দেশ বিদেশ
শিক্ষা ব্যবস্থায় হ-য-ব-র-ল
স্টাফ রিপোর্টার
১৩ মার্চ ২০২১, শনিবার, ৯:২০ অপরাহ্ন
মহামারি করোনার এক বছর পেরিয়েছে। দীর্ঘ লকডাউনের পর ধীরে ধীরে সব সচল এখন। কিন্তু খুলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুয়ার। এক অনিশ্চয়তায় পড়ে আছেন দেশের পাবলিক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মাঝখানে পরীক্ষা নেয়া শুরু হলেও তাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে পরীক্ষা, প্রাকটিক্যাল ক্লাস-পরীক্ষা সবই। এতে করে তারা এগিয়ে যাচ্ছে। একই ইয়ারের শিক্ষার্থী হয়ে পাবলিক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেখানে পরীক্ষার অপেক্ষায়, সেখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার সনদ নিয়ে শিক্ষা জীবনের সমাপ্তি টানছে।
অপরদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি পেয়েছেন। বাকি রয়েছে শুধু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। অনুমতি নেই বলে তাদের পরীক্ষা দেয়া রয়েছে বন্ধ। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অভিভাবক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পরীক্ষা না নিতে সতর্ক করে দিয়েছে। দেশে বর্তমানে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে ১০৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে চলছে মিডটার্ম পরীক্ষা। বেশ কয়েকটি বিভাগের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে বুধবারেও। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়টি আগে থেকেই অনলাইনে ল্যাব ক্লাস পরিচালনা করে আসছে।
এ ছাড়াও মিডটার্ম পরীক্ষা চলছে নর্দান ইউনিভার্সিটিতে। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে চলছে ক্লাস টেস্ট। পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে এই মাসের ২৪ তারিখ। দ্যা মিলিনিয়াম ইউনিভার্সিটিতে মঙ্গলবারও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষা হচ্ছে ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়ায়। মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি সিলেটের মিডটার্ম পরীক্ষা শেষ হয়েছে সোমবার।
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এআইইউবি) সরাসরি পরীক্ষা না নিলেও অ্যাসাইনমেন্ট, কুইজ ও ভাইবার মাধ্যমে সেমিস্টার সম্পন্ন করছে। মঙ্গলবারও কিছু বিভাগে তাদের মিডটার্ম ও ভাইবা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলমান রয়েছে প্রাইম ইউনিভার্সিটিতে। বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির পরীক্ষা শেষ হয়েছে সোমবার।
আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে পরীক্ষা চলছে না। তবে তাদের কুইজ ও ভাইবা যথানিয়মে চলছে। তাদের পরীক্ষার সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে এপ্রিলের ১৮ তারিখে।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কুইজ পরীক্ষা চলমান রয়েছে। তবে মিডটার্ম পরীক্ষা নেয়া হবে কিনা এ নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে প্রশাসন। কয়েকটি বিভাগে পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। জানা যায়, তারা এই বিষয়ে আলোচনা করছেন। ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি মঙ্গলবার নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেয় পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সকল ধরনের পরীক্ষা ও ক্যাম্পাসের ল্যাব ক্লাস স্থগিত থাকবে।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সেমিস্টারের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা চাই আমাদের পরীক্ষা চলমান থাকুক। গত সেমিস্টারের মতো এই পরীক্ষাগুলো চলে যাক। আমরা অনলাইনে শুরুতে সমস্যা হলেও এই মুহূর্তে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। নাজমুন নাহার বৃষ্টি নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষার সময় আমরা খুব সিরিয়াস থাকি। সাত কলেজ যদি পরীক্ষা দিতে পারে আমরা অনলাইনে পরীক্ষা দিতে পারবো না কেন?
আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় ওয়েবার হারিয়েছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী। তিনি প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই নেতিবাচক পোস্ট দেয়ায় করোনাকালীন ১০ শতাংশ ওয়েবার হারিয়েছেন। এমন সাতজন শিক্ষার্থী এই ওয়েবার থেকে বঞ্চিত হন। এই অভিযোগ জানিয়ে তিনি ইউজিসিতে অভিযোগও জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো ফল পাননি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আর কোনো কথা নাই। প্রতিবাদ করে কোনো লাভ নাই।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. আলমগীর হোসেন বলেন, করোনা মহামারির সময় অনেক নির্দেশনা দিয়েছি। আমরা হতাশার সঙ্গে লক্ষ্য করেছি এই সমস্ত নির্দেশনা তারা মানেননি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান না ভেবে যতদিন না পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাববে ততদিন আইন করেও সমাধান হবে না। ইউজিসির যে আইনের কাঠামো আছে সেখান থেকে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানাই। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। এ ছাড়াও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে ইউজিসি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু তারা এটাকে খুব একটা আমলে নিচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, যেসব বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপরদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি পেয়েছেন। বাকি রয়েছে শুধু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। অনুমতি নেই বলে তাদের পরীক্ষা দেয়া রয়েছে বন্ধ। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অভিভাবক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পরীক্ষা না নিতে সতর্ক করে দিয়েছে। দেশে বর্তমানে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে ১০৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে চলছে মিডটার্ম পরীক্ষা। বেশ কয়েকটি বিভাগের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে বুধবারেও। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়টি আগে থেকেই অনলাইনে ল্যাব ক্লাস পরিচালনা করে আসছে।
এ ছাড়াও মিডটার্ম পরীক্ষা চলছে নর্দান ইউনিভার্সিটিতে। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে চলছে ক্লাস টেস্ট। পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে এই মাসের ২৪ তারিখ। দ্যা মিলিনিয়াম ইউনিভার্সিটিতে মঙ্গলবারও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষা হচ্ছে ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়ায়। মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি সিলেটের মিডটার্ম পরীক্ষা শেষ হয়েছে সোমবার।
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এআইইউবি) সরাসরি পরীক্ষা না নিলেও অ্যাসাইনমেন্ট, কুইজ ও ভাইবার মাধ্যমে সেমিস্টার সম্পন্ন করছে। মঙ্গলবারও কিছু বিভাগে তাদের মিডটার্ম ও ভাইবা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলমান রয়েছে প্রাইম ইউনিভার্সিটিতে। বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির পরীক্ষা শেষ হয়েছে সোমবার।
আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে পরীক্ষা চলছে না। তবে তাদের কুইজ ও ভাইবা যথানিয়মে চলছে। তাদের পরীক্ষার সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে এপ্রিলের ১৮ তারিখে।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কুইজ পরীক্ষা চলমান রয়েছে। তবে মিডটার্ম পরীক্ষা নেয়া হবে কিনা এ নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে প্রশাসন। কয়েকটি বিভাগে পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। জানা যায়, তারা এই বিষয়ে আলোচনা করছেন। ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি মঙ্গলবার নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেয় পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সকল ধরনের পরীক্ষা ও ক্যাম্পাসের ল্যাব ক্লাস স্থগিত থাকবে।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সেমিস্টারের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা চাই আমাদের পরীক্ষা চলমান থাকুক। গত সেমিস্টারের মতো এই পরীক্ষাগুলো চলে যাক। আমরা অনলাইনে শুরুতে সমস্যা হলেও এই মুহূর্তে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। নাজমুন নাহার বৃষ্টি নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষার সময় আমরা খুব সিরিয়াস থাকি। সাত কলেজ যদি পরীক্ষা দিতে পারে আমরা অনলাইনে পরীক্ষা দিতে পারবো না কেন?
আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় ওয়েবার হারিয়েছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী। তিনি প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই নেতিবাচক পোস্ট দেয়ায় করোনাকালীন ১০ শতাংশ ওয়েবার হারিয়েছেন। এমন সাতজন শিক্ষার্থী এই ওয়েবার থেকে বঞ্চিত হন। এই অভিযোগ জানিয়ে তিনি ইউজিসিতে অভিযোগও জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো ফল পাননি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আর কোনো কথা নাই। প্রতিবাদ করে কোনো লাভ নাই।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. আলমগীর হোসেন বলেন, করোনা মহামারির সময় অনেক নির্দেশনা দিয়েছি। আমরা হতাশার সঙ্গে লক্ষ্য করেছি এই সমস্ত নির্দেশনা তারা মানেননি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান না ভেবে যতদিন না পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাববে ততদিন আইন করেও সমাধান হবে না। ইউজিসির যে আইনের কাঠামো আছে সেখান থেকে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানাই। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। এ ছাড়াও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে ইউজিসি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু তারা এটাকে খুব একটা আমলে নিচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, যেসব বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।