দেশ বিদেশ
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিয়ে স্বল্প ও মধ্য মেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন: সিপিডি
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২০২১-০৩-১৯
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) মনে করে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিয়ে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার চেয়ে স্বল্প ও মধ্য মেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন। মূলত ৫ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা হলে তা বাস্তবায়ন এবং সুবিধাভোগীরাই লাভজনক হবে। বৃহস্পতিবার প্রস্তাবিত পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান নিয়ে অনলাইন আলোচনায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এই অভিমত ব্যক্ত করে সিপিডি। সিপিডি’র বিশেষ ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচকের মধ্যে অংশ নেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, বুয়েটের অধ্যাপক ড. এম তামিম ও ড. ইজাজ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম।
কয়লাভিত্তিক জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করা থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে কুইকরেন্টারভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সময় না বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানান তারা। সরকারের উচিত আরো বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ করা। এ ছাড়া বিদেশি সংস্থাগুলোকেও ব্যবসা করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কেউ কেউ। তবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর জোর দিতে বলেছেন বক্তারা।
সিপিডি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবছর দেশের জিডিপিতে বিদ্যুতের খাতভিত্তিক অবদান বেড়েছে গড়ে ১৬.৩ শতাংশ করে, যা অন্যান্য সব খাতের চেয়ে বেশি। ২০০৯ সালের ০.৯৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২০-এ মোট জিডিপিতে এর অংশীদার ১.৩ শতাংশ। এই ১১ বছরে প্রতিবছর উৎপাদন বেড়েছে ১৯.৩ শতাংশ করে। তবে জিডিপিতে বিদ্যুতের অবদান বাড়লেও এখনো রয়েছে নানা চ্যালেঞ্জ ও বিতরণ সংস্থাগুলোর আয়- ব্যয়ের হিসাবে গরমিল। দুর্বলতা কাটেনি সঞ্চালন লাইনের। প্রশ্ন রয়েছে চাহিদা ও যোগানের তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা নিয়েও।
এ কারণে সিপিডি মনে করে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিয়ে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার চেয়ে স্বল্প ও মধ্য মেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন।
প্রবন্ধে ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, কুইকরেন্টালভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর যে সময় বেঁধে দেয়া আছে সেগুলোর সময় না বাড়ানো। পুরনো প্ল্যান্টগুলো বন্ধ করে দেয়া। উচ্চমূল্যে তেল ব্যবহার করা হয় এমন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়া। এতে করে সরকারের ব্যয় কমবে বলে তিনি মনে করেন।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বিদ্যুৎ খাতের পুরনো পরিত্যক্ত প্রযুক্তির জগতে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে। দেশকে একটা বিপদের মধ্যে ফেলে দেয়া হচ্ছে।
কয়লাভিত্তিক জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করা থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে কুইকরেন্টারভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সময় না বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানান তারা। সরকারের উচিত আরো বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ করা। এ ছাড়া বিদেশি সংস্থাগুলোকেও ব্যবসা করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কেউ কেউ। তবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর জোর দিতে বলেছেন বক্তারা।
সিপিডি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবছর দেশের জিডিপিতে বিদ্যুতের খাতভিত্তিক অবদান বেড়েছে গড়ে ১৬.৩ শতাংশ করে, যা অন্যান্য সব খাতের চেয়ে বেশি। ২০০৯ সালের ০.৯৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২০-এ মোট জিডিপিতে এর অংশীদার ১.৩ শতাংশ। এই ১১ বছরে প্রতিবছর উৎপাদন বেড়েছে ১৯.৩ শতাংশ করে। তবে জিডিপিতে বিদ্যুতের অবদান বাড়লেও এখনো রয়েছে নানা চ্যালেঞ্জ ও বিতরণ সংস্থাগুলোর আয়- ব্যয়ের হিসাবে গরমিল। দুর্বলতা কাটেনি সঞ্চালন লাইনের। প্রশ্ন রয়েছে চাহিদা ও যোগানের তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা নিয়েও।
এ কারণে সিপিডি মনে করে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিয়ে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার চেয়ে স্বল্প ও মধ্য মেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন।
প্রবন্ধে ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, কুইকরেন্টালভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর যে সময় বেঁধে দেয়া আছে সেগুলোর সময় না বাড়ানো। পুরনো প্ল্যান্টগুলো বন্ধ করে দেয়া। উচ্চমূল্যে তেল ব্যবহার করা হয় এমন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়া। এতে করে সরকারের ব্যয় কমবে বলে তিনি মনে করেন।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বিদ্যুৎ খাতের পুরনো পরিত্যক্ত প্রযুক্তির জগতে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে। দেশকে একটা বিপদের মধ্যে ফেলে দেয়া হচ্ছে।