বাংলারজমিন
শিশু শিক্ষার্থীদের নগদ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
৩ মার্চ ২০২১, বুধবার, ৮:৫১ অপরাহ্ন
‘আমি শিক্ষা অফিসার বলছি। আপনার সন্তান উপবৃত্তির টাকা কম পেয়েছে। দ্রুত পিন নম্বর দেন, এবার পুরো টাকা পাঠিয়ে দেবো।’ গত কয়েক দিনে ঝিনাইদহ জেলার শতাধিক শিক্ষার্থীর নগদ অ্যাকাউন্ট থেকে এভাবেই টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র।
জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী জোহা, একই স্কুলের ক্লাস ওয়ানের ছাত্র আরজু ও তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী চাঁদনীর নগদ অ্যাকাউন্ট থেকে গত সোমবার সাড়ে চারশ’ টাকা করে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। লক্ষ্মীপুর গ্রামের গ্রাম্য চিকিৎসক ডা. মিজানুর রহমান খবরের সত্যতা নিশ্চত করে জানান, তার এলাকার একাধিক প্রাইমারির শিক্ষার্থীর নগদ অ্যাকাউন্টের টাকা প্রতারকরা হাতিয়ে নিয়েছে। তিনি জানান, বেশির ভাগ হতদরিদ্র ও গরিব ছাত্রছাত্রীরা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।
গান্না ইউনিয়নের চণ্ডিপুর প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম জানান, তার স্কুলের জাকারিয়াসহ একাধিক শিশু শিক্ষার্থীর নগদ অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতারকরা টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তিনি বলেন, স্কুল খোলা থাকলে আমরা ক্লাসে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে পারতাম। কিন্তু সে সুযোগ না থাকায় শিশু শিক্ষার্থীরা অহরহ প্রতারিত হচ্ছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামে গ্রামে প্রতারকরা হানা দিয়ে গোপন পিন সংগ্রহ করে উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, নগদ অ্যাকাউন্ট খোলার সময় আমরা শিশু ও তাদের অভিভাবকদের সচেতন করে দিই। এছাড়া নগদের কর্মীরাও গোপন পিন নাম্বার কাউকে দিতে নিষেধ করেন। তার পরও এমন প্রতারিত হওয়ার খবর খুবই দুঃখজনক। তিনি বলেন, অধিক সচেতনতার জন্য এ বিষয়ে আমি আজই উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের নির্দেশনা দেবো।
জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী জোহা, একই স্কুলের ক্লাস ওয়ানের ছাত্র আরজু ও তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী চাঁদনীর নগদ অ্যাকাউন্ট থেকে গত সোমবার সাড়ে চারশ’ টাকা করে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। লক্ষ্মীপুর গ্রামের গ্রাম্য চিকিৎসক ডা. মিজানুর রহমান খবরের সত্যতা নিশ্চত করে জানান, তার এলাকার একাধিক প্রাইমারির শিক্ষার্থীর নগদ অ্যাকাউন্টের টাকা প্রতারকরা হাতিয়ে নিয়েছে। তিনি জানান, বেশির ভাগ হতদরিদ্র ও গরিব ছাত্রছাত্রীরা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।
গান্না ইউনিয়নের চণ্ডিপুর প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম জানান, তার স্কুলের জাকারিয়াসহ একাধিক শিশু শিক্ষার্থীর নগদ অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতারকরা টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তিনি বলেন, স্কুল খোলা থাকলে আমরা ক্লাসে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে পারতাম। কিন্তু সে সুযোগ না থাকায় শিশু শিক্ষার্থীরা অহরহ প্রতারিত হচ্ছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামে গ্রামে প্রতারকরা হানা দিয়ে গোপন পিন সংগ্রহ করে উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, নগদ অ্যাকাউন্ট খোলার সময় আমরা শিশু ও তাদের অভিভাবকদের সচেতন করে দিই। এছাড়া নগদের কর্মীরাও গোপন পিন নাম্বার কাউকে দিতে নিষেধ করেন। তার পরও এমন প্রতারিত হওয়ার খবর খুবই দুঃখজনক। তিনি বলেন, অধিক সচেতনতার জন্য এ বিষয়ে আমি আজই উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের নির্দেশনা দেবো।