প্রথম পাতা
মুক্তির মেয়াদ বাড়লেও বিদেশ যেতে পারবেন না
স্টাফ রিপোর্টার
৯ মার্চ ২০২১, মঙ্গলবার, ৯:৩০ অপরাহ্ন
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ডের কার্যকারিতা আরো ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখার বিষয়ে সম্মতিসূচক মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অনুমোদন দেয়ার পর এ সংক্রান্ত নথি গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়, দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত খালেদা জিয়ার সাজার কার্যকারিতা আগের শর্তে আরো ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখার সুপারিশ করে মতামত দিয়েছে- আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। শর্ত অনুযায়ী, মুক্ত থাকার সময়ে খালেদা জিয়াকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। দুপুরে অর্থ মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার পরিবার ‘বিশেষায়িত চিকিৎসার’ কথা লিখেছিল তাদের আবেদনে। আমাদের মতামতে লেখা হয়েছে, দেশের ভেতরে তিনি যদি বিশেষায়িত চিকিৎসা নেন, সরকারের তাতে কোনো আপত্তি নেই। এ বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, কোনো হাসপাতাল নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি, তিনি বুঝবেন স্পেশালিস্ট কাকে রাখবেন, সেই স্বাধীনতাও তার আছে। বিদেশে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ওদিকে মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের পর যোগাযোগ করা হলে খালেদা জিয়ার ভাই সাঈদ ইস্কান্দার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশানে তার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। তিনি আর্থারাইটিসের ব্যথা, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন। ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজায় কারাজীবন শুরু করেন খালেদা জিয়া। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়। তার বিরুদ্ধে আরো ৩৪টি মামলা রয়েছে।
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গত বছরের ২৫শে মার্চ নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। দণ্ডের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হলে তিনি কারামুক্ত হন। ওই মুক্তির মেয়াদ শেষে গতবছর সেপ্টেম্বরে আগের শর্তে তা আরো ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়। ওই মেয়াদ শেষ হয়ে আসায় আবারো আবেদন করে খালেদা জিয়ার পরিবার।
৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশানে তার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। তিনি আর্থারাইটিসের ব্যথা, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন। ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজায় কারাজীবন শুরু করেন খালেদা জিয়া। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়। তার বিরুদ্ধে আরো ৩৪টি মামলা রয়েছে।
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গত বছরের ২৫শে মার্চ নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। দণ্ডের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হলে তিনি কারামুক্ত হন। ওই মুক্তির মেয়াদ শেষে গতবছর সেপ্টেম্বরে আগের শর্তে তা আরো ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়। ওই মেয়াদ শেষ হয়ে আসায় আবারো আবেদন করে খালেদা জিয়ার পরিবার।