শেষের পাতা
মিঠুন চক্রবর্তী কি বিজেপি’র মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী?
জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা
৯ মার্চ ২০২১, মঙ্গলবার, ৯:২৭ অপরাহ্ন
অবশেষে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ কি পেয়ে গেলেন সেই বঙ্গতনয়কে যিনি দিদির বিরুদ্ধে বিজেপি’র হয়ে মুখ্যমন্ত্রিত্বের ব্যাট ধরবেন? বাঙালি সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী কি সেই মুখ? গত রোববারই ব্রিগেডে মোদির সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে দিলীপ ঘোষের কাছ থেকে পতাকা নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন মিঠুন। তারপর একটার পর একটা টেলিভিশন ইন্টারভিউ। বেলগাছিয়ায় বোনের বাড়িতে মিঠুনকে যখন টেলিফোনে ধরা গেল তখন তিনি অত্যন্ত ক্লান্ত। প্রথমে নকশাল, অতঃপর বাম, তারপর তৃণমূল এবং এখন বিজেপি। মানুষ তার এই ভোলবদলকে কি ভাবে নেবেন? মানবজমিনকে মিঠুন জানালেন, সেই আঠারো বছর বয়স থেকে তিনি না খেতে পাওয়া মানুষের জন্য কাজ করার পথ খোঁজার চেষ্টা করছেন। এতদিনে তার মনে হচ্ছে সেই পথের সন্ধান এবার মিলবে, তাই তিনি বিজেপিতে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য তিনি কি বিজেপির মুখ? এই প্রশ্নের জবাবে রহস্যময় হাসি হেসে নিরুত্তরই রইলেন মিঠুন। বিজেপিও মুখে কুলুপ এঁটেছে উত্তর কলকাতার জোড়াবাগানের মথুর সেন গার্ডেন লেনের ছেলে গৌরাঙ্গকে তারা প্রার্থী করছে কিনা।
এই অবকাশে মানবজমিনের পাঠকদের একটা স্কুপ না দিয়ে পারছি না। গৌরাঙ্গ যখন মিঠুন হননি তখন মথুর সেন গার্ডেন লেনের আর এক বাসিন্দা অমৃতবাজার পত্রিকার ক্রীড়া সাংবাদিক শচীন সেনের কাছ থেকে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের টিকিট নিয়ে খেলা দেখতে যেতেন। শচীন সেন ছিলেন আজকের বিজেপি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র দাদু। মিঠুন বললেন, আমি কিছু পাওয়ার জন্য কোনো দিন রাজনীতি করিনি। জ্যোতি আঙ্কেল, সুভাষ দা দের লড়াই আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। কিন্তু, পরে তৃণমূলের এমপি হলেও এই রাজ্যে আমার এক চিলতে জমিও নেই। পাওয়ার জন্য রাজনীতি মিঠুন চক্রবর্তী করে না। অনেক রাত। সারাদিনের পরিশ্রমে ক্লান্ত মিঠুন। কঠিন অসুখ তাকে বিপর্যস্ত করলেও তার মানসিক শক্তিকে টলাতে পারেনি। আবার বললেন, তিনি জাত গোখরা, এক ছোবলে ছবি করে দেবেন। কিন্তু কাদের? মিঠুন মুচকি হেসে বললেন, বুঝো যে জন জানোহ সন্ধান!
এই অবকাশে মানবজমিনের পাঠকদের একটা স্কুপ না দিয়ে পারছি না। গৌরাঙ্গ যখন মিঠুন হননি তখন মথুর সেন গার্ডেন লেনের আর এক বাসিন্দা অমৃতবাজার পত্রিকার ক্রীড়া সাংবাদিক শচীন সেনের কাছ থেকে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের টিকিট নিয়ে খেলা দেখতে যেতেন। শচীন সেন ছিলেন আজকের বিজেপি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র দাদু। মিঠুন বললেন, আমি কিছু পাওয়ার জন্য কোনো দিন রাজনীতি করিনি। জ্যোতি আঙ্কেল, সুভাষ দা দের লড়াই আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। কিন্তু, পরে তৃণমূলের এমপি হলেও এই রাজ্যে আমার এক চিলতে জমিও নেই। পাওয়ার জন্য রাজনীতি মিঠুন চক্রবর্তী করে না। অনেক রাত। সারাদিনের পরিশ্রমে ক্লান্ত মিঠুন। কঠিন অসুখ তাকে বিপর্যস্ত করলেও তার মানসিক শক্তিকে টলাতে পারেনি। আবার বললেন, তিনি জাত গোখরা, এক ছোবলে ছবি করে দেবেন। কিন্তু কাদের? মিঠুন মুচকি হেসে বললেন, বুঝো যে জন জানোহ সন্ধান!