শেষের পাতা
‘কথা বলার জন্য শাস্তি বাকস্বাধীনতার ওপর আঘাত’
মানবজমিন ডেস্ক
৬ মার্চ ২০২১, শনিবার, ৯:২৪ অপরাহ্ন
বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ভীষণ অস্পষ্ট এবং সরকারের সমালোচনা ঠেকাতেই এই আইন ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনটাই দাবি করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান ররি মুঙ্গোভেন। ডয়েচে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব দাবি করেছেন। এতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের সুযোগ রয়েছে এবং এ আইন সরকারের
সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে। সাক্ষাৎকারে তিনি কয়েকটি ধারা সংশোধনের পক্ষে মত দেন।
মুঙ্গোভেন বলেন, এই আইনের অনেক ধারাই সিভিল সোসাইটির কণ্ঠরোধ, সাংবাদিক ও সরকারের সমালোচকদের জন্য ব্যবহার করা যায়। তিনি যুক্ত করেন, আমরা করোনা মহামারির সময় দেখেছি এই আইনের ব্যাপক ব্যবহার হয়েছে। গত বছর প্রায় ১৪০টিরও বেশি মামলা করা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা সরকারের নীতির সমালোচনা করেছেন, সমালোচনা করেছেন করোনাকালীন নানা দুর্নীতির। অথচ এই আইনের আসল উদ্দেশ্য এটি ছিল না।
তার মতে, এই আইনে এমন সব সাজা রাখা হয়েছে যা অস্বাভাবিক। কয়েকটি ধারা একেবারেই অ-জামিনযোগ্য। এই আইন নিয়ে এ কারণে সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা রয়েছে। গত সপ্তাহেই দেখেছি লেখক মুশতাক আহমেদ পুলিশ হেফাজতে মারা গেছেন। ১০ মাস তিনি আটক ছিলেন, জামিন চেয়েও পাননি। মুঙ্গোভেন বলেন, এখন কথা বলার জন্য শাস্তি পেতে হতে হচ্ছে। এগুলো বাকস্বাধীনতার ওপর আঘাত। আন্তর্জাতিক আইন বা বাংলাদেশের সংবিধানও এটিকে সমর্থন করে না।
সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে। সাক্ষাৎকারে তিনি কয়েকটি ধারা সংশোধনের পক্ষে মত দেন।
মুঙ্গোভেন বলেন, এই আইনের অনেক ধারাই সিভিল সোসাইটির কণ্ঠরোধ, সাংবাদিক ও সরকারের সমালোচকদের জন্য ব্যবহার করা যায়। তিনি যুক্ত করেন, আমরা করোনা মহামারির সময় দেখেছি এই আইনের ব্যাপক ব্যবহার হয়েছে। গত বছর প্রায় ১৪০টিরও বেশি মামলা করা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা সরকারের নীতির সমালোচনা করেছেন, সমালোচনা করেছেন করোনাকালীন নানা দুর্নীতির। অথচ এই আইনের আসল উদ্দেশ্য এটি ছিল না।
তার মতে, এই আইনে এমন সব সাজা রাখা হয়েছে যা অস্বাভাবিক। কয়েকটি ধারা একেবারেই অ-জামিনযোগ্য। এই আইন নিয়ে এ কারণে সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা রয়েছে। গত সপ্তাহেই দেখেছি লেখক মুশতাক আহমেদ পুলিশ হেফাজতে মারা গেছেন। ১০ মাস তিনি আটক ছিলেন, জামিন চেয়েও পাননি। মুঙ্গোভেন বলেন, এখন কথা বলার জন্য শাস্তি পেতে হতে হচ্ছে। এগুলো বাকস্বাধীনতার ওপর আঘাত। আন্তর্জাতিক আইন বা বাংলাদেশের সংবিধানও এটিকে সমর্থন করে না।