মত-মতান্তর

যাত্রীরা যাবে কোথায়?

পিয়াস সরকার

১ এপ্রিল ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৩:২৮ অপরাহ্ন

রাজধানীবাসীর বাস ভাড়া এক টাকা বৃদ্ধি পেলেও সিংহভাগ যাত্রীর সমস্যা দেখা দেয়। মানবজমিন লাইভে এমনটাই বলেছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সকালে অফিসগামী যাত্রীদের দেখলে একটা মায়া হয়। সবার মুখে কেমন একটা শঙ্কা। মুখ ফুটে না বললেও, চিন্তার স্থানজুড়ে সময়মতো অফিসের দরজায় পা দিতে পারবো তো। আর নারীদের ভোগান্তিতো চরম। প্রায়শই চালকদের বলতে শোনা যায়, এই ব্যাটা মহিলা উঠাইস না।

যাক এভাবেই অভ্যস্ত ছিলো রাজধানীর অফিসগামীরা। প্রায়শই যাত্রীরা বলেন, বাদুর ঝোলা হয়ে বাসে উঠি বা অফিসে এসেছি। হঠাৎ সেই বাদুর ঝোলাটাও বন্ধ। কারণ, করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। বাসে বজায় রাখতে হবে দূরত্ব। এক সিট ফাঁকা করেই চলছে বাসগুলো।

বাসের সিট ফাঁকা করে আগেও চলেছি আমরা। তখন অবস্থা ছিলো ভিন্ন। চলছিলো সাধারণ ছুটি। অফিস, আদালত পাড়ায় ছিলো না কাজ। কিন্তু এখন অফিস চলছে পুরোদমে। যেখানে স্বাভাবিক সময়ে অফিসগামীদের বাস মেলা দায় সেখানে নতুন নিয়মে তারা কিভাবে গন্তব্যে পৌঁছাবেন? বাড়ানো হয়েছে কি বাসের সংখ্যা? না। কিন্তু এই যাত্রীদের যেতেতো হবেই অফিস পাড়ায়। তারা যাবেন কিভাবে?

বাস মেলা দায়। মোটর সাইকেলে করে গন্তব্যেও পথে পাড়ি দেবেন, তারও উপায় নেই। বন্ধ রাইড শেয়ারিং। কর্মের নগরী রাজধানী ঢাকা। বলা যায়, অভিযোগের নগরীও। সমাধান না মেলায় নীরবেই মেনে নিচ্ছি আমরা। বর্ষায় পানি, রাস্তা কাটা, যানজট ইত্যাদি ইত্যাদি। এবার রাজধানীবাসী বঞ্চিত বাসে বাদুর ঝোলা হওয়া থেকে। আর সেইসঙ্গে বাসের ভাড়া বৃদ্ধির সমস্যাতো আছেই।

মরণব্যধী করোনারোধে অর্ধেক সিট ফাঁকা রেখে যানবাহন চলাচল হয়ত যৌক্তিক। এটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। অর্ধেক লোকবল দিয়ে অফিস চালানোর কথা বলা হয়েছিল। সে সিদ্ধান্ত কার্যকরের আগেই কোন বিকল্প না রেখে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেলাটা কতোটা যৌক্তিক?
এরই ফল স্বরূপ যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সড়কে। তাদের দাবি বাসে উঠতে চাই। আর পেটে দায়ে মোটর সাইকেল চালানো ব্যক্তিরাও একট্টা হয়েছেন যাত্রীর জন্য। দাবি তুলেছেন কর্মের, চারটা ডাল ভাতের।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status