ভারত
প্রার্থীর পায়ে পায়ে (১৪)
সরপুরিয়া, সরভাজার শহরে প্রবীণ বনাম নবীনের লড়াই
৩ এপ্রিল ২০২১, শনিবার, ২:০৮ অপরাহ্ন
(পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে তারকা কেন্দ্রগুলি নিয়ে মানবজমিনের অন্তর্তদন্তের চতুর্দশ কিস্তি। আজ কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র। লিখেছেন জয়ন্ত চক্রবর্তী)
মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের আমল থেকে কৃষ্ণনগরের ট্রেডমার্ক দুটো মিষ্টিতে মজে আছে বাঙালি সরপুরিয়া আর সরভাজা। কৃষ্ণনগর বাসস্ট্যান্ডে হরি মোদকের পেটেণ্ট সরপুরিয়ায় একটি কামড় দিয়ে সুখে চোখ মুদলেন কেষ্টনগরের মাটির পুতুলের ব্যাবসায়ী শ্যামসুন্দর পাল। বললেন কেষ্টনগর উত্তরে এবার খেলা হবে নতুন প্লেয়ারের সঙ্গে পুরানো প্লেয়ারের। বলা বাহুল্য শ্যামসুন্দর বাবু মুকুল রায় বনাম কৌশানি মুখোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের কথা বলছেন। কৌশানি টালিগঞ্জের অভিনেত্রী। তৃণমূলে যোগ দিয়েই প্রার্থী হয়েছেন। মুকুল রায় পোড়খাওয়া ভেটারেন। যদিও কৌশানি মানছেন না সে কথা। বলছেন উনি তো ভোটেই দাঁড়াননি কখনো, দু একবার বাদ দিয়ে। তাহলে উনি হেভিওয়েট হলেন কি ভাবে? মুকুল রায় মাছি তাড়ানোর মতো বালখিল্য সুলভ কথাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন। কৌশানিকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তিনি নম্বর দিতে চান না। কিন্তু কৌশানির একটি ভিডিও পোস্ট ঘিরে এখন চাঞ্চল্য কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে। ভিডিও পোস্টে কৌশানি বলেছেন, বাড়িতে মা বোন মেয়ের কথা ভাববি আর বিজেপিকে ভোট দিবি। মুকুল রায় যদিও বিষয়টিকে নস্যাৎ করে দিচ্ছেন কিন্তু কৌশানি বলছেন, হাতড়াস ধর্ষণের কথা মাথায় রেখেই তিনি এই ভিডিও পোস্টটি করেন। কৌশানি মনে করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন তাকে অনেকটা এগিয়ে রাখছে। মুকুল রায় মনে করছেন, বাচ্চা মেয়ে। ভোটে নেমে আবোল তাবোল বকছে। ওকে সিরিয়াসলি নেয়ার দরকার নেই। মোদির কারিশমায় বিজেপি ভোট বৈতরণী পার হবে। কৃষ্ণনগর উত্তরের মানুষ কিন্তু একটা জোর লড়াই আশা করছেন।
মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের আমল থেকে কৃষ্ণনগরের ট্রেডমার্ক দুটো মিষ্টিতে মজে আছে বাঙালি সরপুরিয়া আর সরভাজা। কৃষ্ণনগর বাসস্ট্যান্ডে হরি মোদকের পেটেণ্ট সরপুরিয়ায় একটি কামড় দিয়ে সুখে চোখ মুদলেন কেষ্টনগরের মাটির পুতুলের ব্যাবসায়ী শ্যামসুন্দর পাল। বললেন কেষ্টনগর উত্তরে এবার খেলা হবে নতুন প্লেয়ারের সঙ্গে পুরানো প্লেয়ারের। বলা বাহুল্য শ্যামসুন্দর বাবু মুকুল রায় বনাম কৌশানি মুখোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের কথা বলছেন। কৌশানি টালিগঞ্জের অভিনেত্রী। তৃণমূলে যোগ দিয়েই প্রার্থী হয়েছেন। মুকুল রায় পোড়খাওয়া ভেটারেন। যদিও কৌশানি মানছেন না সে কথা। বলছেন উনি তো ভোটেই দাঁড়াননি কখনো, দু একবার বাদ দিয়ে। তাহলে উনি হেভিওয়েট হলেন কি ভাবে? মুকুল রায় মাছি তাড়ানোর মতো বালখিল্য সুলভ কথাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন। কৌশানিকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তিনি নম্বর দিতে চান না। কিন্তু কৌশানির একটি ভিডিও পোস্ট ঘিরে এখন চাঞ্চল্য কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে। ভিডিও পোস্টে কৌশানি বলেছেন, বাড়িতে মা বোন মেয়ের কথা ভাববি আর বিজেপিকে ভোট দিবি। মুকুল রায় যদিও বিষয়টিকে নস্যাৎ করে দিচ্ছেন কিন্তু কৌশানি বলছেন, হাতড়াস ধর্ষণের কথা মাথায় রেখেই তিনি এই ভিডিও পোস্টটি করেন। কৌশানি মনে করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন তাকে অনেকটা এগিয়ে রাখছে। মুকুল রায় মনে করছেন, বাচ্চা মেয়ে। ভোটে নেমে আবোল তাবোল বকছে। ওকে সিরিয়াসলি নেয়ার দরকার নেই। মোদির কারিশমায় বিজেপি ভোট বৈতরণী পার হবে। কৃষ্ণনগর উত্তরের মানুষ কিন্তু একটা জোর লড়াই আশা করছেন।