মত-মতান্তর
মুশতাকের মৃত্যু, কিশোরের জামিন এবং...
শামীমুল হক
৪ মার্চ ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন
মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয়, ঘুরে বেড়াই গোটা বিশ্ব। পৃথিবীর অপরূপ সৌন্দর্য্য দেখি চোখ ভরে। মনের খোরাক নেই আলো-বাতাস থেকে। কিন্তু সে যে একেবারেই অসম্ভব। কারণ গোটা বিশ্ব বেড়াবো কি? নিজ দেশই তো দেখা হয়নি। আসলে নিজ দেশ দেখার সক্ষমতা যে নেই। কথায় বলে না, আগে নিজেকে জানো। নিজেকে জানার চেষ্টাই তো কেউ করছে না। কারণ কারও সক্ষমতার অভাব। কারও আবার জ্ঞানের অভাব। কারও বিবেকের অভাব। কারও আবার স্বভাব। তবে, নিজেকে না জানতে পারলেও অন্যকে জানার লোকের অভাব নেই দেশে। তারা অন্যকে জেনে বসে থাকে না শুধু, জব্দ করার যত কৌশল আছে সবই করে। আর জব্দ করে হাঁ হাঁ করে হাসে জয়ের হাসি। কখনো ভাবে না- অন্যকে জব্দ করতে গিয়ে নিজে যদি কখনো নিজের ফাঁদে আটকে যায় তখন উদ্ধার করবে কে? আগেই তো অন্যদের জব্দ করে বসে আছে। তাই ফাঁদ থেকে বের করার জন্য কেউ এগিয়ে আসবে না। ইতিহাসের শিক্ষা হলো- ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। তাই বার বার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে।
দুই: কারাগারে আটক অবস্থায় লেখক মুশতাকের মৃত্যু নিয়ে গোটা দেশে এখন উত্তাল। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মুশতাককে আটক করা হয়েছিল দশ মাস আগে। এ সময়ে একাধিকবার জামিনের আবেদন করা হয়েছিল তার পক্ষে। কিন্তু জামিন হয়নি। এরমধ্যেই কারাগারে মুশতাকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। উত্তপ্ত হয়ে উঠে গোটা দেশ। লেখক মুশতাকের মৃত্যুর রহস্য উদ্ধারে এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। অন্যদিকে জাতিসংঘ থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলো মুশতাকের মৃত্যুর রহস্য উদ্ধার সহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে। ওদিকে মুশতাকের সঙ্গে একই মামলায় আটক কার্টুনিস্ট কিশোর দীর্ঘ দশ মাস পর বুধবার উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। এর আগে ছয়বার কিশোরের জামিনের আবেদন নাকচ হয়েছে নি¤œ আদালতে। যেখানে হত্যা মামলার আসামি জামিন পাচ্ছে। ধর্ষকরা জামিন পাচ্ছে সেখানে একজন লেখক জামিন পান না দিনের পর দিন! কেমন আইন এটি।
তিন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করার সময়েই সাংবাদিক সমাজ এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল। সম্পাদক পরিষদ আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এর কয়েকটি ধারা নিয়ে আপত্তি তুলে তা বাতিল করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। আইনমন্ত্রীও সম্পাদকদের সঙ্গে একমত হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন- সংসদে আইনটি পাস হওয়ার আগে ফের সম্পাদকদের সঙ্গে বসবেন। এ বসা আর হয়নি। এর আগেই সংসদে আইনটি পাস হয়ে যায়। এখন আইনমন্ত্রী বলেছেন, আইনটির পরিবর্তন নিয়ে ভাবছে সরকার। এর কয়েকটি ধারা সংশোধন করার চিন্তা করা হচ্ছে।
চার : ছোট বেলায় দেখেছি গ্রামে একটা বয়স হলেই মেয়েরা নাক ফোঁড়াতে আসত আমার এক চাচীর কাছে। তিনি সুঁই দিয়ে নাক ছিদ্র করে দিতেন। এসময় শিশুরা কাঁদত। একদিন আট থেকে দশ বছরের এক শিশুকে নিয়ে এসেছে তার মা। চাচী তার নাক ফোঁড়াতে যাবে এসময় শিশুটির এমন চিৎকার সবাই হতভম্ব হয়ে যায়। তার চিৎকারে আশপাশের মানুষজন এসে জড়ো হয়েছে। সবাই তাকে বুঝাচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছেনা। তার এক কথা নাক ফোঁড়াবে না।
অনেক কসরত করে যখন তার নাকে সুঁই ঢুকানো হলো তখন সে একেবারে চুপ। কারণ চোখের পলকে কাজটি হয়েছে। সে কিছু বুঝতেই পারেনি। তখন একজন বলে উঠে- ‘সেই তো নাক খসালি, তবে কেন লোক হাসালি’।
দুই: কারাগারে আটক অবস্থায় লেখক মুশতাকের মৃত্যু নিয়ে গোটা দেশে এখন উত্তাল। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মুশতাককে আটক করা হয়েছিল দশ মাস আগে। এ সময়ে একাধিকবার জামিনের আবেদন করা হয়েছিল তার পক্ষে। কিন্তু জামিন হয়নি। এরমধ্যেই কারাগারে মুশতাকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। উত্তপ্ত হয়ে উঠে গোটা দেশ। লেখক মুশতাকের মৃত্যুর রহস্য উদ্ধারে এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। অন্যদিকে জাতিসংঘ থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলো মুশতাকের মৃত্যুর রহস্য উদ্ধার সহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে। ওদিকে মুশতাকের সঙ্গে একই মামলায় আটক কার্টুনিস্ট কিশোর দীর্ঘ দশ মাস পর বুধবার উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। এর আগে ছয়বার কিশোরের জামিনের আবেদন নাকচ হয়েছে নি¤œ আদালতে। যেখানে হত্যা মামলার আসামি জামিন পাচ্ছে। ধর্ষকরা জামিন পাচ্ছে সেখানে একজন লেখক জামিন পান না দিনের পর দিন! কেমন আইন এটি।
তিন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করার সময়েই সাংবাদিক সমাজ এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল। সম্পাদক পরিষদ আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এর কয়েকটি ধারা নিয়ে আপত্তি তুলে তা বাতিল করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। আইনমন্ত্রীও সম্পাদকদের সঙ্গে একমত হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন- সংসদে আইনটি পাস হওয়ার আগে ফের সম্পাদকদের সঙ্গে বসবেন। এ বসা আর হয়নি। এর আগেই সংসদে আইনটি পাস হয়ে যায়। এখন আইনমন্ত্রী বলেছেন, আইনটির পরিবর্তন নিয়ে ভাবছে সরকার। এর কয়েকটি ধারা সংশোধন করার চিন্তা করা হচ্ছে।
চার : ছোট বেলায় দেখেছি গ্রামে একটা বয়স হলেই মেয়েরা নাক ফোঁড়াতে আসত আমার এক চাচীর কাছে। তিনি সুঁই দিয়ে নাক ছিদ্র করে দিতেন। এসময় শিশুরা কাঁদত। একদিন আট থেকে দশ বছরের এক শিশুকে নিয়ে এসেছে তার মা। চাচী তার নাক ফোঁড়াতে যাবে এসময় শিশুটির এমন চিৎকার সবাই হতভম্ব হয়ে যায়। তার চিৎকারে আশপাশের মানুষজন এসে জড়ো হয়েছে। সবাই তাকে বুঝাচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছেনা। তার এক কথা নাক ফোঁড়াবে না।
অনেক কসরত করে যখন তার নাকে সুঁই ঢুকানো হলো তখন সে একেবারে চুপ। কারণ চোখের পলকে কাজটি হয়েছে। সে কিছু বুঝতেই পারেনি। তখন একজন বলে উঠে- ‘সেই তো নাক খসালি, তবে কেন লোক হাসালি’।