আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আটক ২

সাভারের আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. আবু সাদেক ভূঁইয়া ও আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকারের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সকালে আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- সেলিম, শাহিন, কবির ও ফারুক। আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জিয়াউল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষ থেকেই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হচ্ছে। ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আবু সাদেক ভূঁইয়া বলেন, ডিইপিজেডের এঙপেরিয়েন্স ক্লোথিং কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি তৈরি পোশাক কারখানার সঙ্গে ব্যবসা করতেন কবির হোসেন সরকার। তবে সম্প্রতি তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ আমার ছেলে মনির হোসেন ভুঁইয়ার সঙ্গে চুক্তি করে। সেই মোতাবেক সোমবার আমার ছেলে কারখানায় লেবার পাঠালে কবির হোসেন সরকারের লোকজন তাদের কারখানা থেকে বের করে দেয়। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রায় ২০০-৩০০ সশস্ত্র লোক নিয়ে কবির সরকারের লোকজন আমার বাসায় হামলা চালায়। এ সময় তারা আমার বাড়ি লক্ষ্য করে ৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা ১৭টি মোটরসাইকেল ও একটি পিকআপ রেখে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পিকআপ ও মোটরসাইকেলগুলো নিয়ে যায়। অপরদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কবির হোসেন সরকার বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে কারখানাটির সঙ্গে ব্যবসা করছি। গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় পহেলা মার্চ মেয়াদ বাড়াতে আবারো কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। এ অবস্থায় গত সোমবার সাদেক ভূঁইয়ার লোকজন কারখানা থেকে আমার লেবারদের বের করে দেয়। বিষয়টি জানিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। গতকাল সকালে আমার ম্যানেজার সেলিম ১৬-১৭টা মোটরসাইকেলে লোকজন নিয়ে ইপিজেডের দিকে যাওয়ার সময় সাদেক মেম্বারের বাড়ির সামনে পৌঁছালে তার লোকজন অতর্কিতভাবে আমার লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে শাহিনসহ আমার দু’জন লোককে কুপিয়ে জখম করে। আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিউল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে ভাঙচুর করা প্রায় ১৫-১৬টি মোটরসাইকেল আমরা উদ্ধার করেছি।