত্র জানায়, কূটনীতিকদের সঙ্গে আলাপে রোহিঙ্গা নারীরা বাচ্চাদের শিক্ষার কথা বলেছে এবং পুরুষরা আরো কর্মসংস্থানের সুযোগ চেয়েছে। কূটনীতিকরা তাদের কথা বা দাবি-দাওয়া শুনেছেন। তবে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। সূত্র জানায়, ভাসানচরে বিভিন্ন কর্মসংস্থান প্রকল্প, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সুবিধাসহ অন্যান্য জায়গা পরিদর্শন করেছেন রাষ্ট্রদূতরা। প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে এক লাখ রোহিঙ্গার বাসস্থানের সুবিধা নিয়ে ভাসানচর প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে পরিকল্পিতভাবে একটি নগরী গড়ে তোলা হয়েছে যেখানে সব সুবিধা আছে।