খেলা
‘দুটি’ দিনের অপেক্ষায় মাহমুদুল্লাহ
স্পোর্টস রিপোর্টার
৯ মার্চ ২০২১, মঙ্গলবার, ৯:১০ অপরাহ্ন
১০ই মার্চ কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্তি মিলবে টাইগারদের। এরপর নিউজিল্যান্ডে হোটেল থেকে মাঠ, এমনকি শপিং, ঘুরতে ও বাইরে যেকোনো জায়গাতে খেতে যেতে কোনো বাধা থাকবে না। হ্যাঁ, আর মাত্র দু’দিন পরই করোনাকালে নতুন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল। গেল কয়েকটি মাস তাদের যেকোনো সিরিজে থাকতে হয়েছে জৈব সুরক্ষা বলয়ে। সেখান থেকে বের হওয়ার কোনো পথ ছিল না। কিন্তু নিউজিল্যান্ডে সেটির ব্যতিক্রম হবে। কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ হলেই একেবারেই মুক্ত। তাই বাকি দুটি দিনের অপেক্ষাতে টাইগারদের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। অবশ্য এই মুক্তি মিলবে চতুর্থ দফায় তাদের করোনা পরীক্ষার ফলাফলের ওপর। ক্রাইস্টচার্চ থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আশা করছি, আর দুইটা দিন কোয়ারেন্টিনে আছি। ইনশাআল্লাহ্? দোয়া করছি যেন আমাদের সবার রেজাল্টটা নেগেটিভ আসে। তারপর আমরা বাইরে যাবো।’
ক্রাইস্টচার্চে পৌঁছে ২৪শে ফেব্রুয়ারি থেকে টানা ৭ দিন সেল্ফ আইসোলেশনে ছিল বাংলাদেশ দল। এরমধ্যে প্রথম ২৪ ঘণ্টা হোটেল রুম থেকে বের হওয়ার সুযোগ হয়নি। এরপর বাকি ৫ দিন মাত্র ৩০ মিনিট মুক্ত হাওয়াতে নিঃশ্বাস নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। ততোদিনে কোভিড-১৯ এর নমুনা নেয়া হয়েছে তিনবার। এরপর অবশ্য প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে অনুশীলনের সুযোগ দেয়া হয়েছে টাইগারদের। কিন্তু একেবারেই সিরিজকে লক্ষ্য করে পরিপূর্ণ ক্যাম্প শুরু হবে ১৩ই মার্চ থেকে। তবে যে দুই ঘণ্টা অনুশীলনের সুযোগ আসছে তাতেও দারুণ সন্তুষ্ট মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিনি বলেন, ‘মোস্ট ইম্পরট্যান্টলি আমরা প্র্যাকটিস করতে পারছি। ফ্যাসিলিটিজ ওয়ান্ডারফুল। উইকেটগুলোও খুব ভালো। তো খুব ভালো প্র্যাকটিসই হচ্ছে। যে দুই ঘণ্টা সময় পাচ্ছি, আমরা নিশ্চিত করছি যেন প্রোপার প্র্যাকটিস করতে পারি। আমাদের স্কিল ট্রেনিং, রানিং বা ফিটনেসের কাজ যদি থাকে, সেগুলো ঐ সময়টাতে করছি। উপভোগ করছি।’ নিউজিল্যান্ডে যেকোনো দলের অন্যতম প্রতিপক্ষ সেখানকার কন্ডিশন ও উইকেট। বিশেষ করে তীব্র বাতাসের সঙ্গে মানিয়ে নেয়াও কঠিন বিষয়। তবে অনেক দিন থাকার সুবাদে টাইগারদের বিশ্বাস দ্রুতই তারা কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিজেদের সেরাটাই দিতে পারবেন। রিয়াদ বলেন, ‘সবাই জানি যে, নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনটা সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং এবং আমাদের জন্য কোনো কিছুই এত সহজ হবে না। ওভারল আমার মনে হয় এজ আ টিম আমাদের ভালো পারফর্ম করতে হবে। ব্যাটিং, বোলিং ফিল্ডিং- তিন ডিপার্টমেন্টেই।’ কন্ডিশনের চ্যালেঞ্জর সঙ্গে টিম নিউজিল্যান্ডও কম নয়। তাদের বিপক্ষে তাদের মাটিতে এখন পর্যন্ত কোনো জয় নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে। এবারো দুর্দান্ত ফর্মে ব্ল্যাকক্যাপসরা। এরই মধ্যে তারা অস্ট্রেলিয়াকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারিয়েছে। তবে এই সব চিন্তা না করে তাদের মোকাবিলায় টাইগার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক রণকৌশলও ঠিক করেছেন। তিনি বলেন, ‘হয়তো বা নিউজিল্যান্ড টিম এখন খুব ভালো ফর্মে আছে। তারা টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে, এ জিনিসগুলো মাথায় না এনে বরং আমরা আমাদের স্ট্রেন্থ এবং উইকনেসগুলোর দিকে ফোকাস করতে পারি তাহলে আমাদের খেলার জন্যও ভালো হবে এবং আমি মনে করি আমাদের এগ্রেসিভ ক্রিকেট খেলার মন মানসিকতা থাকলে ইনশাআল্লাহ্? আমরা ভালো করবো।’ নিউজিল্যান্ড দল, কন্ডিশন ছাড়াও এখানের উইকেটগুলো বিশ্বের যেকোনো ক্রিকেটারের জন্য মরণ ফাঁদ। তাই উইকেট বুঝতে না পারলে যেমন কঠিন বোলিং তেমন ব্যাটিং। তাই অধিনায়ক হিসেবে মাহমুদুল্লাহ এখন সেই উইকেট বুঝতেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন বলেই জানান। তিনি বলেন, ‘পারসোনালি আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উইকেটটা বোঝার চেষ্টা করি। উইকেটের বাউন্সের সঙ্গে এডজাস্ট করার চেষ্টা করি। কারণ এসব উইকেটে বাউন্সটা বরাবরই থাকে। তো বাউন্স এবং গতিটা কেমন থাকে উইকেটে গিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা এডজাস্ট করা খুবই ইম্পরট্যান্ট। সবসময় এটাই চেষ্টা করি এবং বাজে বলের ওয়েট করি। আমার কাছে মনে হয়, বেসিক ক্রিকেটটা ইম্পরট্যান্ট। বেসিক কাজগুলো যদি ঠিকমতো করতে পারি, তাহলে ইনশাআল্লাহ্? রেজাল্ট ভালো হবে।’
এ ছাড়াও টাইগার অধিনায়ক বোলারদের জন্যও বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বোলারদের জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং আমার মতে, ওদের এক্সিকিউশন লেভেলটা কোন্ জায়গায় আছে ওটা মেইক শিউর করা এবং তাদের ফ্রেম অব মাইন্ডটা কেমন তা মেইক শিওর করা অনেক ইম্পরট্যান্ট। কারণ এখানে লেন্থের বিষয়টা খুবই জরুরি। লেন্থে একটু বেখেয়াল হলেই বাউন্ডারি অপশনগুলো বেড়ে যায়। তো এ জিনিসগুলো আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন আমরা ইজি বাউন্ডারি অপশন না দেই এবং প্রোপার লাইন-লেন্থ কনসিস্ট্যান্টলি এক্সিকিউট করতে পারি ওটা ফোকাস রাখতে হবে।’
ক্রাইস্টচার্চে পৌঁছে ২৪শে ফেব্রুয়ারি থেকে টানা ৭ দিন সেল্ফ আইসোলেশনে ছিল বাংলাদেশ দল। এরমধ্যে প্রথম ২৪ ঘণ্টা হোটেল রুম থেকে বের হওয়ার সুযোগ হয়নি। এরপর বাকি ৫ দিন মাত্র ৩০ মিনিট মুক্ত হাওয়াতে নিঃশ্বাস নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। ততোদিনে কোভিড-১৯ এর নমুনা নেয়া হয়েছে তিনবার। এরপর অবশ্য প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে অনুশীলনের সুযোগ দেয়া হয়েছে টাইগারদের। কিন্তু একেবারেই সিরিজকে লক্ষ্য করে পরিপূর্ণ ক্যাম্প শুরু হবে ১৩ই মার্চ থেকে। তবে যে দুই ঘণ্টা অনুশীলনের সুযোগ আসছে তাতেও দারুণ সন্তুষ্ট মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিনি বলেন, ‘মোস্ট ইম্পরট্যান্টলি আমরা প্র্যাকটিস করতে পারছি। ফ্যাসিলিটিজ ওয়ান্ডারফুল। উইকেটগুলোও খুব ভালো। তো খুব ভালো প্র্যাকটিসই হচ্ছে। যে দুই ঘণ্টা সময় পাচ্ছি, আমরা নিশ্চিত করছি যেন প্রোপার প্র্যাকটিস করতে পারি। আমাদের স্কিল ট্রেনিং, রানিং বা ফিটনেসের কাজ যদি থাকে, সেগুলো ঐ সময়টাতে করছি। উপভোগ করছি।’ নিউজিল্যান্ডে যেকোনো দলের অন্যতম প্রতিপক্ষ সেখানকার কন্ডিশন ও উইকেট। বিশেষ করে তীব্র বাতাসের সঙ্গে মানিয়ে নেয়াও কঠিন বিষয়। তবে অনেক দিন থাকার সুবাদে টাইগারদের বিশ্বাস দ্রুতই তারা কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিজেদের সেরাটাই দিতে পারবেন। রিয়াদ বলেন, ‘সবাই জানি যে, নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনটা সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং এবং আমাদের জন্য কোনো কিছুই এত সহজ হবে না। ওভারল আমার মনে হয় এজ আ টিম আমাদের ভালো পারফর্ম করতে হবে। ব্যাটিং, বোলিং ফিল্ডিং- তিন ডিপার্টমেন্টেই।’ কন্ডিশনের চ্যালেঞ্জর সঙ্গে টিম নিউজিল্যান্ডও কম নয়। তাদের বিপক্ষে তাদের মাটিতে এখন পর্যন্ত কোনো জয় নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে। এবারো দুর্দান্ত ফর্মে ব্ল্যাকক্যাপসরা। এরই মধ্যে তারা অস্ট্রেলিয়াকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারিয়েছে। তবে এই সব চিন্তা না করে তাদের মোকাবিলায় টাইগার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক রণকৌশলও ঠিক করেছেন। তিনি বলেন, ‘হয়তো বা নিউজিল্যান্ড টিম এখন খুব ভালো ফর্মে আছে। তারা টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে, এ জিনিসগুলো মাথায় না এনে বরং আমরা আমাদের স্ট্রেন্থ এবং উইকনেসগুলোর দিকে ফোকাস করতে পারি তাহলে আমাদের খেলার জন্যও ভালো হবে এবং আমি মনে করি আমাদের এগ্রেসিভ ক্রিকেট খেলার মন মানসিকতা থাকলে ইনশাআল্লাহ্? আমরা ভালো করবো।’ নিউজিল্যান্ড দল, কন্ডিশন ছাড়াও এখানের উইকেটগুলো বিশ্বের যেকোনো ক্রিকেটারের জন্য মরণ ফাঁদ। তাই উইকেট বুঝতে না পারলে যেমন কঠিন বোলিং তেমন ব্যাটিং। তাই অধিনায়ক হিসেবে মাহমুদুল্লাহ এখন সেই উইকেট বুঝতেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন বলেই জানান। তিনি বলেন, ‘পারসোনালি আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উইকেটটা বোঝার চেষ্টা করি। উইকেটের বাউন্সের সঙ্গে এডজাস্ট করার চেষ্টা করি। কারণ এসব উইকেটে বাউন্সটা বরাবরই থাকে। তো বাউন্স এবং গতিটা কেমন থাকে উইকেটে গিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা এডজাস্ট করা খুবই ইম্পরট্যান্ট। সবসময় এটাই চেষ্টা করি এবং বাজে বলের ওয়েট করি। আমার কাছে মনে হয়, বেসিক ক্রিকেটটা ইম্পরট্যান্ট। বেসিক কাজগুলো যদি ঠিকমতো করতে পারি, তাহলে ইনশাআল্লাহ্? রেজাল্ট ভালো হবে।’
এ ছাড়াও টাইগার অধিনায়ক বোলারদের জন্যও বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বোলারদের জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং আমার মতে, ওদের এক্সিকিউশন লেভেলটা কোন্ জায়গায় আছে ওটা মেইক শিউর করা এবং তাদের ফ্রেম অব মাইন্ডটা কেমন তা মেইক শিওর করা অনেক ইম্পরট্যান্ট। কারণ এখানে লেন্থের বিষয়টা খুবই জরুরি। লেন্থে একটু বেখেয়াল হলেই বাউন্ডারি অপশনগুলো বেড়ে যায়। তো এ জিনিসগুলো আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন আমরা ইজি বাউন্ডারি অপশন না দেই এবং প্রোপার লাইন-লেন্থ কনসিস্ট্যান্টলি এক্সিকিউট করতে পারি ওটা ফোকাস রাখতে হবে।’