প্রথম পাতা
মুশতাকের মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি আইএফজে’র
মানবজমিন ডেস্ক
৩ মার্চ ২০২১, বুধবার, ৯:৫৫ অপরাহ্ন
নিরাপত্তা হেফাজতে লেখক মুশতাক আহমেদের (৫৪) মৃত্যুর নিন্দা জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস (আইএফজে)। নিজস্ব ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে তারা মুশতাকের মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছে এবং জরুরিভিত্তিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, সমালোচকদের গ্রেপ্তার, নির্যাতনে এই আইন ব্যবহার করা হচ্ছে। আইএফজের জেনারেল সেক্রেটারি অ্যান্থনি বেলাঙ্গার বলেছেন, মুশতাকের মৃত্যুতে বাংলাদেশে আমাদের যেসব সহকর্মী শোকার্ত, তাদের সঙ্গে আমরা সংহতি প্রকাশ করছি। এই লেখককে জেলে রাখা উচিত হয়নি, আর তো উচ্চ নিরাপত্তা সংবলিত জেলে মৃত্যুর প্রশ্নই আসে না। মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এটা একটা অপরাধ। কারাবন্দি সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীদের তালিকা অনেক দীর্ঘ। এ থেকে যথেষ্ট প্রমাণ আসে যে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন জরুরিভিত্তিতে বাতিল করতে হবে। ২রা মার্চ প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ফেসবুকে করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে সরকার গৃহীত পদক্ষেপের সমালোচনা করে পোস্ট দেয়ার অভিযোগে ২০২০ সালের মে মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে গ্রেপ্তার করা হয় মুশতাক আহমেদকে। তিনি ২৫শে ফেব্রুয়ারি পুলিশি হেফাজতে মারা গিয়েছেন। তাকে এদিন অচেতন অবস্থায় গাজীপুরের তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। এদিনই স্থানীয় সময় রাত ৮টা ২০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কাশিমপুরের উচ্চ নিরাপত্তা সংবলিত জেলখানার ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেন্ডেন্ট গিয়াস উদ্দিনের মতে, রাত ৭টা ১০ মিনিটের দিকে অচেতন হয়ে পড়লে দ্রুত এই লেখককে হাসপাতালে নেয়া হয়।
এখনো পরিষ্কার নয় তিনি কীভাবে মারা গেছেন। তবে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পোর্স্ট মর্টেম রিপোর্টে নিশ্চিত হওয়া যাবে এ বিষয়টি। মাইকেল কুমার ঠাকুর নামে লেখালেখি করতেন মুশতাক আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেয়ার কারণে তাকে বিচারহীনভাবে আটকে রাখা হয়। তিনি সরকারের অব্যবস্থাপনা এবং দুর্নীতি নিয়ে লেখালেখি করতেন।
এখনো পরিষ্কার নয় তিনি কীভাবে মারা গেছেন। তবে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পোর্স্ট মর্টেম রিপোর্টে নিশ্চিত হওয়া যাবে এ বিষয়টি। মাইকেল কুমার ঠাকুর নামে লেখালেখি করতেন মুশতাক আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেয়ার কারণে তাকে বিচারহীনভাবে আটকে রাখা হয়। তিনি সরকারের অব্যবস্থাপনা এবং দুর্নীতি নিয়ে লেখালেখি করতেন।